ঢাকা টেস্টে আর ভুল নয়
৯ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১৯:২১
চট্টগ্রামের উইকেট ব্যাটসম্যানদের দু হাত ভরে দিলেও বোলারদের অসহায়ত্ব ফুটে উঠেছিল প্রকটভাবে। বিশেষ করে দ্বিতীয় ইনিংসে, বাংলাদেশের বোলিংয়ের সময়। বোলাররা যেমন ধারাবাহিকভাবে একজায়গায় ফেলে ক্যারিবিয়দের কঠিন সময় উপহার দিতে পারেননি তেমনি ফিল্ডিংয়েও ক্যাচ মিসের মহড়া দেখিয়েছেন নাজমুল হোসেন ও ইয়াসিরা রাব্বি। পাশাপাশি রিভিও না নেয়ার মতো ঘটনা তো ঘটেছেই। সেই সুযোগ শতভাগ কাজে লাগিয়ে কাইল মেয়ার্স অভিষেক টেস্টে অপরাজিত থেকেছেন ২১০ রানে। তাতে ঘরের মাঠে টেস্ট হারের গ্লানিতে পুড়েছে মুমিনুল হক অ্যান্ড কোং। এই ভুল থেকে শিক্ষা নিয়েই ঢাকা টেস্টে স্বাগতিকরা ঘুরে দাঁড়াতে চাইছে প্রবল বিক্রমে। সাগরিকার ভুলের পুনরাবৃত্তি শের-ই-বাংলায় চাইছে না লাল সবুজের দল।
চট্টগ্রাম টেস্টের পঞ্চম ইনিংসে উইন্ডিজদের রাজসিক দিনে বাংলাদেশের বোলিং ছিল অধারাবাহিক। বলে টার্ন ছিল দারুণ, বাউন্সারও সময় সময় ছিল অসমান। কিন্তু অতিথিদের চাপে ফেলার মতো বোলিং উপহার দিতে পারেননি কেউ। মেহেদি মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, নাঈম হাসান কিংবা মোস্তাফিজুর রহমান কেউই এক জায়গায় বল ফেলে সিমন্স শিষ্যদের কঠিন পরিস্থিতিতে ফেলতে পারেননি। পরিতাপের শেষ এখানেই নয়, কাইল মেয়ার্স ও এনক্রমা বোনারের জুটি ভাঙার তিন তিনটি সুবর্ণ সুযোগ এসেছিল বাংলাদেশের সামনে তাও কাজে লাগাতে পারেনি স্বাগতিক শিবির। ফলশ্রুতিতে অবধারিত জয় বঞ্চিত হয় টিম বাংলাদেশ। সেখান থেকে শিক্ষা নিয়েই ঢাকা টেস্টে নামতে চাইছে মুমিনুল হক অ্যান্ড কোং।
মঙ্গলবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সংবাদ মাধ্যমকে একথা বাংলাদেশ দলের অফস্পিনিং অলরাউন্ডার মেহেদি হাসান মিরাজ।
তিনি বলেন, ‘যদি আরেকটু ভালো বোলিং করতাম হয়তো ওদের আরও একটা উইকেট তুলে নেওয়ার সুযোগ হয়ে যেত। কিন্তু তারপরও ক্রিকেট খেলা দিন শেষে হতেই পারে। ওরা হয়তো খুব ভালো, এক্সট্রা-অর্ডিনারি ব্যাটিং করেছে দুইজনই দুই সেশনে খেলেছে। আর বলবো যে হয়তো আমরা যদি সুযোগগুলো নিতে পারতাম, তাহলে আমাদের পক্ষে ফলাফল হত। ওখানে একটা-দুইটা উইকেট, একটা উইকেটই অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কারণ পরের ব্যাটসম্যানের জন্য অত সহজ হত না খেলাটা। আমরা ভুল করে গেছি। কিন্তু চেষ্টা করব যেসব ভুল করেছি সেগুলো যেন পরের ম্যাচে না করি।’
উরুর চোটে চট্টগ্রাম টেস্টের শেষ তিন দিন মাঠে নামতে পারেননি সাকিব আল হাসান। চোট থেকে সেরে না উঠায় ঢাকা টেস্ট থেকে ছিটকে গেছেন নন্দিত এই টাইগার অলরাউন্ডার। তিনি দলে থাকলে টিম বাংলাদেশ আরেও আত্মবিশ্বাসী হয়ে নামতে পারত বলে মত মিরাজের।
‘সাকিব ভাই থাকলে আমরা আরও ভালোভাবে ফিরে আসতে পারতাম। কারণ তিনি মাঠে থাকলে স্পিনারদের বিভিন্ন ভাবে বিভিন্ন রকম তথ্য দিতেন এবং তিনি নিজেও ভালো বোলিং করতেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত আমরা সাকিব ভাইকে মিস করেছি ওই ম্যাচটাতে ইনজুরি হয়ে যাওয়াতে। মিরপুর মাঠে খেলা সাকিব ভাই ছাড়া আমরা খেলবো। অবশ্য সাকিব ভাই থাকলে অনেক ভালো হতো, আমাদের ভুলগুলো কম হতো এবং আত্মবিশ্বাসটা অনেক বেশি পেতাম।’
১১-১৫ ফেব্রুয়ারি মিরপুর শের-ই-বাংলায় গড়াচ্ছে বাংলাদেশ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যকার দুই ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট। প্রথম টেস্ট ৩ উইকেটে জিতে সিরিজে ১-০তে এগিয়ে সফরকারি উইন্ডিজ।
সারাবাংলা/এমআরএফ/এসএস
টপ নিউজ ঢাকা টেস্ট দ্বিতীয় টেস্ট বাংলাদেশ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ মেহেদি হাসান মিরাজ