Tuesday 07 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সাকিবের চোট দীর্ঘমেয়াদী, সেরে উঠতে দরকার দুই মাস


৭ আগস্ট ২০১৮ ১৭:৪৫ | আপডেট: ৭ আগস্ট ২০১৮ ১৭:৪৮

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট।।

ঢাকা: এই বছরের শুরুতে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে সেই যে আঙুলের চোট পেয়েছিলেন, তা এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেননি সাকিব আল হাসান। এখনও ব্যাটিং করতে গেলে ব্যথা টের পান আঙুলে। ফ্লোরিডায় শেষ টি-টোয়েন্টির আগে সেই ব্যথা এমনই বেড়ে গিয়েছিল, শেষ পর্যন্ত ইনজেকশন নিয়েই মাঠে নামতে হয়েছিল তাকে। আজ বিসিবি চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী মিরপুরে বলেছেন, আপাতত ইনজেকশন দিয়ে কাজ হলেও সাকিবের চোটের জন্য অস্ত্রোপচার লাগবেই। সেক্ষেত্রে দুই মাস বাইরে থাকতে হতে পারে সাকিবকে।

বিজ্ঞাপন

ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে চোট পাওয়ার পর টেস্ট আর টি-টোয়েন্টি খেলতে পারেননি সাকিব। নিদাহাস ট্রফিতেও শুরুতে ছিলেন না, পরে দেশ থেকে উড়ে এসে যোগ দিয়েছিলেন দলের সঙ্গে। এরপর আইপিএল খেলেছেন, আফগানিস্তান সিরিজের পর ওয়েস্ট ইন্ডিজেও নেতৃত্ব দিয়েছেন দলের। তবে সেই ব্যাথাটা এখনো পুরোপুরি যায়নি। সাময়িকভাবে ব্যাথা প্রশমনের জন্য শল্যচিকিৎসক ডেভিড ইয়াংয়ের পরামর্শে ইনজেকশন নিয়ে মাঠে নেমেছিলেন সাকিব। তবে এখনো হাড়ের হাড়ের সংঘর্ষ লাগায় কিছুটা ব্যথা আছেন বলে জানা গেছে। ব্যাটিং করতে গেলে সেটি টের পান। বিসিবি চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী বলেছেন, সাকিবের সমস্যাটা দীর্ঘমেয়াদের। আগে হোক, পরে হোক এর জন্য অস্ত্রোপচার করতে হতে পারে। তবে আপাতত খেলা চালিয়ে যেতে সমস্যা নেই। আর অস্ত্রোপচার কখন করবেন, সেটি সাকিবের সঙ্গে কথা বলেই ঠিক করা হবে।

ডা. দেবাশীষ বলেছেন, ‘সাকিবের বাঁ-হাতের কনিষ্ঠার জয়েন্ট ডিস-লোকেশন ছিল। সে মূলত ব্যাটিংয়ে সমস্যা অনুভব করছে। সে ব্যাটিংয়ে শতভাগ এফোর্ট দিতে পারছে না। বেশ কয়েকবার আমাদের জানিয়েছে। এই জন্য ওকে একজন হ্যান্ড সার্জনের কাছে পাঠানো হয়েছিল অস্ট্রেলিয়াতে। ডাক্তার ডেভিড হয় এর তত্ত্বাবধানে ওকে একটা ইনজেকশন দেয়। এরপর ব্যথা কিছুটা কমে আসে। ফলে গত কয়েক মাস সে পেইন ফ্রি থেকেই খেলতে পেরেছে। যদিও কিছু সমস্যা থেকেই গেছে।’

বিজ্ঞাপন

‘তবে শেষ পর্যন্ত এই ইনজুরির জন্য ওর অস্ত্রোপচার লাগবে। সেটা কখন করা হবে সেটা সাকিবের সঙ্গে কথা বলে ঠিক করা হবে। কারণ অপারেশন হলে প্রায় দেড়-দুই মাস রিহ্যাবের দরকার পড়বে’।

বিশ্বকাপের আগে এক বছর অবশ্য সাকিবের টানা দুই মাস মাঠের বাইরে থাকার সুযোগ প্রায় নেই-ই। সামনের মাসে এশিয়া কাপ, এরপর টানা দুই মাস জিম্বাবুয়ে আর ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ। সামনের বছর বিপিএল, এরপর আবার নিউজিল্যান্ড সফর। তার মাস খানেক পর আবার আয়ারল্যান্ড যাবে বাংলাদেশ। সাকিব অস্ত্রোপচার করলে কোনো একটা সিরিজে হয়তো তা-ই নাও থাকতে পারেন।

 

সারাবাংলা/এএম/এসএন

ইনজুরি বাংলাদেশ ক্রিকেট সাকিব

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর