লিভারপুল কিংবদন্তী কেনি ডালগ্লিশ করোনায় আক্রান্ত
১১ এপ্রিল ২০২০ ১০:২৬ | আপডেট: ১১ এপ্রিল ২০২০ ১৩:০৭
ইংলিশ ফুটবল ক্লাব লিভারপুলের কিংবদন্তী কেনি ডালগ্লিশ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। বর্তমানে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তবে তার শরীরের এখনও করোনার কোন উপসর্গ দেখা যায়নি। কেনি ডালগ্লিশের পরিবারের পক্ষ থেকে এক বার্তায় এসব তথ্য জানানো হয়। বিবিসির খবর।
পরিবার জানায়, গত বুধবার ৬৯ বছর বয়সী ডালগ্লিশ অন্য জীবাণু সংক্রমণজনিত অসুস্থতায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। হাসপাতালে অ্যান্টিবায়োটিক ইঞ্জেকশন নিতে হচ্ছিল তাকে। তখন রুটিন পরীক্ষার অংশ হিসেবে তার করোনা পরীক্ষাও করা হয়। তখনই ডালগ্লিশের শরীরের করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব ধরা পড়ে।
ডালগ্লিশের পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়, অপ্রত্যাশিতভাবে পরীক্ষার ফলাফল পজিটিভ আসে। তবে তার শরীরের এখনও কোন উপসর্গ দেখা দেয়নি।
ফুটবল জগতে কেনি ডালগ্লিশ খেলোয়াড় হিসেবে যেমন সফল তেমন ম্যানেজার হিসেবেও সমীহ আদায় করেছেন। স্কটল্যান্ডের ক্লাব সেল্টিকের হয়ে চারটি লিগ শিরোপা জয় করে ১৯৭৭ সালে যোগ দেন ইংলিশ জায়ান্ট লিভারপুলে। এই ক্লাবটিতে তিনি মাঠে যেমন সফলতা পেয়েছেন তেমনই ডাউগআউটেও। খেলোয়াড় ও কোচ হিসেবে লিভারপুলকে আটবার লিগ শিরোপা এনে দিয়ে লিভারপুলের ইতিহাসের অন্যতম কিংবদন্তী বনে যান তিনি।এছাড়া কোচ হিসেবে ব্ল্যাকবার্ন রোভার্সকেও লিগ শিরোপা জিতিয়েছেন কেনি ডালগ্লিশ।
লিডসের কিংবদন্তী হান্টার করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি
এদিকে ইংল্যান্ড জাতীয় দলের রক্ষণভাগের সাবেক তারকা ফুটবলার নরম্যান হান্টারও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তার সাবেক ক্লাব লিডস ইউনাইটেড এক বার্তায় এ খবর জানিয়েছে।
৭৬ বছর বয়েসি হান্টারের রোগমুক্তি কামনা করে লিডস ইউনাইটেড ওই বার্তায় বলে, যুদ্ধ করতে থাক হান্টার, আমরা তোমার সঙ্গে আছি।
উল্লেখ্য, প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব লিডস ইউনাইটেডের কিংবদন্তী নরম্যান হান্টার ক্লাবটির হয়ে ১৫ বছরে ৭২৬ ম্যাচে মাঠে নেমেছেন। ক্লাবটির ইতিহাসে তিনটি প্রিমিয়ার লিগের দুটিই জিতেছেন তিনি। এছাড়া ১৯৬৬ সালের ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপ জয়ী স্কোয়াডেরও সদস্য ছিলেন হান্টার।
ফুটবল মাঠের রক্ষণভাগে হান্টার একজন সমীহ অর্জনকারী দুর্দান্ত ট্যাকেলার। ভয়-ডরহীন ট্যাকেলের জন্য তার নাম দেওয়া হয় ‘বাইটস ইয়র লেগ’।
এদিকে যুক্তরাজ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলছে। দেশটিতে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ৭৩ হাজারের বেশি। এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে প্রায় ৯ হাজার জনের।