টপ অর্ডারের বিপর্যয়ে নাখোশ তামিম
১৭ জুলাই ২০২১ ১৯:৫৪
বিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ৭৪ রান তুলতেই ৪ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। যা তাদের পুরোপুরি ব্যাকফুটে ঠেলে দেয়। প্রতিদ্বন্দ্বিতামুলক ক্রিকেটে টপ অর্ডারদের এ ব্যর্থতা মোটেই আদর্শ নয় মনে করছেন টাইগার দলপতি তামিম ইকবাল। তিনি আশা করছেন সামরনের ম্যাচগুলোতে টপ অর্ডার ভালো খেললে দলকে এমন বেহাল দশা দেখতে হবে না।
প্রথম ওয়ানডেতে ব্রেন্ডন টেইলরদের বিপক্ষে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ব্লেসিং মুজারাবানির পেস তোপে তামিম ফেরেন শূন্য হাতে। সাকিবকেও ১৯ রানে ক্রিজ ছাড়া করেন এই স্বাগতিক পেসার। চারে নামা মোহাম্মদ মিঠুনও সাকিবকে অনুসরণ করেন। আর মোসাদ্দেক নিজের এপিটাফ লেখেন মাত্র ৫ রানে। এতে করে নিদারুণ চাপে পড়ে বাংলাদেশ। যদিও তা লিটন দাস, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও আফিফের দৃঢ়তায় দূরিভূত হয় কিন্তু বিষয়টি কাম্য নয় বলেই মত তামিমের।
ওয়ানডে অধিনায়ক বলেন, ‘উন্নতির তো কোনো শেষ নেই। তবে কম রানে তিনটা উইকেট পড়ে যাওয়া আদর্শ না। টপ অর্ডার থেকে আমি বা সাকিব যদি আরেকটু ভালো খেলি, তাহলে দল হয়তো এমন অবস্থায় পড়বে না। চেষ্টা করব যে পরের ম্যাচে এমন সুযোগ এলে কাজে লাগাতে।’
বৃহস্পতিবার হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে ২৭৭ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে স্বাগতিকদের বোলিং তোপে ২৮.৫ ওভারে ১২১ রানে গুটিয়ে যায় জিম্বাবুয়ে। আর তাতে ১৫৫ রানের বড় জয় ধরা দেয় লাল সবুজের দলে যা বিদেশের মাটিতে তাদের সবচেয়ে বড় ব্যবধানে জয়ের রেকর্ড। সেজন্য বোলারদের প্রশংসায় ভাসালেন সফরকারি দলপতি। ‘আমাদের বোলিং নিয়ে আমি খুবই খুশি।’
সতীর্থথদের বোলিংয়ে খুশি তামিম। খুশি হয়েছেন লিটন, আফিফ, মিরাজদের ম্যাচ উইনিং ব্যাটিংয়েও, ‘একটা পর্যায়ে খুব বিপদে ছিলাম। একটা কথা সব সময় বলি, জুনিয়রদের পারফর্ম করতে হবে। এটা নিয়ে অনেক আলোচনা হয়। আমরাও বলেছি। কাল এক্ষেত্রে আদর্শ ম্যাচ ছিল। যেখানে লিটন বেশ দায়িত্ব নিয়ে একটা ইনিংস খেলেছে। আর সবসময় ১০০ বা ৫০ নিয়ে কথা বলা খুব সহজ। কিন্তু আমার কাছে ছোট ছোট অবদান খুব গুরুত্বপূর্ণ।’
‘আফিফের ইনিংসটি ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সে ওই ইনিংসটা না খেললে ২৭০ রান করতে পারতাম না। ৩০-৪০ রান কম হতো। মিরাজের ২২-২৩ রানের ইনিংসও গুরুত্বপূর্ণ ছিল। রিয়াদ ভাই আউট হওয়ার পর আরেকটি উইকেট পড়ে গেলে বিপদ হতো। আমার কাছে মনে হয় এই ছোট ছোট অবদানের কৃতিত্ব দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। যেটা আমি পছন্দ করি।’
সেদিন দলীয় ৭৩ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বিবর্ণ রুপ ধারণ করা বাংলাদেশকে পঞ্চম উইকেটে ৯৭ রানের জুটিতে চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহের পথে নিয়ে যান লিটন দাস-মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ জুটি। মাহমুদউল্লাহ ৩৩ রানে ফিরে গেলেও লিটন দাস ক্যারিয়ারের চতুর্থ সেঞ্চুরি তুলে নেন (১০২)। এরপর আফিফ হোসেনের ৩৫ বলে ৪৫ ও মেহেদি হাসান মিরাজের ২৫ বলে ২৬ রানের ইনিংসে ৯/২৭৬ রানের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ পায় সফরকারি শিবির। যা দলকে জয়ের জ্বালানি যোগায়।
টপ নিউজ তামিম ইকবাল বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে সিরিজ সাকিব আল হাসান