আমরা ম্যাচটা ওদের দিয়ে এসেছি: সাকিব
১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০০:০৪ | আপডেট: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১২:৪২
ত্রিদেশীয় সিরিজে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচটি জিততে ২০ ওভারে বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল ১৬৫ রান। প্রায় সাড়ে আট রান রেটে ম্যাচটি নিজেদের করে নিতে স্বাগতিক ব্যাটসম্যানদের যে ইতিবাচক মনোভাব দেখানোর কথা ছিল তার ছিটেফোঁটাও দেখালেন না! মনে হচ্ছিল উইকেটে থাকতে নয়, আফগান বোলারদের হাতে নিজেদের বিলিয়ে দিতেই তারা ক্রিজে এসেছেন!
৩২ রান তুলতেই ড্রেসিংরুমের পথ ধরেছেন টপ অর্ডারের চার ব্যাটসম্যান। মিডল অর্ডার, লোয়ার মিডল অর্ডারের অবস্থাও তথৈবচ। একমাত্র মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (৩৯ বলে ৪৪) ছাড়া আর একজন ব্যাটসম্যাও বড় লক্ষ্য তাড়ার এই ম্যাচে রশিদ খান, মুজিব উর রহমানদের ওপর চোখ রাঙাতে পারেননি। এতে সর্বনাশও যা হবার হয়েছে। এক বল বাকি থাকতেই গুটিয়ে গেছে ১৩৯ রানে। ফলে ২৫ রানের বড় ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ।
বিষয়টি নিদারুণ ব্যথাতুর করে তুলেছে সাকিব আল হাসানের ক্রিকেটীয় সত্বা। সতীর্থদের এমন অপরিনামদর্শী ব্যাটিং দেখে তার মনে হয়েছে, ম্যাচটি তারা আফগানদের উপহার দিয়ে এসেছেন।
রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) ম্যাচ শেষে রাজধানীর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের সম্মেলন কক্ষে এসে এভাবে ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটালেন এই টাইগার দলপতি।
সাকিব বলেন, ‘এটা দেরাদুনে হয়েছিল এবং সেটি আজকেও প্রমাণ হয়ে গেল। সঙ্গে এটাও বলতেও হয়, আমরা ওদের ম্যাচটা দিয়েও এসেছি। আমাদের ম্যাচটা এক মুহূর্তে লুফে নেওয়ার সুযোগ ছিল, সেটা পারিনি।’
আগেও পারেনি বাংলাদেশ। গেল বছর দেরাদুনে তিন ম্যাচ সিরিজের টি-টোয়েন্টিতে রশিদ খানদের কাছে তিন ম্যাচ সিরিজে হোয়াইট ওয়াশ হয়ে এসেছিল সাকিব আল হাসান ও তার দল। কতটা দুঃখজনক, ক্রিকেটে প্রায় ২০ বছরের অভিজ্ঞ দলটিকে নিয়মিতিই হারাচ্ছে সেদিনের আফগানিস্তান। টি-টোয়েন্টিতে দুই দলের পাঁচ বারের মোকাবেলায় চার বারই জিতল কাবুলিওয়ালারা। বাংলাদেশ সেখানে একবার।
ফলাফল বিবেচনায় একথা বলাই যায়, বাংলাশের চাইতে ঢের পরে ক্রিকেট শুরু করলেও মাঠের পারফরমান্সে টি-টোয়েন্টিতে আফগানিস্তানই বড় দল। সাকিবও তাই মনে করেন। ‘টি-টুয়েন্টিতে আফগানিস্তান অবশ্যই বড় দল। আমরা দশে ওরা সাতে। আমাদের ওপরে আছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, শ্রীলঙ্কা। যাদের বিপক্ষে আমরা মাঝে মাঝে জিতে মাঝে মাঝে হারি। যেহেতু ওরা সাতে ওদের সঙ্গে জিততে কষ্টই হয়।’
কেন কষ্ট হয়? সংবাদমাধ্যমের করা এমন প্রশ্নে সাকিবে উত্তর হল, ‘সম্ভবত দুটো বিষয় কাজ করে। প্রথমত; আত্মবিশ্বাস কম আর দ্বিতীয়ত; মাইন্ডসেটও পরিষ্কার না।’