Thursday 23 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সুমনের তাণ্ডবের পর শুক্কুরের দৃঢ় ব্যাটিংয়ে শান্তদের সংগ্রহ ১৭৩


২৫ অক্টোবর ২০২০ ১৭:০৮ | আপডেট: ২৫ অক্টোবর ২০২০ ১৭:২৭

বিসিবি প্রেসিডেন্ট’স কাপের ফাইনালে মিরপুর শের-ই-বাংলায় টস জিতে নাজমুল হোসেন শান্ত একাদশকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। টস জিতে আগে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়াটা যে সঠিক ছিল তা রিয়াদের দলের দুই পেসার রুবেল হোসেন এবং সুমন খান। অন্যদিকে নাজমুল একাদশের ব্যাটসম্যানরা ব্যর্থ হলেও একমাত্র ইরফান শুক্কুরের দৃঢ় ব্যাটিংয়ে লড়াকু স্কোর দাঁড় করায় শান্ত একাদশ।

শুক্কুরের ৭৭ বলে ৭৫ রানের দুর্দান্ত ইনিংসে ৪৭.১ ওভারে ১৭৩ রানে অলআউট হয় শান্ত একাদশ। ইনিংসের ৪৭তম ওভারে দুর্দান্ত বোলিং করা রুবেল হোসেনের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন শুক্কুর। যখন ফিরছিলেন তখন শান্ত একাদশের রান সংখ্যা ৯ উইকেট হারিয়ে ১৭১ রান। মাহমুদউল্লাহ একাদশের হয়ে সর্বোচ্চ ৫টি উইকেট নেন পেসার সুমন খান। ১০ ওভার বল করে মাত্র ৩৮ রানের বিনিময়ে ৫টি উইকেট নেন তিনি। বিসিবি প্রেসিডেন্ট’স কাপে সাইফউদ্দিনের পর দ্বিতীয় বোলার হিসেবে এক ইনিংসে ৫টি উইকেট নিয়েছেন সুমন খান।

বিজ্ঞাপন

সুমন ছাড়াও এদিন গোটা টুর্নামেন্ট জুড়ে দুর্দান্ত বোলিং করা অভিজ্ঞ টাইগার পেসার রুবেল হোসেনও জ্বলে ওঠেন। প্রথম স্পেলের ৫ ওভারে ২টি মেডেনের সঙ্গে ৯ রান দিয়ে তুলে নিয়েছিলেন একটি উইকেট। আর শেষ দিকে এসে নিজের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত করে দারুণ ব্যাটিং করা ইরফান শুক্কুরের উইকেটটি। আর এর মাধ্যমেই মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের সঙ্গে যৌথভাবে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি বনে যান।

টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই রুবেল হোসেনের তাণ্ডবের সামনে পড়ে শান্ত একাদশ। ইনিংসের প্রথম ওভারেই রুবেল হোসেনের বলে মাত্র ৪ রান করে ফিরতে হয় ওপেনার সাইফ হাসানকে। এরপর উইকেটে আসেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। তবে তিনি উইকেটে আসার পরেই রিটায়ার হার্ট হয়ে ড্রেসিংরুমে ফেরেন সৌম্য সরকার। সৌম্য রিটায়ার হার্ট হয়ে ফিরলে উইকেটে আসেন মুশফিকুর রহিম।

বিজ্ঞাপন

তবে খুব বেশি সময় উইকেটে থাকতে পারেননি মুশফিক। সুমন খানের প্রথম শিকারে পরিণত হওয়ার আগে ৩৭ বলে মাত্র ১২ রান করেন মুশফিক, দলীয় ৩৫ রানেই ২ উইকেট হারায় শান্ত একাদশ। এরপর আবারও মাঠে ফেরেন সৌম্য, তবে ১৫তম ওভারে দলীয় ৪৩ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ৫ রানে সুমন খানের দ্বিতীয় শিকার হয়ে ফেরেন তিনি। ৪৩ রানে ৩ উইকেটে হারিয়ে চাপে পড়া শান্তদের চেপে ধরেন সুমন। উইকেটে নতুন আসা আফিফ হোসেন ধ্রুবকে কোনো রান তোলার আগেই নিজের তৃতীয় শিকারে পরিণত করেন সুমন খান।

এরপর তাওহিদ হৃদয়ের সঙ্গে ১৯ রানের জুটি গড়ে দলীয় ৬৪ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ৩২ রানে মেহেদি হাসান মিরাজের শিকার হয়ে ফেরেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। মাত্র ৬৪ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে যখন ধুকছিল ঠিক সে সময়ই ক্রিজে আসেন ইরফান শুক্কুর। হৃদয়কে সঙ্গে নিয়ে দলের বিপর্যয় সামাল দিয়ে গড়েন ৭০ রানের জুটি। ইনিংসের ৩৬তম ওভারে মাহমুদউল্লাহ হৃদয়কে (২৬) তুলে নিলে ভাঙে এই জুটি। এরপরও নিজের দৃঢ় ব্যাটিং ধরে রাখেন শুক্কুর তুলে নেন অর্ধশতক।

উইকেটের অপরপ্রান্তের ব্যাটসম্যানরা যাওয়া আসার মাঝে থাকলেও তিনি ছিলেন দৃঢ়। স্কোরবোর্ডে ১৪৭ রান যোগ হতে ফেরেন নাইম হোসেন (৭), ১৬০ হতে ফেরেন নাসুম আহমেদ (৩) এরপর ১৭১ রানে ব্যক্তিগত ৭৫ রানে শুক্কুর ফিরলে দলীয় সংগ্রহ ২০০ কেবল স্বপ্নই রয়ে যায় শান্ত একাদশের। শেষ উইকেটে তাসকিন এবং আল-আমিন মাত্র ২ রান তুলতেই তাসকিন এবাদত হোসেনের বলে বোল্ড হয়ে ফিরলে ১৭ বল বাকি থাকতেই ১৭৩ রানে অলআউট হয় নাজমুল হোসেন শান্ত একাদশ। আর তাতেই মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দলের সামনে জয়ের লক্ষ্য দাঁড়ায় নির্ধারিত ৫০ ওভারে ১৭৪ রানের।

স্কোরবোর্ড:

শান্ত একাদশ: ১৭৩/১০; (৪৭.১ ওভার); (ইরফান শুক্ক্রু ৭৫, নাজমুল ৩২); (সুমন খান ৫/৩৮, রুবেল হোসেন ২/২৭)

মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ একাদশের জয়ের লক্ষ্য ১৭৪ রানের।

মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ একাদশ:

মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (অধিনায়ক), লিটন কুমার দাস, মুমিনুল হক, মাহমুদুল হাসান জয়, নুরুল হাসান সোহান, সাব্বির রহমান, ইমরুল কায়েস, এবাদত হোসেন চৌধুরী, রুবেল হোসেন, মেহেদি হাসান মিরাজ, আমিনুল ইসলাম বিপ্লব এবং সুমন খান।

নাজমুল হোসেন শান্ত একাদশ:

নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), সাইফ হাসান, সৌম্য সরকার, আফিফ হোসেন ধ্রুব, মুশফিকুর রহীম, তৌহিদ হৃদয়, ইরফান শুক্কুর, তাসকিন আহমেদ, মোহাম্মদ আল-আমিন হোসেন, নাঈম হাসান, নাসুম আহমেদ ও আবু জায়েদ রাহী।

ইরফান শুক্কুর টপ নিউজ নাজমুল একাদশ বনাম মাহমুদউল্লাহ একাদশ প্রেসিডেন্ট'স কাপ ফাইনাল প্রেসিডেন্টস কাপ ফাইনাল বিসিবি প্রেসিডেন্ট'স কাপ সুমন খান

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর