Tuesday 07 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ইশতেহার তৈরির গল্প

সাব্বির আহমেদ
৩০ ডিসেম্বর ২০২৩ ০১:৪১ | আপডেট: ৩০ ডিসেম্বর ২০২৩ ২০:২৬

দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নির্বাচনি ইশতেহার-২০২৪ ঘোষণা করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। ইশতেহারের স্লোগান ‘স্মার্ট বাংলাদেশ: উন্নয়ন দৃশ্যমান, বাড়বে এবার কর্মসংস্থান’। এই ইশতেহার তৈরিতে কাজ করেছে ২৫ সদস্যের নির্বাচনি ইশতেহার প্রণয়ন উপকমিটি। এর সদস্যরা নিজেরা কয়েকটি সভায় আলোচনা করে ইশতেহারের মূল সুরটা সৃষ্টি করেছে পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে। উপকমিটি একটি মতবিনিময় সভা করেছে বিভিন্ন শ্রেণি, পেশা, সম্প্রদায় ও গোষ্ঠীর প্রতিনিধিদের সঙ্গে। সর্বসাধারনের কাছ থেকে আহ্বান করেছে পরামর্শ। আহ্বানে সাড়াও মিলেছে ব্যাপক। ইমেইল এসেছে কয়েক হাজার। বিভিন্ন ব্যক্তি ও পেশার প্রতিনিধিরা নিজেদের প্রয়োজনের কথা উল্লেখ করে লেখা পাঠিয়েছেন কয়েক শ।

বিজ্ঞাপন

ইশতেহার প্রণয়ন উপকমিটির সদস্য হওয়ার সুবাদে ইশতেহার তৈরির জন্য গঠিত ছোট্ট একটা কোর টিমে দিন-রাত কাজ করেছি প্রায় দুই মাস। দুয়েকটা দিন ছাড়া এই টিমে প্রতিদিন সকাল থেকে রাত ৯/১০টা পর্যন্ত কাজ করেছেন উপকমিটির আহ্বায়ক কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক, প্রধানমন্ত্রীর সাবেক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান, প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম, প্রবীণ রাজনীতিবিদ শেখর দত্ত, উপকমিটির সদস্য সচিব এবং আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ ।

বিজ্ঞাপন

লেখা দিয়ে, তথ্য দিয়ে, ইমেইল থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করে এবং সার্বক্ষণিক পার্টির দাফতরিক সহযোগিতা দিয়েছেন ইশতেহার উপকমিটির সদস্য ও আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া এবং উপদফতর সম্পাদক সায়েম খান। আমাদের সার্বিক সহযোগিতা করেছে ও রসদ জুগিয়েছে রাজ্জাক স্যারের নিজস্ব একটি টিম।

এই টিমে কাজ করা একদিকে যেমন ছিল প্রচণ্ড পরিশ্রমের, অন্যদিকে গভীর আনন্দের। জ্ঞানার্জনের আনন্দ। সবচেয়ে বেশি মজার ছিল মসিউর স্যার, রাজ্জাক স্যার আর শেখর দা’র সঙ্গে আড্ডা। জগতের এহেন বিষয় নেই যা এই আড্ডায় আসেনি। গান্ধীজি পশ্চিমাদের ওপর কতটা প্রভাব বিস্তার করেছিলেন, চার্চিলের যুদ্ধ কৌশল থেকে জেফারসনের রাজনৈতিক দর্শন, স্ট্যালিন তার পলিটব্যুরোর কতজনকে হত্যা করেছিলেন, লেনিন বেঁচে থাকলে তাঁকেও স্ট্যালিন মেরে ফেলত কি না, সোভিয়েত ইউনিয়ন রাশিয়াকে মূলত কী দিয়েছে, মাও সেতুং স্ট্যালিনের এত ভক্ত ছিলেন কেন, মার্গারেট থ্যাচারের প্রাগম্যাটিক প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত থেকে পুতুল রাজা ওবামার রাজ্য পরিচালনা, টনি ব্লেয়ার কতটা চাকরের ভূমিকা পালন করেছে, হুগো শ্যাভেজের ওপর আমেরিকার এত খার কেন, আফ্রিকা কি কোনো কালে পশ্চিমাদের আগ্রাসন থেকে মুক্তি পাবে, কোন দেশের প্রশাসনিক পদক্ষেপ কোন কালে ব্যর্থ বা সফল হয়েছে, কেনই বা তা হয়েছে, কোন কোন বিশ্ব নেতার কী কী দোষ ছিল, সুকর্ণ পাকিস্তান এসে বিশেষ কী চেয়েছিলেন, কেইন্স, মিল্টন ফ্রিডম্যান, এলান গ্রীনস্প্যান, স্টিগলিস, ল্যারী সামারস, কৌশিক বসু, জেফরি স্যাক্স, অর্থনীতিবিদরা সমাজে কতটুকু ভূমিকা রাখতে পারেন— এমন আরও কত বিষয় নিয়ে যে আড্ডা হয়েছে, তার কোনো ইয়াত্তা নেই।

তরুণ সিএসপি অফিসার মসিউর স্যার ছিলেন বঙ্গবন্ধুর ব্যক্তিগত সহকারী। সরাসরি বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে এত ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করা মানুষ আগে আর পাইনি। বঙ্গবন্ধুর জীবনাচারণ, সহকর্মীদের কাজে নিয়োগের পদ্ধতি, বড় বড় প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত কীভাবে নিতেন, সহকর্মীদের সঙ্গে রাগ করতেন কি না, অন্যান্য দলের নেতাদের সঙ্গে কীভাবে যোগাযোগ করতেন, তাদের সঙ্গে সম্পর্ক, জেনারেল ওসমানী, বঙ্গতাজ, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, পঁচাত্তরের মীর জাফর, খুনি মোশতাক— এরকম কত বিষয়ে নিজ চোখে দেখা মানুষটার কাছ থেকে শুনেছি, এ এক বিরাট অর্জন। এক আলোচনায় এ কথা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে, বর্তমান প্রশাসনের তুলনায় বঙ্গবন্ধুর প্রশাসন অনেক বেশি কর্মঠ ছিল এবং আন্তরিকতা নিয়ে কাজ করেছে বলেই তিনি মাত্র সাড়ে তিন বছরে দেশ গঠনের জন্য অভাবনীয় পরিমাণে কাজ সম্পন্ন করতে পেরেছিলেন।

নভেম্বরের শুরুতে যখন এই কোর টিমে কাজ শুরু করি, এর তিন-চার দিন পর রাজ্জাক স্যার জানতে চেয়েছিলেন, ‘যোগাযোগ ব্যবস্থা’ বিষয়ে আমার লেখাটা শেষ হয়েছে কি না। উত্তরে তাকে বলেছিলাম, ‘স্যার, আমি লিখব কী, মসিউর স্যার আর শেখরদা’র কথা শুনতে শুনতে আমার দিন চলে যায়!’ মসিউর স্যার আর শেখরদা দুজনে মিলে এক হাতে লিখতেন। দুজন সারাক্ষণ আলাপ করতেন, তর্ক করতেন আর শেখরদা কিবোর্ড চালাতেন। আমি পাশে বসে শুধু তাদের কথাই শুনতাম। মাঝে মাঝে মসিউর স্যার বলে উঠতেন, ও তো চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট, ওকে জিজ্ঞেস করেন। এ রকম কিছু একটা বলে আমাকে যুক্ত করতেন তাদের আলোচনায়। আমার লেখা প্রথম দিকে আগাত খুব কম। ধীরে ধীরে ধাতস্থ হয়ে উঠেছি।

অর্থনীতি বিষয়ক লেখাগুলোতে যুক্ত হতেন ড. শামসুল আলম। আলম স্যারের মাথা ভর্তি অর্থনীতি আর দেশের ভবিষ্যৎ সব পরিকল্পনা। প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ২০২১, ২০৪১, ডেল্টা প্লান ২১০০— সব তৈরি হয়েছে তার তত্ত্বাবধানে। দেশের অতীতের অর্জন আর ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সব তার মাথায়। তিনি এলেই শুরু হতো অর্থনীতি নিয়ে আলোচনা। জিডিপি প্রবৃদ্ধি, মাথাপিছু আয়, আমদানি, রফতানি, প্রবাস আয়, বৈদেশিক বিনিয়োগ, ইত্যাদি পাঁচ বছর পর কোথায় গিয়ে পৌঁছাবে তা নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে আলম স্যারের সহযোগে। এসব সংখ্যা প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ২০৪১-এ আছে, কিন্তু করোনা অতিমারি আর ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বদলে যাওয়া দুনিয়ায় তা আমরা নিতে পারছিলাম না। সেসব আলোচনার সারবস্তু মাথায় রেখে ২০২৭-২৮ অর্থ বছর শেষে সংখ্যাগুলো কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে, তা নির্ধারন করার জন্য দরকারি অঙ্কগুলো করে ফেলেছি, গ্রাফ তৈরি করে তা আবার ফুটিয়ে তুলেছি। আমার করা অঙ্ক ঠিকঠাক আছে কি না, তা আবার পরীক্ষা করতেন মসিউর স্যার। কনসিসটেন্সি টেস্টিং নিজেও করে আসছি দুই যুগের বেশি সময় ধরে। মসিউর স্যারের কনসিসটেন্সি টেস্টিংয়ের কাছে আমার টেস্টিং কিছুই না। কত ভাবে, কত দিক থেকে এই টেস্ট করা যায়, মসিউর স্যারের সঙ্গে দেখা না হলে তা আমার হয়তো আর জানাই হতো না।

জগতের খ্যাতনামা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি নেওয়া চারজন আর মধ্য গগণে থাকা সোভিয়েত কালে বেড়ে ওঠা, কমিউনিস্ট পার্টির সাবেক নেতা সাম্যবাদী শেখরদা’র মতো মানুষদের সঙ্গে কাজ করতে পারাটা সত্যিই আনন্দের, গৌরবের। শেখর দা বলেন, লেনিন আর কিছুকাল বেঁচে থাকলে সোভিয়েত ইউনিয়ন হতো পৃথিবীর বৃহৎ সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক দেশ। স্টালিনবাদী কঠোর কমিউনিজম হয়তো পৃথিবী দেখতে পেত না। আমাদের লেখাগুলোর প্রভাবে সামাজিক বৈষম্য যেন না বাড়াতে পারে এবং কমানো যায়, তা কোয়ালিটি কন্ট্রোলার হিসেবে নিশ্চিত করেছেন শেখরদা।

পার্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি রাজ্জাক স্যার কৃষি বিষয়ে শুধু গভীর জ্ঞানই রাখেন না, কৃষির প্রতি রয়েছে তার প্রকৃত ভালোবাসা। কৃষি বিষয়ে রবীন্দ্রনাথের কাজকর্ম, সে আমলে এ দেশে ট্রাক্টর এনে কৃষিকাজ করার চেষ্টা, নিজের ছেলেকে বিলেত থেকে কৃষিতে উচ্চ শিক্ষিত করে আনা— এসব ঘটনা রাজ্জাক স্যারকে প্রভাবিত করেছে নিঃসন্দেহে। কথায় কথায় একদিকে তিনি রবীন্দ্রনাথের গান-কবিতা থেকে বলেন, আরেক দিকে তার কৃষিকাজের গল্প করেন। খাদ্য, দুর্যোগ ব্যাবস্থাপনা ও কৃষি মন্ত্রণালয় পরিচালনা করার দীর্ঘ অভিজ্ঞতা তাকে এ বিষয়ে মাস্টারপিস বানিয়েছে। কৃষি আর কৃষক বাংলাদেশের প্রাণ। এই প্রাণ ভোমরার শারীরিক গঠন শুধু একাডেমিক্যালিই নয়, প্রায়োগিক জায়গা থেকে তিনি অনুভব করেন। তিনি জানেন, বাংলাদেশের কৃষির জন্য এখন কী করা দরকার। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিপির বাংলাদেশ অর্থনীতির ভিত্তিভূমি, কৃষির প্রতি গভীর অনুরাগ তাকে টেনে নিয়েছে সামগ্রিক অর্থনীতির গভীরে। কৃষি, শিল্প ও সেবা খাতের সমন্বয়ে বাংলাদেশ অর্থনীতি আগামী দিনে কোন দিকে নিয়ে যেতে হবে, তা নিয়ে তিনি কথা বলেন সহজ-সরল ভঙ্গিতে। তার এই সারল্য থেকে বুঝে নেওয়া যায়, ভারসাম্যমূলক অর্থনীতির জন্য কৃষির সঙ্গে খাপ খাইয়ে শিল্প খাতকে কোন দিকে নিয়ে যেতে হবে। রাজ্জাক স্যারের কাছ থেকে পাওয়া এই ধারণা স্পষ্ট করে দিয়েছে আমার শিল্পোন্নয়ন বোধ। সে বোধ থেকেই ইশতেহারের জন্য লিখেছি শিল্প খাত নিয়ে।

আইনের ছাত্র ও শিক্ষক ড. সেলিম মাহমুদ ইশতেহারের জন্য লিখেছেন গণতন্ত্র, আইনের শাসন, নির্বাচন, কার্যকর সংসদ, গণমাধ্যম, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি— এসব বিষয় নিয়ে। সেলিম ভাই এবারের নির্বাচনে প্রথমবারের মতো প্রার্থী হয়েছেন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে। নতুন প্রার্থী বলে তাকে একটু বেশি সময় দিতে হয়েছে নিজের এলাকায়। আমাদের সঙ্গে একসঙ্গে বসে গল্পের মধ্যে লিখে ফেলা তার পক্ষে খুব একটা সম্ভব হয়নি। তিনি রাত জেগে বাসায় বসে লিখে পরের দিন লেখাটা নিয়ে সবার সঙ্গে আলোচনা করে সে আলোচনা অনুযায়ী আপডেট করে দিয়ে যেতেন। এভাবেই বেশ কয়েকটি লেখা সম্পন্ন করেছেন ড্যান্ডি বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি সেলিম মাহমুদ। তাকে আড্ডায় বেশ করে পাওয়া যায়নি। এ অপূর্ণতা থেকেই গেল।

কোর টিমের বাইরে থেকে অনেকের অনেক লেখা, মন্তব্য পেয়েছি আমরা পেয়েছি। একই বিষয়ে পাঁচ-সাতটা পর্যন্ত লেখা এসেছে। আমরা সেসব লেখা থেকে মূল পয়েন্টগুলো পিক করে আমাদের লেখার মধ্যে নিয়ে নিয়েছি। একই বিষয়ে কোর টিমের মধ্যেও একাধিক ব্যক্তি লিখেছেন। সেসব লেখাকেও মিশিয়ে এক করে ফেলা হয়েছে। ইশতেহারের জন্য নিজের লেখা ছাড়াও রাজ্জাক স্যার রিভিউ করেছেন প্রতিটি লেখা। তিনি নিজে রিভিউ করে সেটা আবার মসিউর স্যারকে, শেখরদাকে বা আমাকে আবার রিভিউ করার জন্য দিয়েছেন। একেকটা লেখা তৈরি হবার জন্য যত সময় নিয়েছে, তার চার-পাঁচ গুণ বেশি সময় খরচ হয়েছে সেটা রিভিউ করতে। বারবার ঘষামাজা করতে করতে লেখাগুলো শাণিত হয়ে উঠেছে।

ইশতেহার উপকমিটির গণ-আহ্বানে সাড়া দিয়ে আমাদের কাছে লেখা পাঠিয়েছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশায় কাজ করা অনেক অনেক মানুষ। বিভিন্ন জনের কাছ থেকে পাওয়া লেখাগুলো সংগ্রহ এবং সেখান থেকে বাড়তি কথা ফেলে দিয়ে সারমর্ম উদ্ধার করে সেগুলোকে ক্লাসিফাই করা, প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে অনেকগুলো লেখার মূল কাঠামোটি দাঁড় করে দিয়েছেন রাজ্জাক স্যারের নিজস্ব টিম। সেগুলো আবার অন্যদের হাতে পূর্ণাঙ্গতা পেয়েছে।

ইশতেহারের জন্য লেখা ছাড়াও আমরা তৈরি করেছি বিগত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগর নেতৃত্বে দেশের আর্থসামাজিক অগ্রগতির ওপর ভিডিও ডকুমেন্টারি এবং ইশতেহারের চুম্বক অংশ, ছবি ও গ্রাফের সমন্বয়ে স্লাইড প্রেজেন্টেশন। ডকুমেন্টারির মূল বক্তব্য কী হবে, কী কী বিষয়ে সেখানে সন্নিবেশিত হবে, কোন তথ্য-উপাত্ত থাববে, তা ঠিক করে দেওয়া থেকে সবকিছুতে আমরা যুক্ত থেকেছি। বই আকারে ইশতেহার প্রকাশের জন্য প্রচ্ছদ ডিজাইন সিলেকশন থেকে পেজ মেক-আপ, প্রুফ রিডিং, ইত্যাদি দেখাশুনা করেছে এই কোর টিম। জাতির সামনে ইশতেহার উপস্থাপনের আয়োজনও করেছি আমরা। অনুষ্ঠানের ভেন্যু সিলেকশন থেকে স্টেজ ডিজাইন, ভেন্যু সাজসজ্জা, অতিথি তালিকা তৈরি, খাবার-দাবার— সবকিছুর তত্ত্বাবধান আমরা করেছি।

ইশতেহার উপস্থাপন অনুষ্ঠানের আয়োজন কাজে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছেন কৃষিবিদ দীপক কুমার বনিক (দিপু)। অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। শেষের দিকে আমি ছিলাম স্লাইড প্রেজেন্টেশন তৈরি, স্টেজ ও ভেন্যু ডিজাইনের গ্রাফিক্সগুলোর ডিজাইন এবং তথ্যগুলো ফাইনাল করার কাজে এবং ক্রমাগত স্লাইড আপডেটে পুরোপুরি নিমগ্ন। রাজ্জাক স্যার শুধু লেখার কাজেই ছিলেন না, ছিলেন ইশতেহার ঘোষণার সামগ্রিক আয়োজনেও। তার নেতৃত্বের বৈশিষ্ট্য খুবই সাধারণ। উপযুক্ত লোকের হাতে সহজ ভাষায় দ্বায়িত্ব বুঝিয়ে দেন আর হালকাভাবে অগ্রগতি মনিটর করেন।

গত দুই মাসে শুধু অর্থনীতির দৃষ্টিতেই নয়, রাজনীতি, প্রশাসন, সামাজিক নিরাপত্তা, স্মার্ট বাংলাদেশ ইত্যাদি সব বিষয় একসঙ্গে মাথায় নিয়ে বোঝার সুযোগ পেয়েছি। পুরো দেশটাকে বিভিন্ন পেশা, গোষ্ঠী, সম্প্রদায়, জনমিতি ইত্যাদি অনুসারে একসঙ্গে ভাবতে এবং এগিয়ে যাওয়ার পথ বের করতে শিখেছি। এটাই বোধহয় সবচেয়ে বড় পাওয়া।

লেখক: রাজনৈতিক বিশ্লেষক, আওয়ামী লীগের নির্বাচনি ইশতেহার-২০২৪ প্রণয়ন উপকমিটির সদস্য

সারাবাংলা/টিআর

আওয়ামী লীগ ইশতেহার প্রণয়ন টপ নিউজ নির্বাচনি ইশতেহার

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর