Thursday 09 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

নিস্তরঙ্গ সাগরিকায় মিরাজ ঢেউ


৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১৭:২৬ | আপডেট: ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১৭:৩০

চট্টগ্রাম থেকে: উইন্ডিজদের আক্রমণাত্নক বোলিংয়ে চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম দিন থেকেই ভুগেছে স্বাগতিক ব্যাটসম্যানরা। জোমেল ওয়ারিক্যান, রাকিম কর্নওয়াল ও এনক্রুমা ব্রোনারের ঘূর্ণি জাদু এবং কেমার রোচ, শ্যানন গ্যাব্রিয়েলের পেস তোপে সেই ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে দ্বিতীয় দিনের মধ্যাহ্ন বিরতি অবধি। টপ অর্ডার থেকে শুরু করে মিডল অর্ডার; তামিম ইকবাল থেকে লিটন দাস; স্বীকৃতরা কিন্তু কেউই জাদুকরি তিন সংখ্যা স্পর্শ করতে পারেননি। এমনকি ৭০ রানের কোঠাও নয়! সাদমানের ৫৯ ও সাকিবের ৬৮ রানই যা বলার মত। তাতে সাগরিকার রান প্রসবা ভেন্যুও যেন নিদারুণ নিস্তরঙ্গ ঠেকছিল। কী আশ্চর্য্য! সেখানেই কীনা দাপুটে সেঞ্চুরিতে ঢেউ তুললেন মেহেদি হাসান মিরাজ। তাতে প্রথম ইনিংসে ধুকতে থাকা টাইগাররা পেরিয়ে গেল চারশ (৪২০) রানের কোঠা। প্রাণের ঝংকারে আন্দোলিত হল ৫৬ হাজার বর্গমাইল।

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার (৪ ফেব্রুয়ার) সাগরিকার জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে মেহেদি হাসান মিরাজ যখন উইকেটে এলেন তখন বাংলাদেশের ২৪৮ রানে নেই ৬ উইকেট। দিনের তৃতীয় ওভারেই জোমেল ওয়ারিক্যানের ঘূর্ণিতে বোল্ড হয়ে মাত্র ৩৮ রানে লিটন দাস ইনিংসের ফুল স্টপ টেনে দেওয়ায় সা্ড়ে ৩শ রানও স্বাগতিকদের দিবা স্বপ্ন ঠেকছিল। সেই স্বপ্ন ক্রমেই বাস্তবসম্মত হয়ে উঠছিল যখন সাকিব আল হাসানও ৬৮ রানেই নিজের ইনিংসের সলিল সমাধি রচনা করে দিলেন। বাংলাদেশ দলে তখন ঘোর বিপর্যয়ের শঙ্কা। সাড়ে ৩শ ও হবে না!

বিজ্ঞাপন

কিন্তু মিরাজের ব্যাটে যেন চকিতেই তা উবে গেল! দলের বিপর্যয়ে ইস্পাতসম কঠিন মনোবলে শক্ত হাতে ধরলেন দলের হাল। কেমার রোচ, শ্যানন গ্যাব্রিয়েল, জোমেল ওয়ারিকন ও রাকিম কর্নওয়ালদের থোরাই কেয়ার করে উইলো চালালেন শতকের পথে। তাতে সাদা পোষাকের ক্যারিয়ারের তৃতীয় ফিলটি এলো চা পানের বিরতির আগেই। ১১৮ মিনিট ক্রিজে থেকে ১১৯ বল খেলে অর্ধশতকের দেখা পেয়েছেন এই অফস্পিনিং অলরাউন্ডার। এরপর আর জাদুকরি তিন সংখ্যা ছুঁলেন ২২৭ মিনিটে ১৬০ বল খেলে।

১৭৫ তম ওভারে জোমেল ওয়ারিক্যানের চতুর্থ বলটি ফাইন রেগে সুইপ করে সিঙ্গেল নেওয়ার সময় শূন্যে লাফিয়ে উঠে মুষ্ঠিবদ্ধ হাত বাতাসে ছুঁড়লেন প্রথম দফায়। দ্বিতীয় রান নেওয়ার সময় আরেক দফায়। এরপর যেন ডানা মেলে ভেসে চললেন। খানিক বাদে পিচের পাশে সিজাদা দিয়ে চুমুও খেলেন। চার ওভার পরে যখন রাকিমের বলে যখন ইনিংসের এপিটাফ লিখে দিলেন তখন নামের পাশে ১০৩ রান। যা তার টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম। শুধু টেস্টেই নয়, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও এটিই তার প্রথম সেঞ্চুরি। যার দেখা আগে কখনও কোন সংস্করণেই পাননি।

আট নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে এটি বাংলাদেশের চতুর্থ সেঞ্চুরি। একই পজিশনের নেমে ২০০৪ সালে শতকের দেখা পেয়েছিলে করেছিলেন খালেদ মাসুদ পাইলট, ২০১০ সালে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও ২০১৩ সালে সোহাগ গাজী।

টপ নিউজ টেস্ট সিরিজ বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ মিরাজের সেঞ্চুরি মেহেদি হাসান মিরাজ

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর