আড়াইশও করতে পারলো না টাইগারেরা
৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১৭:৩৫ | আপডেট: ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১৮:২৬
দীর্ঘ ১৭ বছর পর সাদা পোশাকে পাকিস্তানের মাটিতে খেলতে নেমেছে বাংলাদেশ। দুই ম্যাচ সিরিজের সিরিজের প্রথম টেস্টে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ের শিকার হয় টিম বাংলাদেশ। সেই বিপর্যয়ে পরে প্রথম ইনিংসে ২৩৩ রানে অল আউট হতে হয়েছে বাংলাদেশকে।
ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বড় রকমের হোঁচট খায় সফরকারীরা। ইনিংসের তৃতীয় বলেই রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফিরে যান অভিষিক্ত সাইফ হাসান। সেই সাথে নাম লেখান বাংলাদেশের টেস্ট ক্যারিয়ারের অভিষেক ম্যাচে শূন্য হাতে ফেরা ওপেনারদের তালিকায় ২২ তম ওপেনার হিসেবে।
সাইফ হাসানের বিদায়ের পর বাংলাদেশ শিবিরে দ্বিতীয় আঘাত হানেন মোহাম্মদ আব্বাস। তামিম ইকবালকে এলবিডব্লিউ-এর ফাঁদে ফেলে তিন রানে সাজঘরে ফেরান এই পেসার।
এরপর দলের হাল ধরতে এগিয়ে আসেন অধিনায়ক মুমিনুল হক। সঙ্গে নেন নাজমুল শান্তকে। ধাক্কা সামলে নিয়ে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন দলকে।
কিন্তু পাক পেসের সামনে বেশিক্ষণ টিকতে পারেনি সেই প্রতিরোধ। শাহিন শাহ আফ্রিদির বলে রিজওয়ানের গ্লাভসবন্দি হয়ে ৩০ রান করে জুটি ভেঙে ফিরতে হয় মুমিনুলকে। সেই সাথে পতন ঘটে বাংলাদেশের তৃতীয় উইকেটের।
উইকেটের একপ্রান্ত কামড়ে ধরে পরে থাকেন শান্ত। মাহমুদুল্লাহর সঙ্গে মিলে আবারো গড়ে তোলের প্রতিরোধ। সচল রাখেন দলের রানের চাকা।
মধ্যাহ্ন বিরতির পর ব্যাট করতে নেমেই সাজঘরে ফেরেন শান্ত। ক্যারিয়ারের প্রথম অর্ধশতক দেখা দেই দেই করেও আর দেখা দিল না এই ব্যাটসম্যানকে।
দলের এহেন বিপর্যয়ে হাল ধরতে এগিয়ে আসেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। কিন্তু শাহিন আফ্রিদির তৃতীয় শিকার হয়ে তাকেও ফিরতে হয় সাজঘরে ২৫ রান করে।
১০৭ রানে ৫ উইকেট হারানো বাংলাদেশ দলকে বয়ে নিয়ে যাওয়ার গুরুভার নিজের কাঁধে তুলে নেন লিটন দাস এবং মোহাম্মদ মিঠুন। কিন্তু তাতে বাধ সেধে লিটনকে সাজঘরের রাস্তা বাতলে দেন হারিস সোহেল।
এরপর দৃঢ় হাতে দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন মোহাম্মদ মিঠুন। তাইজুলকে সঙ্গে নিয়ে সচল রাখেন দলের রানের চাকা। দুই জনের ব্যাটে ভর করে দলীয় সংগ্রহ ২০০ পার করে সফরকারীরা। সেই সঙ্গে ব্যক্তিগত অর্ধশতক তুলে নেন তিনি।
নাসিম শাহের শিকার হয়ে মিঠুন ফিরলে দলকে খুব বেশিদূর এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেননি আর কেউই। ফলে ২৩৩ রানেই থেমে যায় সফরকারীদের রানের চাকা।
টাইগারদের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৩ রানের ইনিংস খেলেন মোহাম্মদ মিঠুন। আর স্বাগতিকদের হয়ে ৫৩ রানে ৪ উইকেট নেন শাহিন শাহ আফ্রিদি।