Thursday 09 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

এক ‘রূপসী’ স্টেডিয়ামের গল্প


১ মার্চ ২০২০ ১৭:০৬ | আপডেট: ১ মার্চ ২০২০ ১৯:০৯

সিলেট থেকে: চারদিকে ঘন সবুজ। ডানে, বায়ে, সামানে, পেছনে যেদিকেই তাকাবেন হয় ঘন বাঁশ ঝাড়, নয়তো পাহাড়ি বৃক্ষরাজী চোখে পড়বে। মাঝে মাঝে নাকে এসে লাগবে গাছালো গন্ধ। সারি সারি টিলার ওপর অতন্দ্র প্রহরীর মতো গাছগুলো দাঁড়িয়ে। সেই টিলার একাংশ জুড়ে লাক্কাতুরা চা বাগান। আর লাক্কাতুরার গায়ে গা লাগিয়ে সগৌরবে দাঁড়িয়ে দেশের একমাত্র সবুজ ভেন্যু-সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম।

সিলেট শহর থেকে লাক্কাতুরা চা বাগানের দূরত্ব চার কিলোমিটার। বিমানবন্দর সড়ক সংলগ্ন মূল গেইট ধরে লাক্কাতুরার টিলার আঁকাবাঁকা ৫শ গজের রাস্তাটি যেখানে গিয়ে থেমেছে ঠিক সেখানেই গড়ে তোলা হয়েছে বৃটিশ স্থাপত্য ধাঁচের অপার সৌন্দর্য্যের ভেন্যুটি। ভেন্যুর ব্যতিক্রমী স্থাপনা ও সবুজের সমারোহ এতটাই গাঢ় যে, এখানে এসে যে-কেউই বিমোহিত হবেন।

বিজ্ঞাপন

বাইরের মতো সবুজের নিবিড় ছোঁয়া মিলবে স্টেডিয়ামের ভেতরের গ্যালারিতেও। পশ্চিম দিকের টিলার গাঁ ঘেষে গড়ে উঠা ‘গ্রিন গ্যালারি’তে বসে যে-কেউই ভুল করে বসতে পারেন এই ভেবে যে আপনি সবুজের কোলে বসে আছেন। বাদ বাকি গ্যালারিগুলো আপনাকে দেবে আভিজ্যের ছোঁয়া। পূর্ব দিকের গ্যালারির স্থাপত্য অনেকটাই ক্রিকেট মক্কা লর্ডসের আদলে গড়ে তোলা হয়েছে। বিশেষ করে গ্যালারির ছাদ। গোটা বিশেক ছাতা খুলে পাশাপাশি রেখে দিলে যে রূপ ধারণ করে ওই গ্যালারির ছাদটি ঠিক তেমন। তবে বসার আসনগুলো লর্ডসের মতো ধবধবে সাদা নয়, কিছুটা বাদামি বর্ণের।

পশ্চিম দিকের গ্যালারির স্থাপনাও অনেকটাই লর্ডসর অনুরূপ। তবে এখানে যে শুধুই গ্যালারি তা কিন্তু নয়। প্লেয়ার্স ড্রেসিং রুম, প্রেসিডেন্ট বক্স, হসপিটালিটি বক্স ও ম্যাচ রেফারির কক্ষটিও অভিজাত এই স্থাপনায় রাখা হয়েছে। আর পূর্ব দিকের আধুনিক ভবনটি পুরোটাই গণমাধ্যমের জন্য। যার নিচ তলায় মিডিয়া বক্স, দোতলায় ডাইনিং, তৃতীয় তলায় প্রেস বক্স ও চতুর্থ তলায় কমেন্ট্রি বক্স।

বিজ্ঞাপন

এখানেই থেমে নেই দেশের একমাত্র নান্দনিক ও আধুনিক ভেন্যু সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম। সিলেটের ক্রিকেটের উৎকর্ষতা সাধনে ছয় মাসের মধ্যে তা রূপ নেবে একটি পরিপূর্ণ ক্রিকেট কমপ্লেক্সে।

নগরীর বাদাম বাগিচা প্রবেশসংলগ্ন পরিত্যক্ত জায়গায় নির্মিত হচ্ছে আরেকটি স্টেডিয়াম। আন্তর্জাতিকমানের সুযোগ-সুবিধা রেখেই গড়ে তোলা হচ্ছে এর অবকাঠামো। মূল স্টেডিয়ামে একটি গ্রিন গ্যালারি থাকলেও এখানে করা হয়েছে দুটি। দুটি স্টেডিয়ামের মাঝে বানানো হয়েছে সংযোগ সেতু। মিডিয়া সেন্টার থেকে পাশের নির্মাণাধীন স্টেডিয়ামের মূল ভবনে যেতে তৈরি করা হয়েছে ওভারব্রিজ। জুলাইয়ে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট দিয়ে নতুন স্টেডিয়ামটি চালুর পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে কর্মযজ্ঞ।

এখানেই আজ ক্রিকেট উৎসবে মেতেছে গোটা সিলেটবাসী। জিম্বাবুয়ে-বাংলাদেশের তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডের উত্তাপ গ্যালারিতে বসে নেওয়ার জন্য সাপ্তাহিক কাজের দিনেও ম্যাচটি দেখতে এসেছেন তারা। তবে সংখ্যাটি আহামরি বেশি নয়। প্রায় ১৮ হাজার দর্শক ধারণক্ষমতার এই স্টেডিয়ামে ৩ হাজার ক্রিকেটপ্রেমী গ্যালারিতে বসে ম্যাচটির উত্তাপ নিতে এসেছেন।

প্রথম ওয়ানডে বাংলাদেশ বনাম জিম্বাবুয়ে সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম

বিজ্ঞাপন

‘আরও কঠিন পথ পারি দিতে হবে’
৯ জানুয়ারি ২০২৫ ২২:৫৬

আরো

সম্পর্কিত খবর