শেষ সময়ে বিশ্বকাপের দরজা খুলবে আমির-আসিফের?
১৬ মে ২০১৯ ১৮:৫৭
পাকিস্তানের পেসার মোহাম্মদ আমির এবং ব্যাটসম্যান আসিফ আলী গত মাসে ঘোষিত বিশ্বকাপ স্কোয়াডে জায়গা না পেলেও বিশ্বকাপের আগমুহূর্তে দলে অন্তর্ভুক্ত হতে চলেছেন। এমনটিই খবর প্রকাশ করছে পাকিস্তানের গণমাধ্যমগুলো। এই দুই ক্রিকেটারকে বিশ্বকাপের দলে রাখতে নাকি সায় দিয়েছেন পাকিস্তানের কোচ মিকি আর্থার, অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ, প্রধান নির্বাচক ইনজামাম-উল-হক।
এর আগে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নির্বাচক ও ইমরান খানের নেতৃত্বাধীন বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য ইনজামাম-উল-হক জানিয়েছিলেন, ইংল্যান্ড সিরিজে যদি মোহাম্মদ আমির ভালো খেলে তাহলে দলে তার জায়গা হতে পারে। এজন্য বর্তমান ঘোষিত দলই চূড়ান্ত নয়। আগামী ২৩ মে চূড়ান্ত তালিকা আইসিসির কাছে জমা দেবে পিসিবি।
ওদিকে, পাকিস্তানের বিশ্বকাপ স্কোয়াডের খেলোয়াড়দের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সৌজন্য সাক্ষাতের সময়ও উপস্থিত ছিলেন দল থেকে বাদ পড়া মোহাম্মদ আমির। সেই উপস্থিতি তার ভক্ত-সমর্থকদের আরও আশাবাদী করে তুলেছিল।
আমির ও আসিফের জন্য পৌষ মাস হলেও কপাল পুড়তে পারে অলরাউন্ডার ফাহিম আশরাফ ও ওপেনার আবিদ আলীর। দুজনই ছিলেন বিশ্বকাপের স্কোয়াডে। তবে, দুজনের পারফরম্যান্সে টিম ম্যানেজমেন্ট পুরোপুরি সন্তুষ্ট না হওয়ায় বিশ্বকাপ দলে ডেকেও আবার বাদ দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে।
মূলত তাদের জায়গায় দলে সুযোগ পেতে পারেন পেসার মোহাম্মদ আমির ও ওপেনার আসিফ আলী। চলমান ইংল্যান্ড সিরিজে আসিফ রয়েছেন দুর্দান্ত ফর্মে। ইংল্যান্ডে পাকিস্তানের চলমান সিরিজে দ্বিতীয় ও তৃতীয় ওয়ানডে ম্যাচে যথাক্রমে ৩৬ বলে ৫১ এবং ৪৩ বলে ৫২ রান করে নির্বাচকদের দৃষ্টিতে আসেন আসিফ আলী।
এদিকে, মোহাম্মদ আমির গুটি বসন্তে আক্রান্ত। লন্ডনেই তার চিকিৎসা চলছে। ইংলিশদের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে জায়গা পেলেও বৃষ্টির কারণে আমিরের বোলিং পারফর্ম পরখ করা হয়নি। এরপর অসুস্থতার কারণে আর কোনো ম্যাচ খেলা হয়নি তার। সেরে ওঠার পথে তিনি। ২০১৭ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে দুর্দান্ত পারফর্ম করেছিলেন আমির। ওই টুর্নামেন্টের পর ১৪টি আন্তর্জাতিক ম্যাচে আমির মাত্র ৫টি উইকেট পেয়েছেন। কিন্তু, ইংলিশ কন্ডিশনে আমিরের অভিজ্ঞতা তাকে বিশ্বকাপের স্কোয়াডে আনতে পারে।
আগামী ৩০ মে থেকে ইংল্যান্ড ও ওয়েলসে বিশ্বকাপ শুরু হবে। পাকিস্তান তাদের উদ্বোধনী ম্যাচ খেলবে ৩১ মে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে।
সারাবাংলা/এমআরপি