সাকিব-মুশফিক জুটি গড়লেই ৫০
৮ জুন ২০১৯ ২৩:৫৪ | আপডেট: ৯ জুন ২০১৯ ০০:৫৯
সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম। বাংলাদেশের ক্রিকেটের দীর্ঘদিনের দুই পরীক্ষিত ব্যাটসম্যান। এই দু’জন মিলে জুটি গড়ে বাংলাদেশকে কম ম্যাচে পথ দেখাননি। আর ২০১৯ সালের পরিসংখ্যান বলছে, বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের অন্যতম এই দুই স্তম্ভ কোনো ম্যাচে জুটি বাঁধলেই অন্তত ৫০ রান উঠে আসছে সেই জুটিতে। এ বছর সাকিব ইনজুরির কারণে সব ম্যাচ খেলতে পারেননি। তবে ত্রিদেশীয় সিরিজ আর বিশ্বকাপে যতগুলো ম্যাচে দু’জন সুযোগ পেয়েছেন, গড়েছেন অন্তত হাফ সেঞ্চুরি পার্টনারশিপ, এর মধ্যে দু’টি পার্টনারশিপ রয়েছে শতরানেরও।
শুরুটা হয়েছিল ৭ মে আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ থেকে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সেই ম্যাচে তামিম ইকবাল ও সৌম্য সরকার গড়েছিলেন ১৪৪ রানের উদ্বোধনী জুটি। সৌম্য সরকার আউট হলে মাঠে নামেম সাকিব আল হাসান। দলীয় ১৯৬ রানের সময় তামিম ইকবাল আউট হলে মাঠে নামেন মুশফিকুর রহিম। সেখান থেকে সাকিব-মুশফিক ৬৮ রানের পার্টনারশিপ গড়ে তোলেন।
১৫ মে ডাবলিনে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে ১১৭ রানে প্রথম উইকেট হিসেবে তামিম ইকবাল আউট হলে মাঠে নামেন সাকিব আল হাসান। ১৬০ রানে বাংলাদেশের দ্বিতীয় উইকেট হিসেবে লিটন দাস সাজঘরে ফেরত গেলে মাঠে নামেন মুশফিকুর রহিম। সাকিব রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে সাজঘরে ফিরে যাওয়ার আগে মুশফিকের সঙ্গে গড়ে তোলেন ৬৪ রানের পার্টনারশিপ।
ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে চোটের কারণে খেলা হয়নি বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিবের। পরে ২০১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেই কেনিংটন ওভালে বাংলাদেশ মুখোমুখি হয় দক্ষিণ আফ্রিকার। দলীয় ৬০ রানে তামিম ও পরে সৌম্য আউট হলে যথাক্রমে মাঠে আসেন সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম। প্রোটিয়াদের পেস আক্রমণ মোকাবিলা করে এই জুটি গড়ে তোলে ১৪২ রানের পার্টনারশিপ, যা এই জুটির সর্বোচ্চ।
বিশ্বকাপের দ্বিতীয় ম্যাচে কেনিংটন ওভালেই নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেও চিত্র একই। ৪৫ রানে সৌম্য আউট হয়ে সাজঘরে ফেরত গেলে মাঠে নামেন সাকিব আল হাসান। ৬০ রানের সময় আউট হয়ে সাজঘরে যান তামিম ইকবাল। মাঠে নামেন মুশফিকুর রহিম। কাটায় কাটায় ৫০ রানের জুটি গড়ে তোলেন দু’জনে।
সাকিব-মুশফিকের এই ব্যাটিং হারমোনি অব্যাহত থাকে বিশ্বকাপের তৃতীয় ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিপক্ষেও। ইংল্যান্ডের রানের চাপায় টাইগাররা যখন চিড়ে-চ্যাপ্টা, ইনিংস উদ্বোধন করতে নামা দুই ওপেনারও যখন আশার আলো তেমন দেখাতে না পেরে ৬৩ রানের মধ্যে সাজঘরে ফেরত, ঠিক তখনই তিন আর চারে নামা সাকিব-মুশফিকে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। ৪৪ রান করে মুশফিক যখন আউট হলেন, ততক্ষণে জুটিতে উঠে গেছে ১০৬ রান। অর্থাৎ, টানা পাঁচ ম্যাচে ফিফটি প্লাস জুটি গড়ে তুললেন এই দুই টাইগার।
ব্যাটিংয়ে দলগতভাবে ভালো না করতে পারলেও এ ম্যাচেই সাকিব আল হাসান পেয়েছেন বিশ্বকাপে নিজের প্রথম ও ওয়ানডে ক্যারিয়ারের অষ্টম সেঞ্চুরি।
বাংলাদেশের দর্শকরা বিশ্বকাপের সব ম্যাচ অনলাইনে কোনো ধরনের সাবস্ক্রিপশন ফি বা চার্জ ছাড়াই দেখতে পারবেন র্যাবিটহোলের ওয়েবসাইট www.rabbitholebd.com-এ। এছাড়া র্যাবিটহোলের অ্যাপেও দেখা যাবে প্রতিটি ম্যাচ। অ্যাপটি অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীরা ডাউনলোড করতে পারবেন https://goo.gl/UNCWS2 (শুধুমাত্র বাংলাদেশ) এই লিংকে ক্লিক করে। তাছাড়া আইওএস ব্যবহারকারীরা ডাউনলোড করতে পারবেন https://goo.gl/vJjyyL (শুধুমাত্র বাংলাদেশ) এই লিংকে ক্লিক করে।
সারাবাংলা/এসবি/টিআর
ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০১৯ বিশ্বকাপ স্পেশাল র্যাবিটহোল সাকিব-মুশফিক