Thursday 09 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

আশা জাগিয়েও হারল বাংলাদেশ


১৯ নভেম্বর ২০২১ ১৭:৪৬ | আপডেট: ১৯ নভেম্বর ২০২১ ২০:১৩

পুঁজি মাত্র ১২৭ রানের হলেও পাকিস্তানকে শুরু থেকেই চাপে রেখেছিল বাংলাদেশ। দলীয় ২৪ রানের মাথায় পাকিস্তান চতুর্থ উইকেট হারিয়ে ফেললে ম্যাচটা বাংলাদেশের দিকেই হেলে পড়েছিল। কিন্তু এই চাপ ধরে রাখতে ব্যর্থ হলেন বাংলাদেশি বোলাররা। বিশেষ করে ম্যাচের শেষ দিকে তালগোল পাকানো বোলিংয়ে আশা জাগিয়েও হারের বেদনা নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে বাংলাদেশকে।

শেষ পর্যন্ত পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথমটিতে আজ ৪ উইকেটে হেরেছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের দেওয়া ১২৭ রানের টাগেট ১৯.২ ওভারে ছয় উইকেট হারিয়ে পেরিয়ে যায় পাকিস্তান। এই জয়ে তিন ম্যাচের সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেল পাকিস্তান।

বিজ্ঞাপন

বিশ্বকাপ ভরাডুবির পর অনেকটা বদলে গেছে বাংলাদেশ দল। মুশফিকুর রহিম, লিটন দাস, সৌম্য সরকারদের দল থেকে ছেঁটে ফেলে ডাকা হয়েছে তরুণ সাইফ হাসান, ইয়াছির আলী রাব্বি, শহিদুল ইসলাম, নাজমুল ইসলাম শান্তদের। প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন এটাকে বলছিলেন, বাংলাদেশ ক্রিকেটের নতুন পথচলা। পাকিস্তানের বিপক্ষে ‘নতুন পথচলা’র সূচনা কেমন হয় সেটা দেখতে মুখিয়ে অনেকে। কিন্তু শুরুতে স্বস্তি মিলল কই!

শুক্রবার (১৯ নভেম্বর) মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের বোলিং ইনিংসের সূচনা হয়েছিল দুর্দান্ত। ১২৭ রান তাড়া করতে নেমে পাকিস্তান ব্যাটিং লাইনআপের মেরুদণ্ড হিসেবে পরিচিত বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ানের ওপেনিং জুটিকে দাঁড়াতে্ দেয়নি বাংলাদেশের পেস আক্রমণ।

ইনিংসের তৃতীয় ওভারে মোস্তাফিজুর রহমানের দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে স্ট্যাম্প উপড়ে যায় মোহাম্মদ রিজওয়ানের (১১)। পরের ওভারে তাসকিন আহমেদের দারুণ এক বল স্ট্যাম্পে টেনে এনে বোল্ড বাবর আজম (৭)।

বিজ্ঞাপন

খানিক বাদে ১ রানের ব্যবধানে ফিরেছেন হায়দার আলী ও শোয়েব মালিক। হায়দার মেহেদির দারুণ এক ডেলিভারি লাইন মিস করে এলবিডব্লিউ। শোয়েব নুরুল হোসেন সোহানের দারুণ এক বুদ্ধিদিপ্ত থ্রোতে রান আউট। পাকিস্তানের স্কোর তখন ২৪/৪। কিন্তু এই চাপটা পরে আর অব্যাহত রাখতে পারল না বাংলাদেশ।

তিনে ব্যাটিং করতে নামা ফখর জামান তরুণ খুশদিল শাহকে সঙ্গে নিয়ে প্রথমে উইকেটে পড়ে থাকতে চেয়েছেন। দুজনকেই অবশ্য শুরুতে নড়বড়ে মনে হয়েছে। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে উইকেট তুলে নিতে পারেনি বাংলাদেশ। অন্যদিকে জড়তা কেটে যাওয়ার পর এই ফখর ও খুশদিলই পাকিস্তানকে জেতাতে বড় অবদান রাখলেন।

দুজন পঞ্চম উইকেট জুটিতে ৫৬ রান তোলেন। এই জুটির ওপর দাঁড়িয়ে জয়ের ভীত পাওয়া পাকিস্তানের হয়ে শেষ দিকে ঝড় তোলেন শাদাব খান ও মোহাম্মদ নেওয়াজ। বাংলাদেশের হাত থেকে জয় ফসকে গেছে তাতেই। ৩৬ বলে ৪টি চারের সাহায্যে ৩৪ রান করে ফেরেন ফখর। ৩৫ বলে ৩৪ করেন খুশদিল। শাদাব খান শেষ দিকে ১০ বলে ১ চার ২ ছয়ে ২১ রানে অপরাজিত ছিলেন। নাওয়াজ ৮ বলে ১৮ রান করে অপরাজিত থাকেন।

বাংলাদেশের হয়ে ৩১ রানে দুই উইকেট নেন তাসকিন আহমেদ। একটি করে উইকেট নিয়েছেন মেহেদি হাসান, মোস্তাফিজুর রহমান ও শরিফুল ইসাম।

এর আগে মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নাইম শেখের সঙ্গে ওপেনিংয়ে আজ অভিষেক ম্যাচ খেলতে নেমেছিলেন সাইফ হাসান। সুবিধা করতে পারেননি অভিষিক্ত সাইফ (১)। নাইমও (১) ছিলেন নিস্প্রভ। অনেকদিন পর দলে ফেরা অপর তরুণ নাজমুল হোসেন শান্ত তিন নম্বরে নেমে করতে পারলেন মাত্র ৭ রান।

সব মিলিয়ে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নামা বাংলাদেশ তৃতীয় উইকেট হারালো দলীয় ১৫ রানের মাথায়। এরপর তরুণ আফিফকে সঙ্গে নিয়ে অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহর প্রতিরোধের চেষ্টা। আফিফ এগুতে পারলেও মাহমুদউল্লাহ ব্যর্থ। মোহাম্মদ নাওয়াজের নির্বিশ এক ডেলিভারিতে বোল্ড হওয়ার আগে ৭ রান করেছিলেন অধিনায়ক। বাংলাদেশের স্কোর তখন ৪/৪০।

এরপর আফিফ এবং নুরুল হাসান সোহান দারুণ খেলছিলেন। তবে নিজের ইনিংসকে বড় করতে পারেননি একজনও। দলীয় ৬১ রানের মাথায় ৩৪ বলে ৩৬ রান করে ফিরেছেন আফিফ। তার ইনিংসে চার ও ছয় দুটি করে। খানিক বাদে নুরুল হাসান দুই ছয়ে ২২ বলে ফেরেন ২৮ রান করে। এরপর বাংলাদেশ যে একশ ত্রিশের কাছাকাছি গেল তাতে বড় অবদান শেখ মাহেদি হাসানের।

সাত নম্বরে ব্যাটিং করতে নেমে ২০ বলে ১টি চার এবং ২টি ছয়ে ৩০ রান করে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন মাহেদি। ইনিংসের শেষ বলে বিশাল এক ছক্কা হাঁকানো তাসকিন আহমেদ ৮ রান করে বাংলাদেশের পক্ষে চতুর্থ সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক।

পাকিস্তানের হয়ে হাসান আলী ২২ রান খরচায় নিয়েছেন তিন উইকেট। ২৪ রানে দুটি উইকেট নিয়েছেন মোহাম্মদ ওয়াসিম। এছাড়া একটি করে উইকেট পেয়েছেন শাদাব খান ও মোহাম্মদ নাওয়াজ।

টপ নিউজ বাংলাদেশ-পাকিস্তান সিরিজ মাহমুদউল্লাহ

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর