সাকিবের অনুপস্থিতিতে সম্ভাবনা দেখছে জিম্বাবুয়ে
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ২০:২২
একটি টেস্ট তিনটি ওয়ানডে ও দুটি টি-টোয়েন্টি খেলতে শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) ঢাকায় এসে পৌঁছেছে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দল। এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে বিকেল পৌনে পাঁচটায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে রোডেশিয়ানরা।
বাংলাদেশকে দ্বিতীয় দেশ হিসেবে গণ্য করে জিম্বাবুয়ে। এখানে এসে টেস্ট সিরিজ জয়ে বেশ আত্মপ্রত্যয়ী দেখা গেল রোডেশিয়ান দলপতি ব্রেন্ডন টেইলরকে। একদিকে রয়েছে সদ্য দুর্দান্তভাবে শেষ করা শ্রীলংকা সফর। আর সেই সঙ্গে রয়েছে গেল বছরের টেস্ট জয়। সব মিলিয়ে নিজেদের সুবিধাজনক অবস্থানে রাখছেন টেইলর।
‘আমরা পুরোপুরি তৈরি। প্রথমত ভালো লাগছে আরও একবার বাংলাদেশে আসতে পেরে। এখানটাকে আমরা আমাদের দ্বিতীয় দেশ বলে থাকি। আমরা এখানকার কন্ডিশন জানি। দেশে আমরা দুটো ভালো টেস্ট খেলেছি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। দুটোই পাঁচদিনে গেছে। অনেক ইতিবাচক ব্যাপার ছিল সেখানে। আশা করছি এই টেস্টেও তেমনটা দেখা যাবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘হ্যাঁ গত বছর সিলেটে জিতেছিলাম। … এই বছর আমাদের অনেক খেলা। সাতটা টেস্ট আছে। প্রতিটা সিরিজই ভীষণ সিরিয়াস হয়ে আসে। আর দেশের বাইরে জেতা তো দারুণ ব্যাপার। বাংলাদেশের বিপক্ষে তাদের মাঠে খেলা বরাবরই কঠিন চ্যালেঞ্জ। তবু আমরা সামনে তাকাচ্ছি।’
বিমানবন্দরে পৌঁছে সাংবাদিকদের করা প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
সেই সঙ্গে দলে সাকিব আল হাসানের অনুপস্থিতি জিম্বাবুয়েকে কিছুটা এগিয়ে রাখছে বলে মনে করেন টেইলর, ‘বাংলাদেশের ব্যাপারে যেটা বলব পাকিস্তানের সঙ্গে হারার পর তারা শক্তভাবে ফিরে আসতে চাইবে। যদিও সাকিবের মতো খেলোয়াড় নেই। তবে অন্য যারা আছে অনেক ভালো।’
সেই সঙ্গে দেশের মাটিতে বাংলাদেশ বেশি সহায়তা পাবেন বলেও মন্তব্য করেন এই অধিনায়ক।
‘আমার মনে হয় দেশে তারা ভালোই খেলে। এখানে তাদের কনম্ফোর্ট জোন। সাকিব না থাকায় ব্যাটিং অলরাউন্ডারের জায়গায় তাদের একটা ঘাটতি আছে। আবার অনেক অভিজ্ঞরাও আছে। তামিম ফিরেছে, মুশফিক আছে। হ্যাঁ আমাদের জন্য ভালো সুযোগ। আমরা জার্ভিসকে পাচ্ছি না। কিন্তু কিছু তরুণ নিয়ে এসেছি যারা সামর্থ্যের প্রমাণ দিতে তৈরি।’
দলের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় শন উইলিয়ামসের অনুস্পথিতি নিয়ে জানতে চাওয়া হলে রোডেশিয়ান দলপতি জানান, ‘সে আসলে আমাদের সাকিব। ব্যাটিং অলরাউন্ডার। রান করে, ভাল বাঁহাতি স্পিন বল করে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ভাল খেলল। আমরা তাকে মিস করব। তবে আশার কথা ওয়ানডেতে সে ফিরব। আবার একই সঙ্গে বলতে চাই তার না থাকা তরুণদের জন্য সুযোগ।’
আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি দুই দিনের প্রস্তুতি ম্যাচের মধ্য দিয়ে শুরু হবে সিরিজের আনুষ্ঠানিকতা। এরপর ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে সিরিজের একমাত্র টেস্টটি। মার্চের ১,৩ এবং ৬ তারিখে মাঠে গড়াবে সিরিজের তিনটি ওয়ানডে ম্যাচ। ৯ এবং ১১ মার্চ মিরপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে হবে দুইটি টি-টোয়েন্টি।
মার্চের ১২ তারিখ সিরিজ শেষ করে দেশে ফিরে যাবে টিম জিম্বাবুয়ে।