জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সর্বোচ্চ রানের জয় টাইগারদের
৯ মার্চ ২০২০ ২১:১৫ | আপডেট: ৯ মার্চ ২০২০ ২১:১৭
মিরপুরে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে রেকর্ড রানের ব্যবধানে জিতেছে বাংলাদেশ। রোডেশিয়ানদের বিপক্ষে দলীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রহ করে টাইগাররা। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ২০০ রান তোলে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে জিম্বাবুয়ে এক ওভার বাকি থাকতে ১৫২ রানে অল আউট হয়। আর বাংলাদেশ জয় তুলে নেয় ৪৮ রানের। এটি টি-টোয়েন্টিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সর্বোচ্চ ব্যবধানের জয়। আর নিজেদের ইতিহাসে ৪র্থ সর্বোচ্চ রানের ব্যবধানের জয়।
রানের পাহাড় চড়তে নেমে প্রথম ওভারটা ভালোই কাটে সফরকারীদের। তবে দ্বিতীয় ওভারে বল করতে আসা শফিউলের ওভারের সৌম্যর হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন অভিজ্ঞ ব্রেন্ডন টেইলরকে (১)। এরপর ক্রেইগ আরভিনকে নিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ তিনাশি। ৫ম ওভারে মুস্তাফিজুরের বলে এলবি’র ফাঁদে পড়ে ফেরেন আরভিন (৮)।
জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ তখন মাত্র ৩৭, তখনই আফিফের দুর্দান্ত ফিল্ডিংয়ে রান আউট হয়ে ফেরেন ওয়েসলি মাধেভেরে (৪)। এরপর অধিনায়ক শন উইলিয়ামসকে সঙ্গী করে বিপর্যয় সামলাতে লড়াই চালিয়ে যান তিনাশি কামুনহুকামুয়ে। তবে ইনিংসের ৯ম ওভারে বল হাতে আমিনুল ইসলাম বিপ্লবের ঘূর্ণিতে সব ওলটপালট হয়ে যায়। ওভারের ২য় বলে তিনাশিকে (২৮) এবং পরের বলে উইলিয়ামসকে (২০) ফেরান বিপ্লব। আর তাতেই ৬৯ রানে ৩ উইকেট থেকে ৫ উইকেটে পরিণত হয় সফরকারীরা। যদিও শেষ পর্যন্ত আর হ্যাটট্রিক হয়নি বিপ্লবের।
এরপর ১২তম ওভারে আফিফ তুলে নেন সিকান্দার রাজার (১০) উইকেট। দলীয় ৮৩ রানে রোডেশিয়ানরা হারায় তাদের ৬ষ্ঠ উইকেট। পরের ওভারে টিনোটেন্ডা মুতুমবোদজিকে (২) নিজের তৃতীয় শিকার বানান বিপ্লব। আর তাতেই ১০০ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে হারের ক্ষণ গণনা শুরু করে জিম্বাবুয়ে। এর কিছুক্ষণ পরেই রিচমন্ড মুতুম্বামিকে (২০) মুস্তাফিজ নিজের ২য় শিকার বানান। জিম্বাবুয়ের স্কোরবোর্ডে ১০৭ রানে ৮ উইকেট। এরপর ৯ম উইকেটে ২৩ আর শেষ উইকেটে মুম্বার ১৬ বলে ২৫ রানের ক্যামিওতে ১৫২ রানে অল আউট হয় জিম্বাবুয়ে।
টাইগারদের হয়ে দুর্দান্ত বল করেন মুস্তাফিজুর রহমান এবং আমিনুল ইসলাম বিপ্লব। মুস্তাফিজুর ৪ ওভারে ৩২ রানের বিনিময়ে নেন ৩টি উইকেট আর আমিনুল ৩ ওভারে ৩৪ রানে নেন ৩টি। এছাড়া শফিউল, সাইফউদ্দিন এবং আফিফ হোসেন নেন একটি করে উইকেট।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে দুর্দান্ত সূচনা করেন টাইগার দুই ওপেনার। শুরু থেকেই দারুণ ব্যাট করতে থাকা তামিম ফেরেন অর্ধশতকের মাত্র ৯ রান দূরে থাকতে। ৩টি চার এবং ২টি ছয়ে ৪১ রান করে তামিম ফিরল ভাঙে ৯২ রানের উদ্বোধনী জুটি।
অপরপ্রান্তে তামিমের থেকেও দুর্দান্ত সময় পার করা লিটন দাস। ৪টি চার এবং ৩টি ছয়ে ৩২ বলে তুলে নেন টি-টোয়েন্টিতে নিজের তৃতীয় অর্ধশতক। অর্ধশতক পূর্ণ হতেই ৩৯ বলে ৫৯ রান করে প্যাভিলিয়নের পথে হাঁটেন লিটন।
চতুর্থ উইকেটে ব্যাট করতে আসা মুশফিক, সৌম্যর সঙ্গে বড় জুটির আভাস দিলেও থামতে হয় মাত্র ৮ বলেই ২ ছক্কায় ১৭ রান করে। এই সিরিজ দিয়ে টি-টোয়েন্টি দলে ফিরেছেন মুশফিকুর রহিম। এর আগে পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ থেকে নিজের নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন মুশফিকুর রহিম।
মুশফিক ফিরলেও শেষ পর্যন্ত সৌম্য সরকারের বিধ্বংসী অর্ধশতকে স্পর্শ করে ২০০ রান। শেষ পর্যন্ত সৌম্য অপরাজিত থাকেন ৩২ বলে ৬২ রানে এবং মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ করেন ১৪ রান। অন্যদিকে জিম্বাবুয়ের হয়ে একটি করে উইকেট নেন সিকান্দার রাজা, মাধেভেরে এবং এমপফু।
টপ নিউজ প্রথম টি-টোয়েন্টি বাংলাদেশ বনাম জিম্বাবুয়ে মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়াম