কাঁদলেন লিটন, কাঁদল রহমতগঞ্জ
৫ জানুয়ারি ২০২০ ২১:১৭
ঢাকা: ফেডারেশন কাপের ফাইনাল ম্যাচে রেফারির শেষ বাঁশি। মাঠের এক কোণে মাথা নিচু করে অঝোরে কাঁদছেন গোলরক্ষক রাসেল মাহমুদ লিটন। ১-১ ব্যবধানে থাকা ম্যাচটা তার এক ভুলেই খেসারত দিতে হয়েছে রহমতগঞ্জকে। সেই ভুলটাই কাঁদালো ইতিহাসের হাতছানি দেয়া পুরান ঢাকার ক্লাবকে।
প্রতিষ্ঠার পর বা দেশের স্বাধীনতার পর কখনও কোনো টুর্নামেন্টের শিরোপা জিততেই পারেনি রহমতগঞ্জ। এবার একেবারে কাছ থেকেও শিরোপাটা ছুঁয়ে দেখা হয়নি দলটির। গড়া হয়নি ইতিহাস। সেই কান্না ভেসে গেলো রহমতগঞ্জের টানে গ্যালারিতে আসা ফুটবল সমর্থকদের। অশ্রু নিয়ে রানার্স আপের সান্ত্বনা নিয়েই বিদায় নিতে হয়েছে দলকে।
চোখের সামনে বসুন্ধরা কিংসকে চ্যাম্পিয়ন হতে দেখে অশ্রু ধরে রাখতে পারেননি রহমতগঞ্জের গোলরক্ষক লিটন, ‘শেষটা বাজে হয়ে গেছে। খুবই খারাপ হইছে আমার জন্য। আমার ক্যারিয়ারে প্রথমবার হইলো। কামারা বলছিল ‘ফ্রি’। আমি ভেবেছিলাম পেছনে কেউ নেই। ম্যান বিহাইন্ডে থেকে কলিনদ্রেসকে দেখতে পাইনি।’
পুরো টুর্নামেন্ট জুড়ে রহমতগঞ্জের নায়ক ছিলেন জাতীয় দলের সাবেক এই গোলরক্ষক। কোয়ার্টার ফাইনালে টাইব্রেকারে ঢাকা আবাহনীর দুই শট ঠেকিয়ে রহমতগঞ্জকে জয় উপহার দিয়েছিলেন লিটন। পুরো টুর্নামেন্টজুড়ে দলের সেরা পারফরমার ফাইনালে ভুল করে বসলেন। তার খেসারতে ম্যাচটাই হাতছাড়া করেছে রহমতগঞ্জ।
অবশ্য ভুলটাকে ম্যাচের একটা অংশ মনে করেন দলের কোচ সৈয়দ গোলাম জিলানী, ‘মানুষ মাত্রই ভুল। ও জাতীয় দলের ফুটবলার। নিজেই কাঁদতেছে। এমন ভুল করবে নিজেও ভাবতে পারে নাই। পুরো টুর্নামেন্টে ভালো খেলছে।’
ক্রন্দনরত লিটন ভুলে যেতে চান এই ভয়াবহ ভুলটাকে। এগিয়ে যেতে চান ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে, ‘এটা নিয়ে পড়ে থাকার কিছু নাই। সামনে যে লিগ শুরু হবে সেখানে নজর দিবো। আমার ভুলের খেসারত এক্সট্রা টাইমে গেলে আমরা হয়তো ভাল করতাম। কপালে নাই শিরোপাটা।’