রাজশাহীকে হারিয়ে প্রথম জয় পেল খুলনা
২০ অক্টোবর ২০১৯ ১০:৫৭ | আপডেট: ২০ অক্টোবর ২০১৯ ১০:৫৮
খুলনার শহীদ শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে জাতীয় ক্রিকেট লিগের (এনসিএল) রাজশাহীকে ৭ উইকেটের ব্যবধানে হারিয়ে স্বাগতিক খুলনা। জাতীয় লিগের এবারের আসরে এটি খুলনার প্রথম জয়। এর আগে এবারের আসরের প্রথম ম্যাচে রংপুরের বিপক্ষে ড্র’তেই শেষ হয়েছিল ম্যাচটি। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে রাজশাহীর দেওয়া ১২৩ রানের লক্ষ্য ৭ উইকেট হাতে রেখেই টপে যায় সৌম্য-ইমরুল-মিরাজরা।
জাতীয় লিগের দ্বিতীয় ম্যাচে টসে জিতে রাজশাহীকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায় খুলনার অধিনায়ক আব্দুর রাজ্জাক। প্রথম ইনিংসে মিরাজের ৪ উইকেট আর রুবেল হোসেন এবং মোস্তাফিজুর রহমানের দুটি করে উইকেটে মাত্র ২৬১ রানেই অল আউট হয় রাজশাহী বিভাগ। আর দীর্ঘদিন পর জাতীয় দলে ডাক পাওয়া আল-আমিন হোসেন নেন একটি উইকেট।
রাজশাহীর হয়ে সর্বোচ্চ ৫১ রান করেন জুনাইয়েদ সিদ্দিকী। এছাড়া টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান ফরহাদ হোসেন এবং ফরহাদ রেজা করেন যথাক্রমে ৪৫ এবং ৪১ রান। আর মুশফিকুর রহিম থামেন মাত্র ২৪ রানে। মেহেদী মিরাজ ২১.৩ ওভারে ৩৮ রানের খরচায় তুলে নেন ৪টি উইকেট।
জবাবে প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে দলীয় মাত্র ৭ রানেই ওপেনার সৌম্য সরকার কোনো রান যোগ করার আগেই ফিরে যান সাঁজ ঘরে। এরপর তার দেখান পথেই হাটেন আর এক ওপেনার এনামুল হক বিজয় (৩৪)। তবে এরপর দলের হাল ধরেন ইমরুল কায়েস এবং তুষার ইমরান। ইমরুল চলতি লিগে এর আগে একটি ডাবল সেঞ্চুরি করেছেন আর রাজশাহীর বিপক্ষে সেঞ্চুরি থেকে ৭ রান দূরে থাকতে রান আউট হয়ে ফিরে যান।
ইমরুল কায়েস ফিরে যাওয়ার পরপরই ফিরে যান মোহাম্মদ মিঠুনও (৪)। এরপর দলের হাল ধরেন উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান নুরুল হাসান সোহান। অপর প্রান্তের ব্যাটসম্যানরা যাওয়া আসার মিছিলে থাকলেও অপর প্রান্ত আকড়ে ধরে রাখেন সোহান। আর শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ৩ রান দূরে ৯৭ রানে। প্রথম ইনিংসে খুলনা বিভাগ অল আউট হয় ৩০৯ রানে। খুলনা লিড পায় ৪৮ রানে।
পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে আল-আমিন আর মোস্তাফিজুর রহমের তোপের মুখে পড়ে রাজশাহীর ব্যাটসম্যানরা। ওপেনার মিজানুর রহমানকে ফিরিয়ে দেন মোস্তাফিজুর রহমান। এরপর রাজশাহীর স্কোরবোর্ডে ১৫ রান যোগ করতেই আর এক ওপেনার জুনাইয়েদ সিদ্দিকীকে ফেরান দীর্ঘদিন পরে জাতীয় দলে ডাক পাওয়া আল-আমিন। দলীয় সংগ্রহ ২৯ হতে টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান ফরহাদ হোসেনের উইকেটও তুলে নেন আল-আমিন।
এরপর মুশফিকুর রহিম এবং নাজমুল হোসেন শান্ত ৮৪ রানের জুটি গড়ে প্রাথমিন বিপর্যয় সামাল দেন। শান্ত ৫৭ রান করে আব্দুর রাজ্জাকের শিকার হন। মুশফিককে (৪৪) ফেরান খুলনার অধিনায়ক রাজ্জাক। শেষ দিকে রাজশাহীর আর কোনো ব্যাটসম্যানই উইকেটে থিতু হতে পারেননি। আর এতেই রাজশাহী বিভাগ অল আউট হয় ১৭০ রানে। খুলনার হয়ে ৪টি করে উইকেট তুলে নেন আল-আমিন এবং আব্দুর রাজ্জাক। আল-আমিন ৯ ওভারে ১৭ রান দিয়ে তুলে নেন ৪ উইকেট। আর আব্দুর রাজ্জাক ২০ ওভারে ৬২ রান দিয়েন নেন ৪ উইকেট। আর ৮ ওভার বল করে ১৮ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন মোস্তাফিজুর রহমান।
খুলনার সামনে ১২৩ রানের জয়ের লক্ষ্য ছুঁড়ে দেয় রাজশাহী। জয়ের লক্ষ্য ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের শুরুতেই মাত্র ৪ রান করে আউট হয়ে ফিরে যান আনামুল হক বিজয়। তৃতীয় দিন শেষে ১ উইকেট হারিয়ে খুলনার সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৫ রান। উইকেটে ছিলেন সৌম্য সরকার (০) এবং ইমরুল কায়েস (১১)। চতুর্থ দিনে স্কোরবোর্ডে মাত্র ২২ রান যোগ করেই ফিরে যান ইমরুল কায়েস (২২)। এরপর মোহাম্মদ মিঠুনকে নিয়ে গড়েন ৬৬ রানের জুটি গড়েন সৌম্য সরকার। মিঠুন ২৭ রান করে আউট হয়ে ফিরলে ভাঙে এই জুটি।
এরপর সৌম্য অর্ধশতক পূর্ণ করেন এবং মেহেদী হাসান মিরাজ ১৪ রান করলে সহজেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় খুলনা বিভাগ। সৌম্য শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ৫০ রানে। রাজশাহীর হয়ে একটি করে উইকেট নেন শফিউল ইসলাম। মোহর শেখ এবং সানজামুল ইসলাম।
ইমরুল কায়েস খুলনা বিভাগ বনাম রাজশাহী বিভাগ খুলনার জয় জাতীয় ক্রিকেট লিগ এনসিএল টপ নিউজ মুশফিকুর রহিম সৌম্য সরকার