ইউনাইটেডকে হারিয়ে ইউরোপার ফাইনালে সেভিয়া
১৭ আগস্ট ২০২০ ০৩:১১ | আপডেট: ১৭ আগস্ট ২০২০ ১২:২২
সম্প্রতি সময়ে ইউরোপা লিগকে যেন নিজেদের সম্পত্তি বানিয়ে নিয়েছে সেভিয়া। আবারও তার প্রমাণ দিল দলটি। এক লেগের সেমিফাইনালে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে ২-১ গোলে হারিয়ে উঠে গেল ফাইনালে। এই মৌসুমে আরও একবার সেমি থেকে বাদ পড়ল ইউনাইটেড, সেজন্য অবশ্য নিজেদেরই দায়ী করতে পারে তারা।
উয়েফা ইউরোপা লিগের প্রথম সেমিফাইনালে মুখোমুখি হয় ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড এবং সেভিয়া। রোববার (১৬ আগস্ট) বাংলাদেশ সময় রাত একটায় শুরু হয় ম্যাচটি। আর নতুন নিয়মে এক লেগে অনুষ্ঠিত হচ্ছে নকআউট পর্বের ম্যাচগুলো। তাই তো সেমিফাইনালের এই ম্যাচে জিতলেই ফাইনাল নিশ্চিত জয়ী দলের। জার্মানির রেইন এনার্জি এস্তাদিওনে অনুষ্ঠিত হয় প্রথম সেমিফাইনাল।
দুই দলের একাদশ:
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড: ডেভিড ডি গিয়া, ব্র্যান্ডন উইলিয়ামস, হ্যারি মাগুয়ের, ভিক্টর লিন্ডেলফ, অ্যারন ওয়ান বিসাকা, পল পগবা, ফ্রেড, মেসন গ্রিনউড, ব্রুনো ফার্নান্দেজ, মার্কাস রাশফোর্ড এবং অ্যান্থনি মার্শিয়াল।
সেভিয়া: ইয়াসিন বনু, জেসুস নাভাস, জুলেস কোন্দে, ডিয়েগো কার্লোস, সার্জিও রেগুলন, এভার বানেগা, ফার্নান্দো, জোয়ান জর্ডান, সুসো, ইউসেফ এন নেসির এবং লুকাস ওকম্পাস।
ম্যাচের শুরুটা দুর্দান্ত করেছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। ম্যাচের সপ্তম মিনিটে স্পট কিকে ইউনাইটেডকে এগিয়ে নেন ফার্নান্দেজ। ডি-বক্সে মার্কাস রাশফোর্ড ফাউলের শিকার হলে মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলে নিজেদের ২২তম পেনাল্টিটি পায় প্রিমিয়ার লিগের দলটি। স্পট কিক থেকে করা ব্রুনো ফার্নান্দেজের গোলে ইউনাইটেড তখন এগিয়ে যায় ১-০ ব্যবধানে।
এর ঠিক মিনিট সাতেক পর আবারও গোলের সুযোগ পেয়েছিল ইউনাইটেড। এবার ফার্নান্দজের পাস থেকে বক্সে বল পান ফ্রেড। কিন্তু বল গোল বরাবর রাখতে পারেননি। মিনিটখানেক পরেই ম্যাচের প্রথম সুযোগ পায় সেভিয়া, তবে বক্সের বাঁ-দিক থেকে লুকাস ওকম্পাসের দুর্দান্ত শট ঠেকিয়ে দেন ডি গিয়া। এরপর নিজেদের গুছিয়ে নিয়ে আক্রমণের ধার বাড়ায় স্প্যানিশ ক্লাবটি। আর গোল পরিশোধের জন্য তাদের অপেক্ষা করতে হয় ম্যাচের ২৬ মিনিট পর্যন্ত।
বাঁ-প্রান্ত থেকে দারুণ এক আক্রমণ করেন লেফটব্যাক সার্জিও রেগুলিয়ন। তার ক্রসে সুসো দুর্দান্ত এক ফিনিশিংয়ে বল পাঠিয়ে দেন ইউনাইটেডের জালে। সমতায় ফেরে সেভিয়া। তবে ইউনাইটেড নিজেদের দুর্ভাগা মনে করতে পারে, সেভিয়ার আক্রমণের উৎস ছিল একটা ফলস থ্রো ইন। ৩২ মিনিটে পগবার পাস থেকে ভালো সুযোগ পেয়েছিলেন মার্শিয়াল, কিন্তু তার বাঁকানো শট একটুর জন্য পোস্টের ওপর দিয়ে চলে যায়।
প্রথমার্ধে দুর্দান্ত আক্রমণ আর প্রতি আক্রমণে শেষ হয়েছে ১-১ গোলের সময়তায়। শেষ দুই মিনিটে ব্রুনোর শট ঠেকিয়ে দিয়ে দলকে ম্যাচে ধরে রেখেছিলেন সেভিয়া গোলরক্ষক ব্রুনো, এরপর আবার পালটা আক্রমণ থেকে বক্সের ভেতর ঢুকেও সুযোগ হারিয়েছেন রাশফোর্ড।
টানা কিছু সুযোগ নষ্ট করেছে রেড ডেভিলরা। তখন তো সেভিয়ার নায়কই বনে যান গোলকিপার ইয়াসসিন বুনু। ইউনাইটেড ফরোয়ার্ড অ্যান্থনি মার্শিয়ালকে বেশ কয়েকবার গোল বঞ্চিত করেছেন তিনি। সেই সুযোগে নিজেরা কিন্তু কোনো ভুল করেনি সেভিয়া। ৭৮ মিনিটে জয় সূচক গোলটি করেন লুক ডি ইয়ং। আর তাতেই ২-১ গোলের ব্যবধানে এগিয়ে ইউরোপা লিগের রাজাদের। আর নিশ্চিত হয়ে ষষ্ঠ ইউরোপা লিগের ফাইনাল।
উয়েফা ইউরোপা যেন নিজেদেরই করে রেখেছে সেভিয়া। দুর্দন্ত পারফরম্যান্স করে মোট পাঁচবার আর টানা তিনবার জয় করে ইউরোপার শিরোপা। এবার ষষ্ঠ শিরোপা জয়ের লক্ষ্যে ফাইনালে সেভিয়া। ওলে গানার সোলশারের স্পর্শ বদলে যাওয়া ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে হারিয়েছে হুলেন লোপেতেগির সেভিয়া।
উয়েফা ইউরোপা টপ নিউজ ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড বনাম পার্টিজেন বেলগ্রেড সেমিফাইনাল