এভাবে হারবেন ভাবেননি জেমি
৮ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৩:৪০ | আপডেট: ৮ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৫:৪৫
কিরগিজস্তানের বিপক্ষে দুই অর্ধ মিলিয়ে দুটি করে মোট চারটি গোল হজম করেছে বাংলাদেশ দল। আর এটিই কিরগিজস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ব্যবধানের হার। এর আগে ২০০৭ সালে দিল্লিতে নেহরু কাপে এবং ২০১৫ সালে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের প্রথম লেগে ঢাকাতে ৩-১ গোলের ব্যবধানে হেরেছিল বাংলাদেশ। এরপর ফিরতি লেগে কিরগিজস্তান জিতেছিল ২-০ ব্যবধানে। কিন্তু মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) কিরগিজস্তানের দোলন ওমরজাকিভ স্টেডিয়ামে ৪-১ গোলের ব্যবধানে হেরেছে জামাল ভুঁইয়ারা।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের জালে কিরগিজস্তানের ৪ গোল
কিরগিজদের বিপক্ষে যে তার দল যে দাঁড়াতেই পারবে না, এটা ভাবেননি বাংলাদেশের প্রধান কোচ জেমিডে। ‘আমরা আশাহত, আমি মনে করিনি খেলাটি ৪-১ এর ব্যবধানে শেষ হবে। আমরা গত ম্যাচে ফিলিস্তিনের সঙ্গে যেভাবে খেলেছিলাম তার থেকে ভালো একটা সূচনা হয়েছিল।’ ঠিক এভাবেই আশাহট কণ্ঠে কথাগুলো জানালেন জেমি।
ফিফা র্যাংকিং বাংলাদেশের চেয়ে ৮৭ ধাপ উপরে কিরগিজস্তান। হারটা এক প্রকার অনুমেয়ই ছিল বাংলাদেশের জন্য কিন্তু এত বাজেভাবে হারতে হবে সেটা ঘুণাক্ষরেও ভাবেননি জেমি।
তিনি বলেন, ‘আমরা আশাহত। আজকের খেলাটি যে ৪-১ ব্যবধানে শেষ হবে এমনটা ভাবিনি। আমরা গত ম্যাচে ফিলিস্তিনের সঙ্গে যেভাবে খেলেছিলাম, সেটা আমাদের একটা ভালো শুরু এনে দিয়েছিল। আমি মনে করি না মাত্র দুই দিনের ব্যবধানে র্যাঙ্কিংয়ে ৮০-৯০ ধাপ এগিয়ে থাকা দলগুলোর বিপক্ষে খেলতে নামা ও আশা করা দুই দিন খেলোয়াড়রা তাদের সর্বোচ্চটা দিতে পারবে।’
চার পরিবর্তন নিয়ে একাদশ সাজিয়েছিলেন বাংলাদেশ কোচ জেমি ডে। শহিদুল আলম সোহেলের জায়গায় গোলপোস্টের নিচে ফেরেন আনিসুর রহমান জিকো। ডিফেন্ডার রেজাউল করিমের বদলে রিয়াদুল হাসান রাফি, ফরোয়ার্ড সাদউদ্দিনের জায়গায় মাহবুবুর রহমান সুফিল এবং মাঝমাঠে সোহেল রানার বদলে কানাডা প্রবাসী রাহবার ওয়াহেদ খানকে নামান কোচ।
তবে কিছুতেই শেষ রক্ষা হয়নি জামালদের। জেমির সব পরিকল্পনা ভেস্তে দেয় কিরগিজরা। আশাহত জেমি বললেন, ‘‘আমরা জানতাম যে কিরগিজস্তান খুবই ভালো দল ও তাদের বেশ কিছু ভালো খেলোয়াড় আছে। লক্ষ্য ছিল আমাদের হাফে খেলা যেন তাদের জন্য খেলাটা কঠিন হয়। তারা যেন জায়গা বের করে খেলতে না পারে।’
৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানে শক্তিশালী দুটি দলের বিপক্ষে খেলেছে বাংলাদেশ। কিরগিজস্তান মাঠে নেমেছিল প্রথম ম্যাচের পর ৬ দিন বিশ্রাম নিয়ে। এই নিয়ে ক্ষোভ আছে জেমির, ‘আমি মনে করি না মাত্র দুই দিনের ব্যবধানে ৮০-৯০ ধাপ ওপরে থাকা দলগুলোর বিপক্ষে খেলা সম্ভব। আশাও করা উচিত নয় দুই দিনই খেলোয়াড়েরা তাদের সর্বোচ্চটা দিতে পারবে। আগে থেকেই জানতাম দুটি দল অনেক শক্তিশালী। আমাদের খেলোয়াড়েরা ডিফেন্ডিং ভালো করেছে। এখান থেকে আমরা অনেক অভিজ্ঞতা ও শিক্ষা নিয়ে যাচ্ছি।’
৯ সেপ্টেম্বর ত্রিদেশীয় সিরিজের শেষ ম্যাচে জেমি ফিরে আসতে চাইবেন নিঃসন্দেহে। এ ম্যাচে বাংলাদেশ লড়বে কিরগিজস্তানের অনূর্ধ্ব-২৩ দলের বিপক্ষে।
সারাবাংলা/এসএস
জেমি ডে টপ নিউজ বাজে হার বাংলাদেশ বনাম কিরগিজস্তান বাংলাদেশের প্রধান কোচ