Thursday 09 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

পিএসজির সিটি বধে মেসির দুর্দান্ত গোল


২৯ সেপ্টেম্বর ২০২১ ০৭:৩৮ | আপডেট: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১১:৩২

আলোড়ন সৃষ্টি করা এক দলবদলে বার্সেলোনা ছেড়ে পিএসজিতে যাওয়া লিওনেল মেসির কোনতেই কেন জানি কোন কিছু হচ্ছিল না! প্রথম তিন ম্যাচে গোল পাননি। মাঠে পিএসজির অপর দুই তারকা নেইমার ও কিলিয়ান এমবাপের সঙ্গে ঠিক জমছিল না মেসির। হাঁটুর ইনজুরিটাও বেশ ভোগাচ্ছিল। প্রশ্ন উঠে গিয়েছিল, মেসির অন্তর্ভূক্তি পিএসজির উপকার হলো নাকি ক্ষতি! মেসি সব প্রশ্নের উত্তর দিলেন বড় মঞ্চে। চোট কাটিয়ে ফিরে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচে ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে দুর্দান্ত এক গোল করেছেন ছয়বারের বিশ্বসেরা ফুটবলার। মেসির দুর্দান্ত গোলের দিনে ‘হাইভোল্টেজ’ ম্যাচে পেপ গার্দিওলার সিটির বিপক্ষে ২-০ ব্যবধানে জিতেছে পিএসজি। অপর গোলটি করেছেন ইদ্রিসা গানা।

বিজ্ঞাপন

একটা প্রতিশোধও নেওয়া হয়ে গেল পিএসজির। গতবার প্রথম চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপার একদম কাছ থেকে বিদায় নিতে হয়েছে এই সিটির কাছে হেরেই। সেমিফাইনালের দুই লেগ মিলিয়ে পিএসজিকে ৪-১ ব্যবধানে হারিয়েছিল পেপ গার্দিওলার দল। তার পরের দেখাতেই সিটিকে ২-০ তে হারাল পিএসজি।

তবে এমন হারে ভাগ্যকেও দুষতে পারেন সিটির অনেক সমর্থক। ম্যাচে বল দখলের লড়াইয়ে সিটিই ছিল এগিয়ে। পুরো ম্যাচে ১৮টি শট নিয়েছেন সিটির ফুটবলাররা। তার মধ্যে ৭টি ছিল লক্ষ্যে, কিন্তু গোল একটাও হয়নি। অপর দিকে পিএসজি শট নিতে পেরেছে ছয়টি, যার মধ্যে লক্ষ্যে ছিল তিনটি। এই তিন শটের দুটিই জড়িয়ে গেছে জালে।

মেসির গোলটা ম্যাচের ৭৪ মিনিটে। নিজেদের রক্ষণ থেকে বল কুড়িয়ে দৌড় শুরু করেছিলেন মার্কো ভেরাত্তি। কিছুটা এগিয়ে বল বাড়ালেন মেসির উদ্দেশ্যে। তারপর মেসির সেই মোহনীয় দৌড়। এক দৌড়ে ডি-বক্সের খানির সামনে মাঝামাঝি অবস্থানে চলে এলেন মেসি। ওদিক দিয়ে ততক্ষণে ডি-বক্সে ঢুকে পড়েছেন কিলিয়ান এমবাপে। মেসি পাস বাড়ালেন তার কাছে। শট নেওয়ার সুযোগ ছিল না এমবাপের। ফরাসি তরুণ ব্যাকহিলে বল ফেরত পাঠালেন। তারপরই চোখ জোড়ানো সেই গোল।

জায়গা পাওয়া মেসির বাঁ-পায়ের বাঁকানো শটটা জালে জড়িয়ে যাওয়া দেখে কিছুই করার ছিল না ম্যানচেস্টার সিটির ব্রাজিলিয়ান গোলরক্ষক এদেরসনের। পিএসজির জার্সিতে প্রথম গোলটা হলো রাজসিকই। তার আগেই ১-০ তে এগিয়ে ছিল পিএসজি।

পিএসজি প্রথম আক্রমণে উঠে ম্যাচের অষ্টম মিনিটে। তাতেই গোল পেয়ে যায় ক্লাবটি। আশরাফ হাকিমির পাস ধরে ব্যাকহিল করেছিলেন এমবাপে, নেইমার তাতে ঠিকমতো পা লাগাতে পারলেন না। ফাঁকায় বল পেয়ে গেলেন গানা। গোল করতে ভুল করেননি তিনি।

বিজ্ঞাপন

২৬ মিনিটে ভাগ্যকে পাশে পায়নি সিটি। কেভিন ডি ব্রুইনার ক্রসে রাহিম স্টার্লিং দারুণ এক হেড নিয়েছিলেন। কিন্তু বল বাঁধাগ্রস্ত হলো ক্রসবারে। ফিরতি বলে বের্নার্দো সিলভার টোকাও ক্রসবারে প্রতিহত হয়েছে। ৩৮ মিনিটে এমবাপের বাড়ানো বল সুবিধাজনক স্থানে পেলেও গোলরক্ষক বরাবর মেরে হতাশ করেন আন্দের এরারেরা।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুটা ছিল সিটির আধিপত্য। ৫৪ মিনিটে ডি ব্রুইনার দুর্দান্ত এক ফিরিয়ে দেন পিএসজি গোলরক্ষক। দ্বিতীয়ার্ধে সিটির আক্রমণ সয়ে মাঝেমধ্যে প্রতিআক্রমণে উঠছিল পিএসজি। তেমনই এক আক্রমণে ৭৪ মিনিটে মিলে মেসির সেই গোল। বাকি সময়েও আক্রমণের পর আক্রমণ করে যায় সিটি। কিন্তু গোল আদায় করতে পারেননি গার্দিওলার ছাত্ররা। শেষ পর্যন্ত ২-০ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে পিএসজি।

উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ টপ নিউজ পিএসজি ম্যানচেস্টার সিটি লিওনেল মেসি

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর