Monday 06 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

শুধু হাফ ভাড়া নয়, হাঁফ ছাড়াও জরুরি

সন্দীপন বসু
২৬ নভেম্বর ২০২১ ২৩:৫৭ | আপডেট: ১০ মার্চ ২০২২ ১৬:৪১

বাসে হাফ ভাড়ার দাবিতে বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থীরা, ছবি: সারাবাংলা

গণপরিবহনে শিক্ষার্থীদের জন্যে ‘হাফ পাস’ কার্যকরের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে তিনটি শর্তে বাসে শিক্ষার্থীদের ভাড়া অর্ধেক ঘোষণা করেছে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশন (বিআরটিসি)। সড়ক পরিহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষার্থীদের এই দাবি মেনে নিতে নির্দেশ দিয়েছেন। ১ ডিসেম্বর থেকে এই সুবিধা পেতে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে থাকতে হবে বৈধ পরিচয়পত্র। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের দিনে তারা এই সুবিধা পাবেন না। আর বাকি দিনগুলোতেও কেবল সকাল ৭টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত অর্ধেক ভাড়া দিতে পারবে শিক্ষার্থীরা।

বিজ্ঞাপন

অর্ধেক ভাড়ার দাবিতে গত ক’দিন ধরেই রাজধানীতে আন্দোলন করছে শিক্ষার্থীরা। আন্দোলন চলাকালীন রাজধানীর গুলিস্তানে সিটি করপোরেশনের ময়লাবাহী ট্রাকের চাপায় নটর ডেম কলেজের শিক্ষার্থী নাঈম হাসানের নির্মম মৃত্যু হয়। এরপর এই দাবিসহ আরও কিছু দাবি নিয়ে ঢাকার রাজপথে সরব উপস্থিতি ছিল শিক্ষার্থীদের।

এর মধ্যেই গতকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির দ্বিবার্ষিক সাধারণ সভায় শিক্ষার্থীদের অর্ধেক ভাড়া নেওয়ার দাবি বিবেচনা করার জন্য মালিকদের প্রতি আহ্বান জানান সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। পাকিস্তান আমলে নিজের ছাত্রাবস্থার স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, তারা ছাত্র থাকাকালীন ভাড়ায় কনসেশন (ছাড়) পেয়েছেন। দুনিয়ার বিভিন্ন দেশেও ছাত্ররা ভাড়ায় ছাড় পেয়ে থাকেন। বিআরটিসি থেকে ছাত্রদের ভাড়ায় ছাড়ের বিষয়ে সিদ্ধান্তের কথা তখনই সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন তিনি। একইসঙ্গে মালিক সমিতির নেতাদেরও আহ্বান জানিয়েছিলেন সমস্যাটির একটি যৌক্তিক সমাধানের।

একদিকে যখন মন্ত্রীর এই আহ্বান, অন্যদিকে বাইরে তখন নগরজুড়ে চলছে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন। এর মধ্যেই মন্ত্রীর উপস্থিতিতে সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ বলে দেন, বেসরকারি খাতে হাফ ভাড়া নেওয়ার কোনো প্রভিশন (বিধান) দেশে নেই। বিআরটিসিতে হাফ নেওয়ার বিধান আছে, তারা হাফ ভাড়া নিক। কিন্তু বেসরকারি পরিবহন মালিকরা হাফ ভাড়া নিতে পারবেন না।

তিনি হয়তো বুঝিয়েছিলেন, আইনে হাফ ভাড়া নেওয়ার বিধান নেই বলে মালিক সমিতি হাফ ভাড়া নিতে পারছে না। শুধু তাই নয়, প্রভিশন না থাকায় ‘হাফ’ ভাড়া নিতে অপারগ এনায়েত উল্যাহ শিক্ষার্থীদের একটি ‘ফুল’ উপদেশ দিয়ে দিয়েছেন। বলেছেন, ‘শিক্ষার্থীরা আমাদেরই ছাত্র, আমাদেরই ছেলে-মেয়ে। আমি মনে করি, করোনাকালীন তারা দীর্ঘদিন পড়ালেখা করতে পারেনি। তারা পড়ালেখার প্রতি যেন মনোযোগী হয়, তাদের প্রতি আমার এই অনুরোধ থাকবে।’

বিজ্ঞাপন

এনায়েত উল্যাহর বক্তব্য অনুযায়ী পরিবহন মালিক সমিতি যেন নিয়ম মানা, আইন প্রতিপালনের সাক্ষাৎ প্রতিরূপ। অথচ সত্যিটা হলো— গোটা জাতিকে সময়ে সময়ে জিম্মি করার কারিগর এই সংগঠনটি। আগাম ঘোষণা না দিয়েই কথায় কথায় যানবাহনের চাকা বন্ধ করে দেওয়া হয়। কার কী অসুবিধা, কে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে মারা যাচ্ছে, কার চাকরির ইন্টারভিউ, কার ভর্তি পরীক্ষা— এসব দেখার সময়ই নেই। অঙ্গুলি হেলনে অগ্রপশ্চাৎ বিবেচনা না করেই প্রয়োজনমাফিক নিষ্ঠুর একদল কর্মী-সমর্থককে রাজপথে নামিয়ে দেওয়া হয়। নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিআরটিএ, এমনকি দেশের প্রচলিত অনেক আইনকেই পাশ কাটিয়ে কিংবা বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে চলছে সংগঠনটি।

সবশেষ ক’দিন আগেও জনগণ দেখেছে— ডিজেলের দাম বাড়ার পর কোনো ঘোষণা না দিয়েই পরিবহন ধর্মঘটের নামে জাতিকে জিম্মি করে ভাড়া বাড়িয়েছে মালিক সমিতি। জ্বালানির দাম বাড়লে পরিবহনের ভাড়া বাড়বে— এটিই স্বাভাবিক। কিন্তু তার জন্য সরকার বা সরকারের কোনো সরকারি প্রতিষ্ঠানকে ন্যূনতম সময় না দিয়ে জনগণকে সীমাহীন ভোগান্তির মধ্যে ফেলে দেওয়াটা অপরাধের সামিল। জ্বালানির দাম বেড়েছে, এরপর ভাড়া বাড়ানো হবে— এটা তো নিশ্চিতই ছিল। তা জেনেও মালিকরা সব ধরনের যানচলাচল বন্ধ করে দিলেন কেন? তারা কি জানেন না ধর্মঘট কোনো দাবি আদায় বা আন্দোলনে জেতার সর্বশেষ ধাপ! এর আগে রয়েছে আলোচনাসহ আরও অনেকগুলো ধাপ। সেগুলো না মানলে যে জনগণের অসহনীয় ভোগান্তি হবে— তা কি পরিবহন সংগঠনের নেতাদের জানা ছিল না?

জানা ছিল অবশ্যই। কিন্তু তবুও তারা কারও তোয়াক্কা না করে সরাসরি ধর্মঘট কর্মসূচিতে গেছেন। কারণ তারা জানেন, মানুষকে জিম্মি করলে অনৈতিক দাবি আদায় সহজ। এবং এই সহজ কাজটিই করেছে সংগঠনটি। অনৈতিক সিদ্ধান্ত সাধারণ জনগণের ওপর চাপিয়ে গুছিয়ে নিয়েছে আখের। যেখানে ডিজেলের দাম বেড়েছে ২৩ ভাগ, সেখানে সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে মালিকরা ২৭ ভাগ ভাড়া,  ক্ষেত্রবিশেষে আরও বেশি বাড়িয়ে নিয়েছে। এরাই আবার টেলিভিশনে, সভা-সমিতিতে মানুষের সামনে বড় বড় কথা বলে বেড়ান, উপদেশ দেন। বিপরীতে গরীব-অসহায় মানুষগুলোকে জিম্মি করে আদায় করেন অনৈতিক সুবিধা। সুবিধা আদায়ের ক’দিন বাদেই পরিবহন মালিকরা ভুলে যান বিনিময়ে দেওয়া তাদের প্রতিশ্রুতি।

শুধু সাধারণ মানুষই নয়, সরকারকেও এদের কাছে জিম্মি হতে হয়। কারণ চাইলেই যা ইচ্ছা তাই করতে পারেন তারা। এতই তাদের ক্ষমতার পরিধি! সে কারণেই পরিবহনের ভাড়া সমন্বয়ের জন্যে সরকারকে একটি দিন সময় না দেওয়া সংগঠনটির মহাসচিব ‘ওয়েবিল’ ও ‘সিটিং সার্ভিস’ বন্ধের ঘোষণা দিয়ে সেটি বাস্তবায়ন করেন না; শুধু যা ইচ্ছে তা করতে পারার অলিখিত ক্ষমতার কারণেই। মালিক-শ্রমিকরা একটু রাগ করলেই সরকারের পক্ষ থেকে আলোচনার নামে দাওয়াত দেওয়া হয়। সেখানে সংগঠনের নেতাদের মাথায় হাত বুলিয়ে আহ্বান জানানো হয়। অনুরোধ করা হয় সরকারকে-জনগণকে ‘দয়া করে’ কিছুটা ছাড় দিতে। এদিকে, পরিবহন নেতারাও কি ঘটে বুদ্ধি কম রাখেন? তারা খুব ভালো করেই জানেন, কতটুকু ছাড় দেওয়ার অনুরোধ আসবে! তাই আগেই ততখানি যোগ করে তারা হিসাব করেন।

উদ্ভূত পরিস্থিতির দাবি অনুযায়ী, একসময় মালিকপক্ষ ও সরকারপক্ষ— দুই পক্ষের হিসাব-কিতাব শেষ হয়। এই আলোচনা প্রক্রিয়ায় ভোক্তা যারা, সেই নিম্ন ও মধ্যবিত্ত জনগণ ব্রাত্য। দুই পক্ষের সম্মতিতে ভাড়াও বাড়ানো হয়ে যায়। এরপর শুরু হয় আবার নতুন করে নৈরাজ্য। কোন রুটে কত ভাড়া হবে, প্রতি কিলোমিটারে ভাড়া কত, কোন শ্রেণির বাসের ভাড়া কত— এসবের সুনির্দিষ্ট লিখিত নিয়ম থাকলেও পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের তাতে কিছুই যায় আসে না। মুনাফার প্রয়োজনে রাতারাতি ঢাকার সিএনজিচালিত সব বাস হয়ে যায় ডিজেলচালিত। নিয়মনীতিকে থোড়াই কেয়ার করে ‘মালিকে কয়া দিছে এত কইরা নিস’ পদ্ধতিতে চলে ভাড়া আদায়। এ যেন ‘যেমন খুশি তেমন ভাড়া’ পদ্ধতি! ভাড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্ত দিয়ে দেন সরকার। কিন্তু সেই সিদ্ধান্ত কার্যকর হচ্ছে কি না, সেই নজরদারিটা হয়ে ওঠে না। কিছু কিছু জায়গায় নামকাওয়াস্তে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চলে বটে, কিন্তু সেটি প্রয়োজনের তুলনায় একেবারেই অপ্রতুল। এই পুরো একটি খাত চলছে সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণহীনভাবে। আর এই অনিয়ম-বেআইনি কাজের একমাত্র শিকার জনগণ— স্পষ্টভাবে বলতে গেলে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত জনগণ।

দেশের পরিবহন খাতে এই অরাজকতার কথা বারবার আর্তনাদ করে বলছেন সাধারণ জনগণ, সচেতন মানুষ, বুদ্ধিজীবী, সরকার সংশ্লিষ্টরা, এমনকি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীও। কিন্তু কথাই সার, কারও যেন কিছুই করার নেই। এই গতকালও (বৃহস্পতিবার) পরিবহন নেতাদের উপস্থিতিতে সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সুস্পষ্টভাবে বলেছেন— ‘রাজধানীতে বাস ভাড়া নিয়ে অরাজকতা চলছে। আর এর দায় বাস মালিকদের চেয়ে বেশি নিতে হচ্ছে সরকারকে।’ মন্ত্রী এই বিষয়টি যখন বোঝেন এইটাও নিশ্চয়ই জানেন— এই অরাজকতার অবসান ঘটিয়ে সঠিক নিয়মে ভাড়া আদায় করার বিষয়টি নিশ্চিতের দায়িত্বও তার। এবং মন্ত্রীর এ-ও নিশ্চয়ই জানা আছে— ব্যবস্থা না নিয়ে মালিকদের প্রতি শুধু আহ্বান জানানোতে কতখানি ফল আসবে। পরিবহন মালিকদের এই নেতৃত্ব তো তার আর অচেনা নয়।

ছাত্রদের হাফ ভাড়ার দাবি নিয়ে আদালতে রিট হয়েছে। রিটে শিক্ষার্থীদের জন্য দেশের সব ধরনের সরকারি-বেসরকারি বাস, লঞ্চ ও ট্রেনে ভাড়া অর্ধেক করার বিষয়ে অন্তর্ব্তীকালীন আদেশ চাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি সব ধরনের পরিবহনে শিক্ষার্থীদের অর্ধেক ভাড়ার ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না— তা জানতে চেয়ে রুল জারির আর্জি পেশ করা হয়েছে। এই রিটের শুনানি হবে আগামী রোববার (২৮ নভেম্বর)। কিন্তু সবার এই সম্মিলিত অংশগ্রহণেও কি আদতে কিছু হবে? মহাপরাক্রমশালী মালিক সমিতির সবকিছু থোড়াই কেয়ার করার যে ক্ষমতা মানুষ দেখেছে, তাতে মানুষ এখন কোথাও ভরসা রাখতেও ভয় পায়।

তাহলে এর সমাধান কোথায়? পরিবহন মালিকদের দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখলে সমাধান প্রসঙ্গে ‘বিপ্লবী’ কাজ করে ফেলেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা। সদরঘাটগামী বাসগুলোতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচয়পত্র দেখালেই তারা অর্ধেক ভাড়া দিতে পারবেন। এছাড়াও জবি শিক্ষার্থীদের জন্য এসব বাসে সর্বনিম্ন ভাড়া ৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর বাসে কোনো শিক্ষার্থী সমস্যার মুখে পড়লে কিংবা অসৌজন্যমূলক আচরণের শিকার হলে গাড়ির নম্বর ও সময় উল্লেখ করে তাৎক্ষণিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিস অথবা সদরঘাট পুলিশ ফাঁড়িতে অভিযোগ জানাতে বলা হয়েছে।

কিন্তু শুধুই জবি শিক্ষার্থীদের জন্যে কেন এই বিশেষ সুবিধা? অন্যরা কী দোষ করল? বা অন্য প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের অযোগ্যতাই বা কী? জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় বড় ও প্রভাবশালী ক্যাম্পাস বলে তারা হয়তো সম্মিলিতভাবে এই সুবিধা আদায় করতে পেরেছে। নৈতিক এই বিজয়ে সাধুবাদ জানাই জবি ছাত্র-শিক্ষকসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে। লড়াই লড়ে সরকারের ও রাষ্ট্রের করণীয়ের জায়গাটাতে তারা প্রভাব বিস্তার করতে পেরেছেন। আদায় করে নিয়েছেন নিজেদের প্রাপ্যটুকু। কিন্তু দেশের অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষার্থীরা যাদের এই পরাক্রমশালী মালিক সমিতির নেতাদেরকে আলোচনায় বসানোর ক্ষমতাটুকুও নেই, তারা কী করবে?

শুধু শিক্ষার্থী তো নয়, কী-ই বা করবেন বাস ভাড়া নিয়ে সবচেয়ে দুর্ভোগে থাকা নিম্নবিত্ত, নিম্ন-মধ্যবিত্ত জনগণ? সারাদিনের পরিশ্রমের পর, শত গঞ্জনা সয়ে, ক্লান্তির জীবন বয়ে বাড়ি ফেরার পথে হাঙ্গামা কাঁহাতক সহ্য হয়! মালিকরা একজোট, পরিবহন শ্রমিকরা একজোট— নায্য কথা বলতে গেলেও যেখানে যাত্রীর গায়ে হাত তোলা নিত্যকার ঘটনা, সেখানে কী করতে পারেন ছাপোষা সাধারণ যাত্রীরা! সংগঠিত হবেন? অবিরত ছুটে চলা যেখানে নিয়তি, সেই নগরীতে এটি কি আদৌ সম্ভব! তাই হয়তো ভেতরে ভেতরেই মরমে শতবার মরেন তারা, আকাশে তাকান ‘বোবা ঈশ্বরের’ প্রতি।

তবে সবকিছু ছাপিয়ে পরিবহন খাতে নিয়ন্ত্রণ না থাকার অভিযোগ খারিজ করতে পারবে না সরকার এবং খাতটির নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে থাকা সংশ্লিষ্টরা। জনগণকে রক্ষার দায়িত্বে থাকা এই মানুষগুলোর অযোগ্যতা কিংবা দুর্বলতার সুযোগ নিচ্ছে পরিবহন খাতের মাফিয়ারা। মানুষও অতীষ্ঠ হয়ে গেছে। কথায় কথায় বাসের চাকা বন্ধ করে দেওয়া, ইচ্ছামতো বাস ভাড়া বাড়ানো, জনগণকে জিম্মি করে নিজের পকেটে পোরাসহ নিত্যকার হয়রানি থেকে মুক্তি চায় জনগণ। দীর্ঘদিন ধরে চলমান অন্যায়ের প্রতিবাদে ছাত্ররা পথে নেমেছে, তাদের দাবি হাফ ভাড়া। আর যারা রাস্তায় নামতে পারছেন না, অথচ এই পরিবহন মাফিয়াদের সবচাইতে নির্মম শিকার জনগণের সেই বৃহৎ অংশটি মধ্যবিত্ত ও নিম্ন-মধ্যবিত্তরা চায় হাঁফ ছেড়ে বাঁচতে। পরিবহন খাতে মালিক শ্রমিক দৌরাত্ব থেকে হাঁফ ছেড়ে বাঁচতে চায় সারাদেশের জনগণ।

লেখক: সংবাদকর্মী

সারাবাংলা/টিআর

অর্ধেক ভাড়া ওবায়দুল কাদের টপ নিউজ পরিবহন মালিক সমিতি শিক্ষার্থীদের আন্দোলন সড়ক পরিবহনমন্ত্রী সন্দীপন বসু সন্দীপন বসু কলাম হাফ পাস হাফ ভাড়া

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর