এক সপ্তাহের বিশ্রামে মাহমুদউল্লাহ
২৬ নভেম্বর ২০১৯ ১৮:১৬ | আপডেট: ২৬ নভেম্বর ২০১৯ ১৮:২২
ইডেন গার্ডেনসে ভারতের বিপক্ষে দিবা রাত্রির টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ের সময় হ্যামস্ট্রিংয়ে চোটে পড়েন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। চোট প্রকট ছিল বলে ফিজিও জুলিয়ান ক্যালেফাতোর কাঁধে ভর দিয়ে ওই সময় ৩৯ রানে ক্রিজে থাকা এই টাইগার মিডল অর্ডারকে রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছিল।
অনেকেই আশা করেছিলেন চোট জয় করে তৃতীয় দিন তিনি ঠিকই ব্যাট হাতে নামবেন। কিন্তু না। ওই দিনের প্রথম সেশনে শর্মা, উমেশদের পেস তোপে মাত্র ৪৭ মিনিটে বাংলাদেশের ৩ উইকেট পড়ে গেলেও তাকে আর ব্যাট হাতে দেখা যায়নি। ইনিংস ও ৩০ রানে হেরে ২-০ তে হোয়াইটওয়াশ হয় বাংলাদেশ।
ওই দিন রাতেই কলকাতা থেকে দেশে ফিরেন মাহমুদউল্লাহ। ফিরে তার পরদিন ক্ষতে স্ক্যান করিয়েছেন। কিন্তু সেই স্ক্যান রিপোর্ট এখনো হাতে পায়নি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের মেডিক্যাল বিভাগ। তবে দেশে ফেরার পর তাকে দেখেছেন বিসিবির প্রধান চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী। এবং দেখে তিনি সিদ্ধান্ত দিয়েছেন আগামি এক সপ্তাহ তাকে পূর্ণ বিশ্রামে থাকতে হবে।
কেননা এই সময়টা তিনি বিশ্রাম না পেলে চোট আর প্রলম্বিত হবে। এতে করে আসন্ন বিপিএলে তার অংশগ্রহন অনিশ্চিত হয়ে পড়বে।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) সংবাদ মাধ্যমকে এ তথ্য দিলেন খোদ বিসিবি চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী নিজেই।
তিনি বলেন, ‘মাহমুদউল্লাহর ইনজুরিটা হচ্ছে গ্রেড ওয়ান হ্যামস্ট্রিং ইনজুরি। সে গতকাল স্ক্যান করিয়েছে আমরা এখনও রিপোর্ট হাতে পাইনি। এখানে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে খুব অল্প মাত্রার হ্যামস্ট্রিং হলেও আমরা ৭দিনের বিশ্রাম বেঁধে দেই। রেস্ট নেয়ার জন্য রিহ্যাব করার জন্য। ফিট না হয়ে খেলায় ফিরলে আবার ইনজুরিতে পরার সম্ভাবনা থাকে। একই ইনজুরি ওই জায়গাতে হলে সারতে সময় নেয়। আমাদের প্রধান কাজ হচ্ছে ওর দ্বিতীয় ইনজুরিটা আটকানো। কারণ একই জায়গায় দ্বিতীয়বার চোট পেলে ফিরতে দিগুন সময় লাগতে পারে। এতে এক মাসের মতো সময় লেগে যায়। আর তৃতীয় বার লাগলে খেলোয়াড়ের ওই মৌসুম মিস করার একটা সম্ভাবনা থাকে। এক্ষেত্রে আমাদের প্রথম এবং প্রধান কাজ হচ্ছে ইনজুরিটা যেন দ্বিতীয়বার না হয় সেটার ব্যবস্থা করা।’
বিপিএলের এবারের আসরে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সেরে হয়ে খেলবেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।