করপোরেট লিগ আয়োজনের ভাবনা বিসিবি’র
১৪ সেপ্টেম্বর ২০২০ ২১:২৯ | আপডেট: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২০ ২১:৩৬
শ্রীলঙ্কা সিরিজের সম্ভাবনা শেষ। অতিমারির সময়ে সামাজিক নিরাপত্তা বজায় রেখে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ, জাতীয় ক্রিকেট লিগ কিংবা বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের মতো বড় আসর আয়োজনও ঝুঁকিপূর্ণ। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে ক্রিকেটের বন্ধ দুয়ার খুলতে করপোরেট ক্রিকেট লিগ আয়োজনের কথা জানালেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড-বিসিবি’র হাই পারফরম্যান্স ইউনিটের চেয়ারম্যান নাইমুর রহমান দুর্জয়।
এজন্য জাতীয় দলের পুলের ক্রিকেটারদের দুই-তিনটি দলে ভাগ করে, হাই পারফরম্যান্স দল ও অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে নিয়ে লিগ আয়োজনের সম্ভাব্যতার বিষয়টি তুলে ধরলেন দুর্জয়।
সোমবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের চত্বরে সংবাদ মাধ্যমকে তিনি একথা জানান।
দুর্জয় বলেন, ‘ঘরোয়া লিগ বলতে আমাদের ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ বা বিপিএল, বিসিএল এভাবে চিন্তা না করে এখন যেহেতু একটা বায়ো সিকিউরিটির ব্যাপার আছে সেহেতু আমাদের বোর্ডের একটা প্রস্তুতির ব্যাপার আছে। বোর্ডের নিয়ন্ত্রণে আছে যেসব সেসব আয়োজন করতে পারি। জাতীয় দলের দুইটা তিনটা দল, হাই পারফরম্যান্স আছে, অনূর্ধ্ব-১৯ দল আছে সবাইকে নিয়ে আমাদের চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটার আছে তাদের একসাথে করে যদি কোনো খেলা আয়োজন করতে পারি।’
করোনা মহামারিতে দেশের বিপর্যন্ত অর্থনৈতিক পরিস্থিতে ক্লাবগুলোর পক্ষে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ চালানো কঠিন, উল্লেখ করে আপদকালীন সংকট নিরসনে করপোরেট লিগের ওপরেই সবিশেষ গুরুত্বারোপ করেন হাই পারফরম্যান্স ইউনিটের চেয়ারম্যান। ‘আপনারাও জানেন ক্লাবগুলোর জন্য এখন কঠিন, আমরা কোয়াবের পক্ষ থেকেও যোগাযোগ করেছি। সেক্ষেত্রে যদি করপোরেট হাউজগুলো এগিয়ে আসে তাহলে সম্ভবত করপোরেট লিগ হতে পারে।’
শ্রীলঙ্কান সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে পরামর্শ সাপেক্ষে গতকাল পাঠানো এক চিঠিতে দেশটির ক্রিকেট বোর্ড বিসিবিকে জানিয়েছে তিন ম্যাচ সিরিজের টেস্ট খেলতে দেশটি সফরে যেতে হলে অবশ্যই সফরকারী বাংলাদেশকে ১৪ দিনের কোয়ারেনটাইনে থাকতে হবে যেখানে দু’দিন আগেও তারা বলেছিল ৭ দিন কোয়ারেনটাইন করলেও চলবে। এবং কোয়ারেনটাইন চলাকালীন ক্রিকেটাররা নিজ নিজ কক্ষ থেকে বের হতে পারবেন না এমনকি অনুশীলনও করতে পারবে না! অথচ আগস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইংল্যান্ড সফর ও তার অব্যবহিত পরে পাকিস্তানের ইংল্যান্ড সফরে এটা দেখা যায়নি। দুই দেশই কোয়ারেনটাইন চলাকালীন অনুশীলন করেছে।
শর্তের শেষ এখানেই নয়। স্বাগতিক দেশটির বোর্ড এও জানিয়ে দিয়েছে অনুশীলনে টিম বাংলাদেশকে তারা কোনো থ্রোয়ার, নেট বোলার দিবে না এবং বাংলাদেশ থেকেও সঙ্গে নিতে না করে দিয়েছে। আইসিসি’র টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের মতো এত তাৎপর্যপূর্ণ একটি সিরিজে লঙ্কান ক্রিকেট বোর্ডের এসব শর্তে দেশটি সফরে সম্মত নয় বলে সাফ না বলে দিয়েছে। এবং এই ‘না’ এর প্রেক্ষিতে স্বাগতিকরা কী জানায় সেজন্য অপেক্ষা করছে। আশা করা যাচ্ছে আগামিকালের মধ্যেই তাদের অবস্থান তারা জানিয়ে দিবে। আপাতদৃষ্টিতে তাই ধরেই নেওয়া যায়, সিরিজটি হচ্ছে না।
সিরিজটি হচ্ছে না ভালো কথা তাহলে ক্রিকেটাররা কী করবে, বসে থাকবে? কেননা করোনা অতিমারির কারণে প্রায় ৭ মাস হতে চলেছে কেউই ক্রিকেটীয় কার্যক্রমের মধ্যে নেই। না, সেটা হচ্ছে না মোটেই। বরং দ্রুততম সময়ে মধ্যে ঘরোয়া ক্রিকেট লিগ ফেরাবে বিসিবি। হতে পারে করপোরেট ক্রিকেট লিগটিই সেই লিগ, যা দিয়ে ক্রিকেটের বদ্ধ দুয়ার খুলে যেতে পারে।
করপোরেট লিগ ঘরোয়া ক্রিকেট লিগ টপ নিউজ নাজমুল হাসান পাপন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)