করোনায় প্রবারণা: ফানুসে পৃথিবীর আরোগ্য কামনা [ছবি]
১ অক্টোবর ২০২০ ২৩:৪১ | আপডেট: ২ অক্টোবর ২০২০ ১২:০৪
প্রবারণা পূর্ণিমা। ‘প্রবারণা’ শব্দের অর্থ একদিকে প্রকৃষ্টরূপে বরণ করা, অন্যদিকে নিষেধ করাও। বিশুদ্ধ বিনায়চার জীবনে বরণ করে সেই অনুযায়ী চলাকে ‘বরণ করা’ অর্থ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। অন্যদিকে ‘নিষেধ’ অর্থ আদর্শ ও ধর্মাচারের পরিপন্থী কাজ থেকে দূরে থাকা। বর্ষাবাস শেষে ভিক্ষুসংঘ নিজেদের দোষত্রুটি আরেক ভিক্ষুসংঘের কাছে প্রকাশ করে তার প্রায়শ্চিত্ত করার আহ্বান জানান। এর মাধ্যম যাবতীয় দোষ বর্জন করে আদর্শ একটি জীবন গড়ে তোলার প্রচেষ্টা থাকে। শ্রাবস্তীর জেতবনে অবস্থানকালে গৌতম বুদ্ধ ভিক্ষুসংঘের পালনীয় হিসেবে এর প্রবর্তন করেন।
বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব এই প্রবারণা পূর্ণিমা। আশ্বিনের উৎসব বলে এর আরেক নাম আশ্বিনী পূর্ণিমা। এই উৎসবে প্রবারণার পর ভিক্ষুসংঘকে অধীত জ্ঞান প্রচারের জন্য গ্রামে-গঞ্জে যেতে হয়। এ সময় তারা কল্যাণের বাণী প্রচার করেন, যেন কেবল মানুষ নয়, সব প্রাণীর কল্যাণ হয়। এভাবে প্রবারণা শেষ হওয়ার পর প্রতিটি বৌদ্ধবিহারে পালিত হয় কঠিন চীবর দান উৎসব।
আত্মশুদ্ধির মাধ্যমে সত্য ও সুন্দরকে গ্রহণ করে অসুন্দরকে বর্জন করা— এটিই এই উৎসবের মূল প্রতিপাদ্য। এই দিনে বৌদ্ধ ভিক্ষু দ্বারা মন্ত্র পাঠের মাধ্যমে সাধু ধ্বনির সুরে সুরে ওড়ানো হয় ফানুস, যা এই উৎসবের অন্যতম প্রধান অনুষঙ্গ। এ বছর বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের মধ্যেই চলছে এই প্রবারণা পূর্ণিমা। ফলে আকাশজুড়ে যে ফানুস উড়েছে, তাতেও কামনা করা হয়েছে মহামারিতে আক্রান্ত পৃথিবীর আরোগ্য।
চট্টগ্রাম বৌদ্ধ মন্দির থেকে ছবি তুলেছেন সারাবাংলার ফটো করেসপন্ডেন্ট শ্যামল নন্দী
আশ্বিনী পূর্ণিমা চট্টগ্রাম বৌদ্ধ মন্দির টপ নিউজ প্রবারণা পূর্ণিমা