মুশফিকদের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে শের-ই-বাংলার উইকেট
২৭ আগস্ট ২০২০ ১৫:৪৩
দুপুর দেড়টা কি তার কিছুটা এদিক ওদিক। মিরপুর শের-ই-বাংলার ইনডোর থেকে মূল ভেন্যু হয়ে বিসিবি কার্যালয়ের দিকে যাচ্ছিলেন জাতীয় দলের প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু ও নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমন। ভেন্যুর উইকেটের কাছে আসতেই হাঁটু গেড়ে বসলেন মিনহাজুল আবেদীন। টিপে টিপে তিন নম্বর উইকেটটি পরখ করে নিলেন। অদূরে দাঁড়িয়ে হাবিবুল বাশারও দেখতে লাগলেন। খানিকবাদে উঠে দুই নির্বাচকই হাঁটা শুরু করলেন।
কেন? তা খুব সহজেই অনুমেয়। ২৪ অক্টোবর থেকে অনুষ্ঠেয় লঙ্কা সিরিজকে সামনে রেখে ২১ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হবে জাতীয় দলের অনুশীলন। সেই লক্ষ্যেই প্রস্তুত করা হচ্ছে উইকেট। সফরকে সামনে বরাবরের মতো এবারও ব্যাটিং অনুশীলনটা এখানেই সেরে নেবেন মুশফিক-মুমিনুলরা। শুধু তিন নম্বর কেন? বাকি ৭টিও প্রস্তুত করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ আগস্ট) সারাবাংলার সঙ্গে আলাপকালে বিসিবি’র গ্রাউন্ডস ও ফ্যাসিলিটিস বিভাগের সিনিয়র ম্যানেজার সৈয়দ আব্দুল বাতেনও তাই জানালেন।
বাতেন বললেন, ‘আপনারা জানেন আমরা সবসময়ই উইকেট প্রস্তুত রাখি। সেন্টার উইকেট, সাইড উইকেট সবই প্রস্তুত রাখতে হয়। তো এখন আমাদের যে প্রস্তুতিটা দেখছেন সেটা শ্রীলঙ্কা সিরিজের জন্য। সবই প্রস্তুত ছিল। এখন ফাইন টিউন দিচ্ছি।’
করোনাকালে গত ১৯ জুলাই আইসিসি’র গাইডলাইন অনুসরণ করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দেশের ৪ ভেন্যু; মিরপুর শের-ই-বাংলা, চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী, সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম ও খুলনা শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে অনুশীলন ফেরায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড-বিসিবি। সময় গড়ানোর সঙ্গে ভেন্যুর সঙ্গে বেড়েছে ক্রিকেটারদের সংখ্যাও। শুরুতে যেখানে চারটি ভেন্যু ছিল এখান তা বেড়ে দঁড়িয়েছে ৭টিতে। পরে যোগ হওয়া তিনটি হল- রাজশাহীর শহীদ কামরুজ্জামান স্টেডিয়াম, বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে ও রংপুর বিভাগীয় স্টেডিয়াম। আর প্রথমধাপে দেশব্যাপী ৯ ক্রিকেটার অনুশীলন করলেও এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩০ জনে।
এর মধ্যে চতুর্থ ধাপ থেকে হোম অব ক্রিকেট মিরপুর শের-ই-বাংলায় নিয়মিত অনুশীলনে ঘাম ঝরাচ্ছেন ১৭ ক্রিকেটার। কিন্তু কেউই এখনো মূল ভেন্যুতে ব্যাটিং অনুশীলন করতে পারেননি। এমনকি বোলাররাও হোম ভেন্যুর উইকেটে বোলিংয়ের সুযোগ পাননি। ব্যাটসম্যানরা নক করেছেন শের-ই-বাংলার ইনডোরে ও ইনডোরের বাইরের মাঠের নেটে। আর বোলাররা বল করেছেন জাতীয় একাডেমির মাঠে। তবে বিসিবি’র প্রস্তুতি দেখে মনে হচ্ছে অনতিবিলম্বেই তাদের অপেক্ষার অবসান হতে চলেছে।
অতিমারির কারণে সম্ভবত স্মরণকালের সবচেয়ে দীর্ঘ বিশ্রাম পেয়েছে মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম। এতে মাঠও সবুজাভ একটি বর্ণ ধারণ করেছে, আগে যা ধূসর দেখাত। কেননা হোম ভেন্যু হওয়ায় সব ধরনের ক্রিকেটই এখানে গড়িয়ে থাকে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তো বটেই ঘরোয়া লিগের খেলাও বাদ যায় না। কাজেই পর্যাপ্ত বিশ্রাম কখনোই মেলেনা। এতে করে উইকেটও অভবিতব্য হয়ে উঠেছিল। চাইলেও নিজেদের মতো করে গড়তে পারছিল না টাইগার প্রশাসন। কিন্তু লম্বা সময় বিশ্রামের পরে যেটা হলো, প্রাণ ফিরে পেল শের-ই-বাংলার উইকেট। এখন চাইলেই নিজেদের মতো করে উইকেট প্রস্তুত করতে পারবে লাল সবুজের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ প্রশাসন।
অনুশীলন ফিরিয়েছে বিসিবি উইকেট প্রস্তুত হচ্ছে টপ নিউজ বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) শের-ই-বাংলা হোম অব ক্রিকেট