৭০৫ দিন পরে মুশির ব্যাটে সেঞ্চুরি
২৫ মে ২০২১ ১৭:৩৫ | আপডেট: ২৫ মে ২০২১ ২৩:২৫
প্রথম দফায় যখন বৃষ্টি হানা দিল মুশফিকুর রহিম তখন সেঞ্চুরি থেকে ১৫ রান দূরে। বৃষ্টি শেষে ম্যাচ গড়াল মাত্র ২ ওভার। ঝড়ো ব্যাটে ওই ২ ওভারে ১১ রান তুলে নিয়ে পৌঁছে গেলেন সেঞ্চুরি থেকে নিঃশ্বাস দূরত্বে। ক্রিজে তখন ৯৬ রানে দাঁড়িয়ে ক্যারিয়ারের ৮ম ওয়ানডে সেঞ্চুরির প্রহর গুনছেন মুশি। কিন্তু হল না। আবার বৃষ্টি হানা দিলে এক দৌঁড়ে চলে যান ড্রেসিং রুমে। প্রায় ৪০ মিনিট পরে আবার খেলা গড়াল। তবে এবার আর কালক্ষেপন নয়। দুশমন্থ চামেরাকে ফাইন লেগ অঞ্চল দিয়ে সীমানার বাইরে ঠেলে দিয়ে দিয়ে স্বপ্নের ঠিকানায় পৌঁছে গেলেন লাল সবুজের সবচেয়ে ধারাবাহিক এই ব্যাটার।
সেঞ্চুরির পথে তিনি বল খেলেছেন ১১৩ টি। যেখানে স্রেফ ৬টি চারের মার ছিল, ছিল না কোন ছয়ের মার। ৮৭.৬১ স্ট্রাইকে রেটে তিনি এই তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগারের দেখা পেয়েছেন।
মুশির সবশেষ সেঞ্চুরিটি এসেছিল ২০১৯ বিশ্বকাপে। নটিংহ্যাম্পশায়ারে পরাশক্তি অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৯৭ বলে অপরাজিত ১০২ রানের দাপুটে ইনিংস খেলেছিলেন লাল সবুজের এই মিডল অর্ডার ব্যাটার। এরপর কেটে গেছে প্রায় দুই বছর বা ৭০৫ দিন। কিন্তু সেঞ্চুরি তার কাছে ক্রমেই দূরের বাতিঘর মনে হচ্ছিল। অবশেষে দেশের মাটিতে শ্রীলংকার বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে তা ছোঁয়া হল।
লংকানদের বিপক্ষে চলমান সিরিজে অবশ্য দারুণ ধারাবাহিক মুশফিক। প্রথম ম্যাচে ফিরেছিলেন নামের পাশে ৮৪ রান যোগ করে। তাতে আক্ষেপ ছিল শতক ছোঁয়ার। শতক ছোঁয়ায় সেই আক্ষেপই নিশ্চয়ই ঘুচল।
মঙ্গলবার (২৫ মে) মুশি যখন ব্যাটিংয়ে নেমেছেন টিম বাংলাদেশ তখন তখন ৪৯ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে রীতিমত ধুকছে। মুশি এসে অবতীর্ণ হলেন ত্রাতার ভুমিকায়। এসেই সঙ্গী হিসেবে পেলেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতকে। কিন্তু লম্বা সময় ক্রিজের অপর প্রান্তের সতীর্থকে সঙ্গ দিতে পারলেন না মোসাদ্দেক। নামের পাশে মাত্র ১০ রান যোগ করে ফিরে গেলেন সৈকত। থেকে গেলেন মুশফিক। ছয়ে নামা মাহমুদউল্লাহ বেশ খানিকটা সময় অবশ্য মুশিকে সঙ্গ দিলেন। ৯৭ রানের জুটিতে ইনিংসের মেরামত করে দলকে ১৬১ রানের সংগ্রহ পাইয়ে দিলেন দুই অভিজ্ঞ টাইগার। কিন্তু ঠিক তারপরেই সান্দাকানের বলে পা হড়কালেন মাহমুদউল্লাহ। ৪১ রানে থেমে তার উইলো।
কিন্ত মুশির উইলো থামল না। ৪৫তম ওভারে সেঞ্চুরি করেও ব্যাটিং রথ ছুটিয়ে চলেছেন এই টাইগার।
টপ নিউজ বাংলাদেশ-শ্রীলংকা সিরিজ মুশফিকুর রহিম মুশফিকের সেঞ্চুরি