Wednesday 08 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

দশে মিলে কাজ করার অঙ্গিকার নিয়ে শেষ হকির ভোট


২৯ এপ্রিল ২০১৯ ১৫:৩৭

১৩ বছর পর দেশের হকিতে ভোটযুদ্ধ। দফায় দফায় স্থগিতের পর ভোট কেন্দ্র বদলের মধ্য দিয়ে অনাস্থার ভোট শেষ হলো। হকির পাড়ার দৃশ্যত দুই পরিষদ হার-জিত ছাপিয়ে এক সঙ্গে কাজ করার অঙ্গিকার নিয়েছে। সুলতানা কামাল স্পোর্টস কমপ্লেক্সে সোমবার (২৯ এপ্রিল) উৎসবমূখর পরিবেশের মধ্য দিয়েই শেষ হয়েছে দীর্ঘদিনের কাঙ্খিত ভোটের লড়াই।

সকাল ১০টা থেকে ২৮ পদের লড়াইয়ে ৮৪ জন ভোটারই ভোট দিয়েছেন। ভোট পর্ব চলেছে দুপুর ৩টা পর্যন্ত। রিপোর্ট লেখার মুহূর্তে ভোট গণনা চলছে।

বিজ্ঞাপন

গেল কমিটির সাধারণ সম্পাদক এবং এই নির্বাচনে একই পদে দাঁড়ানো আবদুস সাদেক বলেছেন, ‘অনেক দিন পর হকিতে ভোটের লড়াই হচ্ছে। নির্বাচনে একদল জিতবে আরেক দল হারবে। আমি চাইবো যারা জিতবে তারা যেন সবাইকে নিয়ে হকির উন্নয়নে কাজ করেন। আমি জিতলে সবার সহযোগিতা নিয়ে কাজ করবো। হারলেও সবার সঙ্গে কাজ করবো।’

ভোটের লড়াইয়ে হার-জিত মেনে নিয়ে একসঙ্গে কাজ করার অঙ্গিকার করেছে দুই পরিষদ। নিজের প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে মমিনুল হক সাঈদ বলেছেন, ‘আমি ভোটারদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। জয়ের ব্যাপারেও আশাবাদী। আমি বিজয়ী হলেও চাচাকে (আব্দুস সাদেক) সাথে রাখবো, হারলেও চাচার সাথে থাকবো। সব কিছুই হবে হকির উন্নয়নের স্বার্থে। আমি বিজয়ী হলে চাচার হকিতে যে বিশাল অভিজ্ঞতা তা কাজে লাগাবো। তার মেধা ও অভিজ্ঞতা হকির জন্য জরুরি।’

জেলা ও বিভাগের ৪০ ভোটারের মধ্যে নির্বাচন করছেন ২৩ জন। এর মধ্যে ১২ জন সাদেক-সাজেদ প্যানেলে, ১১ জন সাঈদ-রশিদ প্যানেলে। বাকি ১৭ জনের পাল্লা যেদিকে ঝুঁকবে, ভাগ্যের শিঁকে ছিড়তে পারে তাদের। ক্লাবের ৩১ কাউন্সিলরের মধ্যে ভোটের লড়াইয়ে সাঈদ-রশিদ প্যানেলে আছেন ১৫ জন, সাদেক-সাজেদ প্যানেলে ১১ জন। বাকি ১৬ জনের বাতাস কোন দিকে গড়ায় সেটাই দেখার।

বিজ্ঞাপন

৬টি সার্ভিসেস সংস্থার মধ্যে ভোটের মাঠে আছেন কেবল বিকেএসপির কাউন্সিলর জাহিদ হোসেন। তিনি নির্বাচন করছেন সাজেদ-সদেক প্যানেলে। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের ৫ কাউন্সিলরের মধ্যে চারজনই নির্বাচন করছেন। তাদের ৩ জনই সাদেক-সাজেদ প্যানেলে। একজন নির্বাচন করছেন এককভাবে সদস্য পদে।

হকির নির্বাচনে যারা প্রার্থী
সহ-সভাপতি:
রশিদ-সাঈদ পরিষদ: আবদুর রশিদ শিকদার, সৈয়দ মোস্তাক আলী মুকুল, সারওয়ার হোসেন, মাহমুদ রিবন ও নুরে আলম খোকন।
সাজেদ-সাদেক পরিষদ: সাজেদ এ এ আদেল, ড. মাহফুজুর রহমান, জাকি আহম্মেদ, মোস্তাবা জামান ও মোহাম্মদ ইউসুফ আলী।
এককভাবে: কামরুজ্জামান চৌধুরী।

সাধারণ সম্পাদক:
রশিদ-সাঈদ পরিষদ: একেএম মমিনুল হক সাঈদ।
সাজেদ-সাদেক পরিষদ: আবদুস সাদেক।

যুগ্ম সম্পাদক:
রশিদ-সাঈদ পরিষদ: কামরুল ইসলাম কিসমত ও মোসাম্মাৎ আনোয়ারা সরকার।
সাজেদ-সাদেক পরিষদ: মাহাবুবুল এহছান রানা ও মোহাম্মদ ইউসুফ।

কোষাধ্যক্ষ:
রশিদ-সাঈদ পরিষদ: হাজী মো. হুমায়ুন।
সাজেদ-সাদেক পরিষদ: কাজী মইনুজ্জামান পিলা ।

সদস্য:
রশিদ-সাঈদ পরিষদ: খাজা তাহের লতিফ মুন্না, বদরুল ইসলাম দিপু, সাফায়াত হোসেন, মো. আসলাম, জামিল আবদুন নাসের, মোস্তাক হোসেন মোনা, কাজী শরীফ উদ্দিন আহমেদ, নুরুল ইসলাম ফারুকী, রফিকুল ইসলাম কামাল, রেজাউল করিম রিপন, শহিদ উল্লাহ টিটু, মাহফুজুল আলম, হাজী এমএ সাত্তার, মো. হোসেন মনির, মেহেদী হাসান, তারিকুজ্জামান।

সাজেদ-সাদেক পরিষদ: আনোয়ার হোসেন খান, রফিকুল ইসলাম, মোসাদ্দেক হোসেন চৌধুরী পাপ্পু, তৌফিকুর রহমান রতন, মাহবুব মোর্শেদ আলম, জাফরুল আহসান, মাহবুব হারুন, টুটুল কুমার নাগ, হারুন অর-রশিদ রিংকু, সৈয়দ তরিকুল ইসলাম শান্ত, জহিরুল ইসলাম মিতুল, জাহিদ হোসেন, সৈয়দ মাহমুদুল হক, মাহবুব মোর্শেদ আহমেদ শামীম, মামুনুর রশিদ, মোহাম্মদ ফয়সাল আহসান উল্লাহ, মো. সাফিন ভুইয়া ও মোহাম্মদ আলমগীর আলম।

সারাবাংলা/জেএইচ/এমআরপি

ভোটযুদ্ধ হকি নির্বাচন

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর