শহিদুলের তোপে উড়ে গেলো রংপুর
২৭ ডিসেম্বর ২০১৯ ২২:৪২ | আপডেট: ২৭ ডিসেম্বর ২০১৯ ২২:৪৩
শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) বিপিএলের দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে ৫২ রানের হারকে সঙ্গি করে মাঠ ছেড়েছে রংপুর রেঞ্জার্স। খুলনার করা ১৮২ রানের জবাবে ৯ উইকেটে ১৩০ রানে থেমে গেছে রংপুরের ইনিংস।
বড় লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় রংপুর। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই ৫ রানে ফ্রাইলিঙ্কের শিকার হয়ে মাঠ ছাড়তে হয় রংপুর ওপেনার শেন ওয়াটসনকে।
আরেক ওপেনার মোহাম্মদ নাইমের ঝড়ো ব্যাটে দারুন টক্করের ইঙ্গিত দিচ্ছিলো রংপুর। কিন্তু তাতে বাঁধ সাধেন মোহাম্মদ আমির। ৯ বলে ২০ রান করা নাইমকে দলীয় ৩৩ রানে সাজঘরে ফিরে যেতে বাধ্য করেন এই পাক পেসার।
দলীয় ৪২ রানে ক্যামেরন ডেলপোর্টকে শিকারে পরিণত করে রেঞ্জার্সদের তৃতীয় উইকেটের পতন ঘটান খুলনার পেসার শফিউল ইসলাম।
৪২ রানে তিন উইকেট হারানোয় দলের হাল ধরার গুরুভার কাঁধে তুলে নেন লুইস গ্রেগরি। কিন্তু তানভির ইসলামের বলে বড় শট খেলতে গিয়ে মুশফিকের তালুতে আটকে যায় তার শট। ফলে ২৬ বলে ৩৪ রান করে তাকেও ফিরে যেতে হয়।
ব্যর্থ হন ফযলে মাহমুদও। আগের ম্যাচে জয়ের অন্যতম নায়ক এই ব্যাটসম্যানকে ৪ রানেই থামিয়ে দেন খুলনার বোলার শহিদুদ ইসলাম। এরপর শহিদুলের দ্বিতীয় শিকার বনে দলকে হতাশায় ডুবিয়ে ৭ রান করে মাঠে ছাড়েন মোহাম্মদ নাবী। একই ওভারের শেষ বলে জহিরুল ইসলামকে বোল্ড করে নিজের নামের পাশে তৃতীয় উইকেট লেখান রংপুরের এই বোলার।
নিজের ৪র্থ শিকার হিসেবে সাদমান ইসলামকে বেছে নেন খুলনার এই পেসার। ১৬ রানে সাদমানকে সাজঘরে ফেরত পাঠান তিনি। এরপর আর ম্যাচে ফেরা সম্ভব হয়নি রংপুরের। শেষ দিকে মুস্তাফিজ ঝড় তুললেও তাতে লাভ হয়নি খুব একটা। হেরেছে শুধু হারের ব্যাবধানই। শেষমেশ তাদের রানের চাকা থামে ১৩০ রানে।
রংপুরের ইনিংস সর্বোচ্চ রান আসে লুইস গ্রেগরির ব্যাট থেকে ৩৪ রান। আর খুলনার হয়ে ২৩ রানে ৪ উইকেট নেন পেসার শহিদুল ইসলাম।
এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৮২ রান সংগ্রহ করে মুশফিকের খুলনা। ইনিংস সেরা ৫৯ রান আসে মুশির ব্যাট থেকে। আর রংপুরের হয়ে ২৮ রানে ৩ উইকেট নেন মুস্তাফিজুর রহমান।