বিদায় বলে দিলেন এবি ডি
১৯ নভেম্বর ২০২১ ১৪:০৪ | আপডেট: ১৯ নভেম্বর ২০২১ ১৫:০৭
বছর তিনেক হলো দূরে রয়েছেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে। তবে ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক টি-টোয়েন্টি লিগগুলোতে খেলে যাচ্ছিলেন। শেষ পর্যন্ত বিদায় জানালেন সেগুলোকেও। সব ধরনের ক্রিকেট থেকেই বিদায় নিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিং মায়েস্ত্রো এবি ডি ভিলিয়ার্স। জানালেন, ৩৭ বছর বয়সে এসে ক্রিকেটের আগুন আর আগের মতো জ্বলছে না তার।
শুক্রবার (১৯ নভেম্বর) বাংলাদেশ সময় দুপুর ১টার দিকে নিজের টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে আনুষ্ঠানিকভাবেই এই ঘোষণা দিয়েছেন এবি ডি। এর মাধ্যমে ১৭ বছর ধরে ব্যাটিং জাদুতে ক্রিকেটবিশ্ব মাতিয়ে রাখা এক বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারের অবসান ঘটছে।
বিদায়ী টুইটে এবি ডি লিখেছেন, ছোটবেলায় বাড়ির পেছনে বড় ভাইয়ের সঙ্গে ম্যাচ খেলে ক্রিকেটের শুরু। সেই তখন থেকে অসম্ভব মজা ও প্রবল আগ্রহ নিয়েই ক্রিকেট খেলেছি। এখন এই ৩৭ বছর বয়সে এসে সেই উদ্দীপনা আর আগের মতো নেই।
It has been an incredible journey, but I have decided to retire from all cricket.
Ever since the back yard matches with my older brothers, I have played the game with pure enjoyment and unbridled enthusiasm. Now, at the age of 37, that flame no longer burns so brightly. pic.twitter.com/W1Z41wFeli
— AB de Villiers (@ABdeVilliers17) November 19, 2021
অবসরের কথা জানিয়ে লিখেছেন, এটি একটি অবিস্মরণীয় যাত্রা। কিন্তু সব ধরনের ক্রিকেট থেকে আমি অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
২০০৪ সালে টেস্ট ক্রিকেট দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক এবি ডি ভিলিয়ার্সের। তখন তিনি ২০ বছরের টগবগে এক তরুণ। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে নেমেছিলেন ওপেনিং ব্যাটার হিসেবে। প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৪৭ বলে ২৮ রান এবং দ্বিতীয় ইনিংসে ২১ বলে করেছিলেন ১৪ রান। অভিষেক টেস্টে সেভাবে জ্বলে না উঠতে পারলেও যতই সময় গিয়েছে, দক্ষিণ আফ্রিকা দলের ব্যাটিংয়ের মেরুদণ্ডে পরিণত হয়েছেন।
টেস্টে ৫৪ দশমিক ৫১, ওয়ান-ডেতে ১০১.০৯ আর আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ১৩৫.১৬ স্ট্রাইক রেট বলছে— আধুনিক ক্রিকেটের সব ফরম্যাটের জন্য এবি ডি ভিলিয়ার্স ছিলেন একজন সব্যসাচী ক্রিকেটার। টি-টোয়েন্টির ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগগুলোতে তার স্ট্রাইক রেট আরও বেশি— ১৫০.১৩। নানা ধরনের উদ্ভাবনী সব শট আর ব্যাটিংয়ে ইমপ্রোভাইজেশন দিয়েই এবি ডি পৌঁছেছেন জনপ্রিয়তার তুঙ্গে।
একইসঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ বাঁচানো ২২০ বলে ৩০ রানের সেই মহাকাব্যিক ইনিংসও তার ব্যাটিংয়ের ঝুলিতে মুকুটের মনির মতো। আবার ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ বাঁচাতে না পারলেও ২৯৭ বলে ৪৩ রানের যে ইনিংস তিনি খেলেছিলেন, ধ্রুপদী ক্রিকেটের ভক্তদের কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবে সেই ইনিংসটি।
সারাবাংলা/এসএস/টিআর