তামিমদের বিদায়, ফাইনালে নাজমুল-মাহমুদউল্লাহ একাদশ
২১ অক্টোবর ২০২০ ২৩:৩১ | আপডেট: ২১ অক্টোবর ২০২০ ২৩:৩৬
বিসিবি প্রেসিডেন্ট’স কাপের ফাইনালের দৌড়ে টিকে থাকতে হলে জয়ের বিকল্প ছিল না তামিম একাদশের। জয়ের ভালো একটা সম্ভাবনা জাগিয়েছিলও তামিমের দল। একটা সময় মনে হচ্ছিল জয়টা তামিমদের জন্য সময়ের ব্যাপার মাত্র। তবে বিস্ময়করভাবে ম্যাচটা শেষ পর্যন্ত ৭ রানে হেরেছে তামিম একাদশ।
এই হারের সঙ্গে টুর্নামেন্ট থেকেও বিদায় নিশ্চিত হলো তামিমের দলের। অপর দিকে ফাইনাল নিশ্চিত হয়ে গেছে নাজমুল একাদশ ও মাহমুদউল্লাহ একাদশের। এ নিয়ে গ্রুপের পর্বে চারটি করে ম্যাচ খেলে নাজমুল একাদশ জিতল তিনটিতে, মাহমুদউল্লাহ একাদশ দুটিতে এবং তামিম একাদশ একটিতে।
মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আজ বৃষ্টির কারণে খেলা বন্ধ থেকেছে পাক্কা তিন ঘণ্টা। তাতে ম্যাচের দৈর্ঘ্য কমিয়ে আনা হয় ৪১ ওভারে। প্রথমে ব্যাটিং করে ১৬৫ রান তোলে নাজমুল একাদশ। জবাব দিতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি তামিম একাদশের। শুরুতে রান তুলতে পারেননি দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও এনামুল হক বিজয়। বিজয় ১৩ বলে ৭ রান করে ফেরেন, অন্য প্রান্তে প্রথম ২৩ বলে মাত্র ৩ রান তুলতে পারেন তামিম।
তবে ওয়ানডে দলের অধিনায়ক উইকেটে সেট হওয়ার পর দলের ইনিংস অনেকটা একাই এগিয়ে নিচ্ছিলেন। ২৮তম ওভারে দুই উইকেট হারিয়ে দলীয় ১০০ রান পূর্ণ করে তামিম একাদশ। শেষ ৮৫ বলে ৬৬ রান লাগত তামিমের দলের, হাতে তখন আট উইকেট। তারপরও ম্যাচটা জিততে পারল না দলটি।
দলীয় ১০১ রানের মাথায় তামিম ৮৫ বলে ৬ চারে ৫৭ রান করে ফিরলে যে থাক্কা খায় দলটি পরে সেটা আর কাটিয়ে উঠতে পারেননি পরবর্তী ব্যাটসম্যানরা। ১০১ রানের মাথায় তৃতীয় উইকেট হারানো দলটি গুটিয়ে যায় ১৫৬ রানে। তামিম ফেরার পর এক মোহাম্মদ মিঠুন (২৯) ছাড়া দাঁড়াতে পারেননি আর কেউই।
তামিমদের এই ধসে বড় অবদান তাসকিন আহমেদের। টুর্নামেন্টের প্রতি ম্যাচেই দারুণ বোলিং করা তাসকিন সেভাবে উইকেট পাচ্ছিলেন না। আজ সেই আক্ষেপ ঘুচল। ৮ ওভারে ৩৬ রান খরচায় ৪ উইকেট তুলে নিয়ে তামিমদের জেতা ম্যাচটা জিততে দেননি তাসকিন। নাজমুল একাদশের অপর পেসার আল-আমিন হোসেন একটা মাত্র উইকেট পেলেও ৯ ওভারে রান দিয়েছেন মাত্র ১৯।
এর আগে নাজমুল একাদশের ১৬৫ রানের সংগ্রহে বড় অবদান মুশফিকু রহিম ও আফিফ হোসেন ধ্রুবর। নাজমুল একাদশের টপ অর্ডার আজও ব্যর্থ হয়েছে। ২৫ রানে ফিরে যান প্রথম তিন ব্যাটসম্যান পারভেজ হাসান ইমন (১০), সৌম্য সরকার (৯) ও নাজমুল হোসেন শান্ত (৫)। তবে গত ম্যাচের মতো এই ম্যাচেও তারপর এসে প্রতিরোধ গড়ে তুললেন মুশফিকুর রহিম ও তরুণ আফিফ হোসেন ধ্রুব।
বৃষ্টির আগে পরে মিলিয়ে দুজনের জুটি ছিল ৯০ রানের। মুশফিক ৭৫ বলে ৩ চার ১ ছয়ে ৫১ রান করে ফিরলে দুজনের জুটি ভাঙে দলীয় ১১৫ রানের মাথায়। তখন ইনিংসের ২৯তম ওভারের খেলা চলছিল। অর্থাৎ বাকি ছিল আরও দশ ওভারের বেশি। সে হিসেবে স্কোর দুইশ পেরুনোর ভালো সম্ভাবনাই ছিল। সেটা হয়নি সাইফউদ্দিনের আগুন ঝড়ানোর বোলিংয়ের কারণে। মিডল অর্ডারে মুশফিকুর, তৌহিদ হৃদয়কে ফেরানো সাইফ নাজমুল একাদশের শেষটা একাই মুড়িয়ে দিয়েছেন।
শেষ পর্যন্ত ৩৯.৩ ওভারে ১৬৫ রানে গুটিয়ে গেছে নাজমুল একাদশ। দলটির পক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪০ করেছেন আফিফ হোসেন ধ্রুব। সাইফুদ্দিন ৮.৩ ওভারে ২৬ রান খরচায় পাঁচ উইকেট নিয়েছেন। দারুণ বোলিং করেছেন মোস্তাফিজুর রহমানও। ৮ ওভারে ৩৬ রান খরচায় তিন উইকেট নিয়েছেন তিনি। তরুণ স্পিনার শেখ মেহেদি হাসান ৩৪ রানে নিয়েছেন দুই উইকেট।
টপ নিউজ তামিম একাদশ তামিম একাদশ বনাম নাজমুল একাদশ নাজমুল একাদশ বিসিবি প্রেসিডেন্ট'স কাপ