Thursday 09 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ষষ্ঠবার নামার আগে টাইগারদের রঙিন মুহূর্ত


২ জুন ২০১৯ ১৩:৩৭ | আপডেট: ২ জুন ২০১৯ ১৫:১০

দ্বাদশ ওয়ানডে বিশ্বকাপের আসরে বাংলাদেশ অংশ নিচ্ছে ষষ্ঠবারের মতো। আগের ৫টি আসরে বাংলাদেশের ছিল রঙিন, রঙহীন অনেক ঘটনার গল্প। ষষ্ঠ বিশ্বকাপে ভালো কিছু করার লক্ষ্য নিয়ে লড়বে মাশরাফির দল। টাইগারদের রঙিন মুহূর্তগুলো নিয়ে শেষ বেলার এই আয়োজন।

বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশের যাত্রা শুরু বিশ্বকাপের সপ্তম আসরে, ১৯৯৯ সালে ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে। তারও আগে ১৯৯৭ সালে মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে অনুষ্ঠিত ষষ্ঠ আইসিসি ট্রফির ফাইনালে কেনিয়াকে হারিয়ে নতুন ইতিহাসের জন্ম দেয় বাংলাদেশ। আইসিসির পূর্ব ঘোষণা অনুসারে সপ্তম বিশ্বকাপ আসরে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে বাংলাদেশ।

বিজ্ঞাপন

জেনে নেওয়া যাক বিশ্বকাপে টাইগারদের বিশেষ কিছু পারফরম্যান্স।

** ১৯৯৯ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের জার্সিতে সর্বোচ্চ ইনিংস খেলেছিলেন মিনহাজুল আবেদিন নান্নু। তিনি স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে করেছিলেন ৬৮ রান।
** ১৯৯৯ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের হয়ে মিনহাজুল আবেদিন নান্নুর ব্যাটিং গড় ছিল সর্বোচ্চ (৭০)।
** ১৯৯৯ বিশ্বকাপে টাইগারদের হয়ে নান্নু করেছিলেন ৪ ম্যাচে সর্বোচ্চ ১৪০ রান।
** ১৯৯৯ বিশ্বকাপে বাংলাদেশ রানের দিক দিয়ে সর্বোচ্চ ব্যবধানে জয়টি তুলে নিয়েছিল পাকিস্তানের বিপক্ষে। সেই ম্যাচে টাইগাররা ৬২ রানে হারিয়েছিল পাকিস্তানকে।
** ১৯৯৯ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের দলীয় সর্বোচ্চ সংগ্রহ ছিল পাকিস্তানের বিপক্ষে। নর্দাম্পটনে টাইগাররা ৯ উইকেট হারিয়ে তুলেছিল ২২৩ রান।
** ১৯৯৯ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি খালেদ মাহমুদ সুজন। সেবার ৫ ম্যাচে ৬ উইকেট নিয়েছিলেন এই ডানহাতি মিডিয়াম পেসার।
** ১৯৯৯ বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ রানের জুটি গড়েছিলেন মেহরাব হোসেন অপি এবং নাইমুর রহমান দুর্জয়। ডাবলিনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তারা ৮৫ রানের জুটি গড়েন।
** ১৯৯৯ বিশ্বকাপে উইকেরক্ষক খালেদ মাসুদ পাইলটের ডিসমিসাল ছিল ৫ ম্যাচে চারটি।
** ১৯৯৯ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বেস্ট বোলিং ফিগারটি খালেদ মাহমুদ সুজনের। নর্দাম্পটনে পাকিস্তানের বিপক্ষে তার বোলিং ফিগার ছিল ১০-২-৩১-৩।

বিজ্ঞাপন

** ২০০৭ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ছিলেন মোহাম্মদ আশরাফুল। টাইগারদের সাবেক এই দলপতি সেবার ৯ ম্যাচে করেছিলেন ২১৬ রান।
** ২০০৭ বিশ্বকাপে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানটিও ছিল আশরাফুলের দখলে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তিনি করেছিলেন ৮৭ রান।
** ২০০৭ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জয়টি বারমুডার বিপক্ষে। টাইগাররা ম্যাচটি জিতেছিল ৭ উইকেটের ব্যবধানে।
** ২০০৭ বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ দুটি ফিফটি হাঁকিয়েছিলেন সাকিব আল হাসান।
** ২০০৭ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের জার্সিতে সর্বোচ্চ গড় ছিল আশরাফুলের (৩৬.০০)।
** ২০০৭ বিশ্বকাপে প্রোভিডেন্সে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বাংলাদেশ করেছিল সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ ২৫১/৮।
** ২০০৭ বিশ্বকাপে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে টাইগারদের ৬৭ রানের জয়টি সবচেয়ে বড় ব্যবধানের জয়।
** ২০০৭ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি স্পিনার আবদুর রাজ্জাক। তিনি ৯ ম্যাচে নিয়েছিলেন ১৩ উইকেট।
** ২০০৭ বিশ্বকাপে পোর্ট অব স্পেনে মুশফিকুর রহিম এবং সাকিব আল হাসান ভারতের বিপক্ষে সর্বোচ্চ ৮৪ রানের জুটি গড়েন।
** ২০০৭ বিশ্বকাপে সেরা বোলিং ফিগার মাশরাফির। পোর্ট অব স্পেনে ভারতের বিপক্ষে ম্যাশের বোলিং ফিগার ছিল ৯.৩-২-৩৮-৪।

** ২০১১ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের জার্সিতে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ইমরুল কায়েস। তিনি সেবার ৬ ম্যাচে করেছিলেন ১৮৮ রান।
** ২০১১ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ ছিল ভারতের বিপক্ষে। মিরপুরে ৯ উইকেট হারিয়ে টাইগাররা তুলেছিল ২৮৩ রান।
** ২০১১ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ উইকেট নিয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। সেবার ৬ ম্যাচে ৮ উইকেট নিয়েছিলেন বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার।
** ২০১১ বিশ্বকাপে ইমরুল কায়েস সর্বোচ্চ দুটি ফিফটি হাঁকান।
** ২০১১ বিশ্বকাপে উইকেটের পেছনে দায়িত্ব পালন করা মুশফিকুর রহিম ৬ ম্যাচে সাতটি ডিসমিসালে নাম লেখান।
** ২০১১ সালের বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বেস্ট বোলিং ফিগার পেসার শফিউল ইসলামের। মিরপুরে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তার বোলিং ফিগারটি ছিল ৮-১-২১-৪।
** ২০১১ বিশ্বকাপে টাইগারদের রানের ব্যবধানে বড় জয়টি ছিল আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে। সেই ম্যাচটি বাংলাদেশ জিতেছিল ২৭ রানে।
** ২০১১ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের উইকেটের ব্যবধানে বড় জয়টি ছিল নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে। সেই ম্যাচটি টাইগাররা জিতেছিল ৬ উইকেটে।

** ২০১৫ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের হয়ে তিনটি করে ফিফটি করেছিলেন মুশফিকুর রহিম এবং মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
** ২০১৫ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ গড় ছিল মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের। তিনি ৭৩ ব্যাটিং গড়ে রান করেছেন।
** ২০১৫ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বেস্ট বোলিং ফিগারে আছে রুবেল হোসেনের নাম। অ্যাডিলেডে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এই টাইগার পেসার ৯.৩ ওভারে ৫৩ রান খরচায় তুলে নিয়েছিলেন চারটি উইকেট।
** ২০১৫ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের জার্সিতে সর্বোচ্চ ইনিংস খেলেছিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে খেলেছিলেন অপরাজিত ১২৮ রানের ইনিংস।
** ২০১৫ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের উইকেটের ব্যবধানে সর্বোচ্চ জয়টি ছিল স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে। টাইগাররা স্কটিশদের হারিয়েছিলেন ৬ উইকেটের ব্যবধানে।
** অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডে হওয়া ২০১৫ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের রানের ব্যবধানে সর্বোচ্চ জয়টি ছিল আফগানিস্তানের বিপক্ষে। টাইগাররা ১০৫ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছিল আফগানদের।
** ২০১৫ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের জার্সিতে সর্বোচ্চ দুটি সেঞ্চুরি করেছিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
** দুই সেঞ্চুরিতে ২০১৫ বিশ্বকাপের আসরে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তিনি ৬ ম্যাচে করেছিলেন ৩৬৫ রান।
** ২০১৫ বিশ্বকাপে লাল-সবুজের জার্সিগায়ে সর্বোচ্চ ৯টি উইকেট নিয়েছিলেন পেসার তাসকিন আহমেদ। সেবার ৬ ম্যাচ খেলেছিলেন তিনি।
** ২০১৫ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ ছিল নেলসনে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে। সেই ম্যাচে টাইগাররা ৪ উইকেট হারিয়ে করেছিল ৩৩২ রান।

বাংলাদেশের দর্শকরা বিশ্বকাপের সকল ম্যাচ অনলাইনে কোনো প্রকার সাবস্ক্রিপশন ফি বা চার্জ ছাড়াই দেখতে পারবেন র‍্যাবিটহোলের ওয়েবসাইট www.rabbitholebd.com এ। এছাড়া র‍্যাবিটহোলের অ্যাপসেও দেখা যাবে প্রতিটি ম্যাচ। অ্যাপসটি এন্ড্রয়েড ব্যবহারকারীরা ডাউনলোড করতে পারবেন https://goo.gl/UNCWS2 (শুধুমাত্র বাংলাদেশ) এই লিঙ্কে ক্লিক করে। তাছাড়া আইওএস ব্যবহারকারীরা ডাউনলোড করতে পারবেন https://goo.gl/vJjyyL (শুধুমাত্র বাংলাদেশ ) এই লিঙ্কে ক্লিক করে।

সারাবাংলা/এমআরপি

ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০১৯ টাইগার বিশ্বকাপ স্পেশাল

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর