ডমিঙ্গোর লক্ষ্য বিশ্বকাপ
১৮ জানুয়ারি ২০২১ ১৮:২৭
পরবর্তী বিশ্বকাপ মাঠে গড়াবে আজ থেকে তিন বছরেরও বেশি সময় পরে। কিন্তু তাতে কি? বসে থাকার ফুসরত যেন একেবারেই দেখছেন না রাসেল ডমিঙ্গো। আর সেকারণেই আসন্ন উইন্ডিজ সিরিজ দিয়েই বিশ্বকাপের প্রস্তুতি শুরু করে দিতে চাইছেন এই টাইগার হেড কোচ। যাতে করে আর যাই হোক পয়েন্ট খোয়াতে না হয়।
২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে দলগুলোকে জায়গা করে নিতে আইসিসি র্যাংকিংয়ের কোনো হিসেব নেই। তিন বছর পর ভারতে অনুষ্ঠেয় ২২ গজের এই বিশ্বযুদ্ধে অবতীর্ণ হতে প্রতিটি দলকেই ‘আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ সুপার লিগ’ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে তবেই আসতে হবে। বাংলাদেশও যার ব্যতিক্রম নয়। এবং উইন্ডিজ সিরিজ দিয়েই সেই পরীক্ষা শুরু করতে যাচ্ছে তাইতো এত সতর্ক টাইগার হেড কোচ।
সোমবার (১৮ জানুয়ারি) সাংবাদিকদের সঙ্গে অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা জানান।
ডমিঙ্গো বলেন, ‘অবশ্যই সিরিজটি খেলতে আমরা মুখিয়ে। আমরা বেশ কিছু ঘরোয়া ক্রিকেট খেলেছি এবং বিস্তর অনুশীলনও করেছি। মাঠে নামতে প্লেয়ার ও কোচদের আর তর সইছে না। তাছাড়া গত ৯ দিন অনুশীলন ক্যাম্পেও আমরা ভালো প্রস্তুতি নিয়েছে। আরও একদিন নিতে হবে। এরপরেই ম্যাচ। দেখেন এটা আমাদের জন্য বড় সিরিজ। বিশ্বকাপ বাছাইয়ের পয়েন্টগুলো কিন্তু আমাদের লুফে নিতে হবে। আমাদের নিশ্চিত করতে হবে যেন সিরিজটা আমরা ভালো করতে পারি। এই মুহূর্তে আমরা এক একটি ম্যাচের প্রতিই ফোকাস করছি। সিরিজে আমরা ভালো শুরু চাই।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘মনে হতে পারে বিশ্বকাপ শুরুতে তিন বছর বাকি। কিন্তু আমরা জানি সময় কত দ্রুত চলে যায়। বলতে পারেন এটা বিশ্বকাপের পথে প্রথম পদক্ষেপ। ব্যাটিংয়ে হয়তো দুই একটি পরিবর্তন আসতে পারে। কিন্তু বিশ্বকাপের ছয় থেকে আট মাস আগেই আমাদের প্রতিষ্ঠিত একটি লাইন আপ দরকার। বিশ্বকাপে তারা যে অর্ডারে খেলবে এখন থেকেই সেখানে খেলবে।’
১৩টি দলের বিশ্বকাপ সুপার লিগের এই প্রতিযোগিতায় টেস্ট খেলুড়ে ১২ দেশের সঙ্গে থাকছে ‘আইসিসি ওয়ার্ল্ড ক্রিকেট সুপার লিগ ২০১৫-১৭’ চ্যাম্পিয়ন নেদারল্যান্ডসও। দলের প্রত্যেকে বাছাইপর্বে খেলবে ৮টি সিরিজ। হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে পদ্ধতিতে ৪টি নিজেদের মাঠে আর অপর ৪টি গড়াবে প্রতিপক্ষের মাঠে। প্রতি সিরিজেই তিনটি করে ওয়ানডে ম্যাচ থাকছে।
৮ সিরিজের মোট ম্যাচ সংখ্যা ২৪টি। প্রতি ম্যাচ জয়ের জন্য থাকছে ১০ পয়েন্ট, আর ড্র কিংবা নো রেজাল্ট হলে ৫ পয়েন্ট। ২০২৩ বিশ্বকাপের স্বাগতিক দেশ হিসেবে ভারত সন্দেহাতীতভাবেই খেলছে। সেটি যদি তারা পয়েন্ট তালিকায় ১৩ দলের মধ্যে ১৩ নম্বরে থাকে তবুও। ভারত বাদে পয়েন্ট তালিকায় শীর্ষ সাতটি দল টিকেট পাবে।
টেবিলের তলানির বাকি যে ৫ দল, তাদেরও বিশ্বকাপ খেলার সম্ভাবনা একেবারে শেষ হয়ে যাবে না। তারা অংশ নেবে আরেকটি বাছাইপর্বে। সেখানে এই ৫ দলের সঙ্গে আইসিসি সহযোগী আরও ৫টি দেশ থাকবে। ১০ দলের মধ্যে শীর্ষ ২টি দল খেলবে বিশ্বকাপ।
তাই চোখ বন্ধ করে বলা যায় এই বিশ্বকাপে খেলতে টাইগারদের দুর্গম পথ পাড়ি দিয়ে তবেই আসতে হবে। বলার অপেক্ষা রাখে না গত ৫ বছর ধরে ওয়নাডে ফরম্যাটে ধারাবাহিকভাবেই ভালো খেলে আসছে লাল সবুজের দল। কিন্তু তারপরেও আগে থেকেই সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করছেন হেড কোচ ডমিঙ্গো।
সারাবাংলা/এমআরএফ/এসএস
উইন্ডিজ সিরিজ টপ নিউজ প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গো বাংলাদেশ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ রাসেল ডমিঙ্গো লক্ষ্য বিশ্বাকাপ