কষ্টার্জিত জয়ে তিনে শক্ত অবস্থানে চেলসি
১৫ জুলাই ২০২০ ০৩:৩৫ | আপডেট: ১৫ জুলাই ২০২০ ০৩:৩৭
ঘরের মাঠ স্টামফোর্ড ব্রিজে নরউইচ সিটিকে ১-০ গোলে হারিয়েছে চেলসি। আর এই জয়ে প্রিমিয়ার লিগের শীর্ষ তিনে থাকার সম্ভবনা টিকে রইল চেলসির। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে জমে উঠেছে উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের দুই স্পটের লড়াই। শিরোপা জয়ী লিভারপুল আর দ্বিতীয় স্থানে থাকা ম্যানচেস্টার সিটির ইউসিএল খেলা নিশ্চিত হলেও বাকি দুই জায়গার জন্য লড়াই জমে উঠেছে। ৩য় এবং ৪র্থ স্পটের জন্য লড়ছে চেলসি, লেস্টার সিটি এবং ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড।
নরউইচের বিপক্ষে ম্যাচের আগে চেলসি এবং নিজেদের শেষ ম্যাচে লেস্টার সিটি হেরে পয়েন্ট খুয়িয়েছিল। এমন অবস্থায় শীর্ষ তিনে চলে যাওয়ার সম্ভবনা ছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের। বর্তমান প্রিমিয়ার লিগের পয়েন্ট টেবিল অনুযায়ী ৩৫ ম্যাচে ১৭ জয়, ৮ ড্র এবং ১০ হারে ৫৯ পয়েন্ট নিয়ে ৪র্থ স্থানে লেস্টার। সাউদাম্পটনের বিপক্ষে ড্র করে ৩৫ ম্যাচে ১৬ জয়, ১১ ড্র এবং ৮ হারে ৫৯ পয়েন্ট নিয়ে ৫ম স্থানে রয়েছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। আর নরউইচ সিটিকে ১-০ গোলের ব্যবধানে হারিয়ে ৩৬ ম্যাচে ১৯ জয় ৬ ড্র এবং ১১ হারে ৬৩ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে চেলসি।
এই জয়ে চেলসি চ্যাম্পিয়নস লিগের পথে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল। নিজেদের বাকি থাকা দুই ম্যাচের মধ্যে একটি ম্যাচে চেলসির লিগ চ্যাম্পিয়ন লিভারপুলের বিপক্ষে লড়বে এবং অপর ম্যাচে উলভারহ্যাম্পটনের বিপক্ষে। এই দুই ম্যাচ জয়ের বিকল্প কিছুই নেই ব্লুজদের সামনে। তবে তার আগে নরউইচের বিপক্ষে কষ্টার্জিত এক জয়ে লিগে নিজেদের ৩য় স্থান শক্তভাবে ধরে রেখেছে ফ্র্যাঙ্ক ল্যাম্পার্ডের শিষ্যরা।
স্টামফোর্ড ব্রিজে ম্যাচের শুরু থেকে তলানির দল নরইউচের বিপক্ষে চড়াও পুলিসিচ, জিরুড এবং উইলিয়ানরা। তবে কোনোভাবেই নরউইচের রক্ষণভাগে ফাটল ধরাতে পারছিল না ব্লুজরা। অপেক্ষা করতে করতে প্রথমার্ধের সময় তখন শেষের পথে, প্রথমার্ধে অতিরিক্ত সময় যোগ করা হয় তিন মিনিট। আর ঠিক শেষ মুহূর্তে ক্রিশ্চিয়ান পুলিসিচের দুর্দান্ত এক ক্রসে মাথা ছুয়িয়ে অলিভার জিরুড বল পাঠিয়ে দেন নরউইচের জালে। আর প্রথমার্ধ শেষের বাঁশি বাজার ঠিক আগ মুহূর্তে ১-০’তে এগিয়ে যায় ব্লুজরা।
দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নেমে আরও আক্রমণাত্মক ল্যাম্পার্ডের দল। তবে প্রথমার্ধের মতো ভুল আর করেনি নরউইচ। ম্যাচ জুড়ে প্রায় ৬৮ শতাংশ বল নিজেদের দখলে রাখে চেলসি, আর সেই সঙ্গে আক্রমণে জর্জরিত করে ফেলে নরউইচের ডিফেন্স। সব মিলিয়ে নরউইচের গোল বরাবর ২২টি শট নেয় চেলসি, সেই সঙ্গে গোলের সুযোগ তৈরি করে ১৮টি। তবে বল যেন কোনোভাবেই গোলপোস্ট অতিক্রমই করছিল না। আর তাই তো শেষ পর্যন্ত আর কোনো গোলের দেখায় পায়নি চেলসি।
যদিও বেশ কিছু দুর্দান্ত আক্রমণ করেও ফিনিশিংয়ের অভাবে গোল বঞ্চিত হতে হয় ব্লুজদের। ম্যাচের ৬৬ মিনিটে আলোন্সোর ক্রস থেকে ফিনিশ করতে ব্যর্থ আজপিলিকুয়েটা। এর ঠিক ছয় মিনিট পর জিরুডের দুর্দান্ত এক গোলের প্রচেষ্টাও ব্যর্থ হয়। এরপর থেকে নরউইচের গোলরক্ষক টিম ক্রুল বেশ ব্যস্তই রেখেছিল চেলসির আক্রমণভাগ। তবে এদিন যেন ভাগ্যদেবী ভর করেছিল নরউইচের ওপর। শেষ পর্যন্ত প্রথমার্ধের শেষভাগে হজম করা একমাত্র গোলেই ১-০ ব্যবধানে চেলসির কাছে পরাজিত নরউইচ সিটি।
আর এই ম্যাচ জিতে নরউইচের বিপক্ষে নিজেদের ইতিহাস ধরে রাখল চেলসির পক্ষেই। এই ম্যাচের আগে দুই দলের শেষ ১৬ দেখায় একবারও হারেন চেলসি। এবার সংখ্যাটা বেড়ে দাঁড়াল ১৭’তে, শেষবার ১৯৯৪ সালের ডিসেম্বরে ৩-০ গোলের ব্যবধানে চলসিকে শেষবারের মতো হারিয়েছিল নরউইচ। আর এই জয়ে ইউসিএলের জায়গা পুরোপুরি নিশ্চিত না হলেও সেই পথে আরও এক ধাপ এগিয় গেল ব্লুজরা।
ইপিএল ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ চেলসি বনাম নরউইচ সিটি টপ নিউজ লিগের সেরা তিনে