অবশেষে জয় পেলো ঢাকা
২ ডিসেম্বর ২০২০ ১৭:১৩ | আপডেট: ২ ডিসেম্বর ২০২০ ১৭:১৯
১০৯ রানের টার্গেট আধুনিক টি-টোয়েন্টিতে কিছুই না। তবুও বেক্সিমকো ঢাকার ইনিংসের শুরুতে মনে হচ্ছিল জিততে পারবে তো মুশফিকুর রহিমের দল! আগের টানা তিন হারের চাপ তো ছিলই, ২১ রানের মধ্যে দুই ওপেনারকেও হারিয়ে বসে ঢাকা। তবে মুশফিকুর রহিম আঠার মতো লেগে ছিলেন শেষ অবধি। যাতে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে নিজেদের প্রথম জয়টা পেয়েছে বেক্সিমকো ঢাকা।
বুধবার (২ ডিসেম্বর) মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ৭ উইকেটের জয় পেয়েছে ঢাকা। টুর্নামেন্টে এই প্রথম জয়ের দেখা পেলো দলটি। এর আগে তিন ম্যাচ খেলে প্রতিটিতেই হেরেছে মুশফিকের দল।
১০৮ রানের জবাব দিতে নেমে ২১ রানে দুই ওপেনারকে হারানোর পর স্রেফ উইকেটে পড়ে থাকতে চেয়েছেন মুশফিক। হাতে অনেক বল ছিল, ফলে উইকেটে থাকলেই জয় আসবে সেটা বুঝতেই পারছিলেন। মুশফিক সে মোতাবেক ঝুঁকিও নেননি। ওপেনিং থেকে চারে নামার তানজিদ হাসান তামিমের সঙ্গে জুটি বেঁধে প্রথমে ধস ঠেকিয়েছেন।
পরে ইয়াসির রাব্বির সঙ্গে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছেড়েছেন মুশফিক। শেষ দিকে বেশ আক্রমনাত্মক খেললেন ইয়াসির। ৩০ বলে ৩টি চার ২টি ছয়ে ৪০ রান করে অপরাজিত ছিলেন। ধরে খেলা মুশফিক অপরাজিত ছিলেন ৩৪ বলে ১ চারে ২৩ রান করে। তানজিদ হাসান ২০ বলে করেন ২২ রান।
এর আগে রবিউল ইসলাম রবি ও শফিকুল ইসলামের দারুণ বোলিংয়ে বরিশালকে ১০৮ রানেই বেঁধে রাখে ঢাকা। তামিম ইকবাল দুদিন আগে বলেছিলেন টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ২০-৩০ রান করে আউট হওয়াটা অপরাধ! সেই অপরাধটা আজ আবারও করেছেন তামিম। ৩১ বলে ৩১ রান করে আউট হয়ে ফিরেছেন বরিশাল অধিনায়ক।
টস হেরে প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে প্রথম উইকেটে ২৭ রান তোলা বরিশাল তারপর ১ রানের ব্যবধানে তিন উইকেট হারিয়ে বসে। সেই ধাক্কাটা পরে আর কাটিয়ে উঠতে পারেনি দলটি। ওপেনিংয়ে একপ্রান্ত ধরে রেখে কিছুটা এগিয়েছেন তামিম ইকবাল। মিডলঅর্ডারে বলার মতো রান পেয়েছেন হৃদয়। তা না হলে হয়তো একশ’ও হতো না বরিশালের।
নির্ধারিত ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১০৮ রান তোলে বরিশাল। তামিম ৩ চার ১ ছয়ে করেছেন ৩১ রান। হৃদয়য়ের ৩৩ বলে ৩৩ রানের ইনিংসটি ২টি চার ১টি ছয়ে সাজানো।
ঢাকার হয়ে দারুণ বোলিং করেছেন রবিউল ইসলাম রবি। চার ওভারে ২০ রান খরচ করে চার উইকেট নিয়েছেন তিনি। ১০ রানে দুই উইকেট নিয়েছেন শফিকুল ইসলাম।
টপ নিউজ তামিম ইকবাল ফরচুন বরিশাল বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি লিগ বেক্সিমকো ঢাকা মুশফিকুর রহিম