Thursday 09 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ম্যাচের সঙ্গে সিরিজও হারল বাংলাদেশ

স্পোর্টস ডেস্ক
২০ নভেম্বর ২০২১ ১৭:৩৫ | আপডেট: ২০ নভেম্বর ২০২১ ১৭:৩৬

তিন ম্যাচ সিরিজের টি-টোয়েন্টির দ্বিতীয়টিতে ৯ উইকেটে হেরে সিরিজ খোয়াল বাংলাদেশ। মিরপুর শের-ই-বাংলায় বাংলাদেশের ছুঁড়ে দেওয়া ১০৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ১১ বল এবং ৮ উইকেট হাতে রেখেই জয় নিশ্চিত করে পাকিস্তান। এতেই তিন ম্যাচ সিরিজের টি-টোয়েন্টি সিরিজ এক ম্যাচ হাতে রেখেই ২-০ ব্যবধানে জয় নিশ্চিত করে পাকিস্তান।

বাংলাদেশের ছুঁড়ে দেওয়া মাত্র ১০৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই মোস্তাফিজুর রহমানের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন বাবর আজম। পাকিস্তানের দলীয় রান তখন মাত্র ১২ আর বাবরের রান মাত্র ১। অফ স্ট্যাম্পের বাইরের বল জায়গায় দাঁড়িয়ে খেলতে গিয়ে ব্যাটের কোণায় লেগে ভেতরের দিকে এসে বল লাগে স্ট্যাম্পে।

বিজ্ঞাপন

এরপর পাকিস্তানের হাল ধরেন মোহাম্মদ রিজওয়ান এবং ফখর জামান। রয়ে সয়ে খেলেছেন গোটা ম্যাচজুড়েই। নেননি কোনো ঝুঁকি। মামুলি লক্ষ্য ছিল বলেই নিশ্চিন্তে ব্যাট চালাচ্ছিলেন এই দুই পাকিস্তানি ব্যাটার।

ইনিংসের ১৫তম ওভারে ডিপ স্কয়ার লেগে বল ঠেলে দিয়ে দুই রান নিয়ে অর্ধশতক পূর্ণ করেন ফখর জামান। অর্ধশতক হাঁকানো ফখরের সঙ্গে রিজওয়ানের ৮৫ রানের জুটি ভাঙে ইনিংসের ১৬তম ওভারে।

জয়ের জন্য তখন পাকিস্তানের দরকার আর মাত্র ১২ রান। বল হাতে আসেন আমিনুল ইসলাম বিপ্লব। ওই ওভারের প্রথম বলে রিজওয়ানের ব্যাটে টপ এজে বল উঠে যায় হাওয়ায়। তাসকিন দৌড়ে বলের নিচে পৌঁছালেও হাত থেকে ফেলে দেন রিজওয়ানের ক্যাচটিও। যদিও দুই বল পরেই শেষ পর্যন্ত বিপ্লবের বলে সাইফ হাসানের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন রিজওয়ান। আউট হওয়ার আগে ৪৫ বলে ৩৯ রান করেন রিজওয়ান।

এরপর বাকি কাজটা সারেন ফখর জামান এবং হায়দার আলী। ফখর ৫১ বলে ৫৭ আর হায়দার ৮ বলে ৬ রানে অপরাজিত থাকেন। পাকিস্তান জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ১৮.১ ওভারে। অর্থাৎ ১১ বল আর ৮ উইকেট হাতে রেখেই জয় নিশ্চিত করে পাকিস্তান। আর এতেই তিন ম্যাচ সিরিজটি এক ম্যাচ হাতে রেখেই ২-০ ব্যবধানে নিশ্চিত করে সফরকারীরা।

বিজ্ঞাপন

এর আগে টস জিতে ব্যাট কর‍তে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১০৮ রান তোলে বাংলাদেশ।

শুরুতেই দুই ওপেনার সাইফ হাসান (০) এবং নাঈম শেখ (২) ফেরেন। এরপর আফিফ হোসেন এবং নাজমুল হোসেন শান্ত মিলে ৪৬ রানের দুর্দান্ত এক জুটি গড়ে বড় সংগ্রহের আশা দেখান। তবে ৯ম ওভারের প্রথম বলে আফিফ রিভার্স সুইপ করতে গেলে ব্যাটের মাথায় লেগে ক্যাচ উঠলে তা সহজেই ধরে ফেলেন উইকেটরক্ষক মোহাম্মদ রিজওয়ান। আউট হওয়ার আগে ২১ বলে একটি করে চার ও ছক্কায় ২০ রান করেন আফিফ।

এরপর অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের সঙ্গে জুটি গড়ার চেষ্টা করেন শান্ত। তবে দলীয় ৭৯ রানের মাথায় মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ব্যক্তিগত ১২ রান করে রিজওয়ানের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন। এতে আবারও চাপে পড়ে স্বাগতিকরা। বাকিরা আসা যাওয়ার মিছিলে থাকলেও উইকেটের এক প্রান্তে খুটি গেড়েছিলেন শান্ত। তবে অধিনায়ক ফেরার পরের ওভারে ৪০ রান করে তিনি বোলার শাদাব খানের হাতেই ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন। এতেই ৮২ রানে ৫ম উইকেট হারায় বাংলাদেশ।

প্রথম ম্যাচে ২০ বলে ৩০ রানের অপরাজিত এক ইনিংস খেলা মাহেদি হাসানের ওপর এদিনও ছিল আশা। তবে আজ পারলেন না ৩ রানের বেশি করতে। মোহাম্মদ নাওয়াজের হাতে ক্যাচ তুলে দেওয়ার আগে মাহেদি ৮ বলে ৩ রান করেন। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারানোয় থমকে থাকে রানের গতিও। শেষ দিকে নুরুল হাসান সোহান আকড়ে রাখেন উইকেটের এক প্রান্ত। তবে রানের চাকার গতি বাড়াতে পারেননি তিনি। দলীয় রান শতক পেরোতেই নুরুল হাসান সোহান ১১ রান করে ফেরেন। এরপর তাসকিন ২ এবং আমিনুল ইসলাম বিপ্লব ৮ রানে অপরাজিত থাকেন।

আর এতে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ সংগ্রহ করে ১০৮ রান। বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ রান আসে নাজমুল হোসেন শান্তর ব্যাট থেকে। তার ব্যাট থেকে আসে ৪০ রান। এরপর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২০ রান করেন আফিফ হোসেন। অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ করেন ১২।

সারাবাংলা/এসএস

২য় টি-টোয়েন্টি টপ নিউজ টি-টোয়েন্টি সিরিজ বাংলাদেশ বনাম পাকিস্তান

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর