ইফতারিটা খেলার মাঠেই সেরেছেন আয়াক্সের দুই ফুটবলার
৯ মে ২০১৯ ১০:৪৭ | আপডেট: ৯ মে ২০১৯ ১১:২৩
আয়াক্সের রূপকথার ইতি ঘটেছে টটেনহামের কাছে হার দিয়ে। তবে মন জয় করে নিয়েছে কোটি ফুটবলপ্রেমীদের। আর রূপকথার এই দলের অংশ মরোক্কান বংশোদ্ভূত আয়াক্স ফুটবলার নুসাইয়ের মাজরাউই আর হাকিম জায়েচ।
ইসলাম ধর্মের সব থেকে পবিত্র মাস মাহে রমজান। আর সারা বিশ্বের মুসলিমরা রোযা রেখে পালন করেন এই মাস। সবার আগে যে সৃষ্টিকর্তার হুকুম পালন করতে হবে তার উদাহরণ হয়ে দেখালেন আয়াক্সের এই দুই ফুটবলার।
টটেনহামের সাথে চ্যাম্পিয়নস লিগের বাঁচা মরার লড়াই। নিজেদের রূপকথাকে বাস্তবে পরিণত করার সময়। তবে তাতে কি? সৃষ্টিকর্তার হুকুম পালন করতে হবে সবার আগে।
তাই তো চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমি ফাইনাল হওয়া স্বত্বে রোযা ভঙ্গ করেননি মরোক্কান বংশোদ্ভূত নুসাইয়ের মাজরাউই এবং হাকিম জায়েচ।
সময়ের ব্যবধানের কারণে নেদারল্যান্ডসে রোযা রাখতে হয় প্রায় ১৬ ঘন্টা। আর এই দুই মরোক্কান রোযা রেখেই মাঠে নামেন খেলতে। একবার ফুটবল মাঠে নেমে গেলে বের হওয়ার নিয়ম নেই। তাই তো প্রয়োজনীয় সকল কাজ সারার নিয়ম মাঠের ভেতরেই।
ডাচদের সময় অনুযায়ী ইফতারির সময় রাত ৯টা। আর এ সময়েই চলছিল নিজেদের রূপকথাকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার লড়াই। মাঠ ছেড়ে বের হওয়ার নিয়ম নেই। তাই খেলা চলাকালীন ২১ মিনিটের মাথায় মাঠের ভেতরেই ইফাতারি সারলেন নুসাইয়ের এবং জায়েচ।
শেষ পর্যন্ত আয়াক্স ৩-২ গোল হেরে সেমি ফাইনাল থেকে বিদায় নিলেও কোটি ফুটবলপ্রেমীদের মন জয় করে নিয়েছে তারা।
সারাবাংলা/এসএস