Tuesday 07 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

শতবর্ষে ঢাবি’র ভাষা ও ভাষা-সংশ্লিষ্ট শিক্ষা কার্যক্রমের চালচিত্র

ড. এ বি এম রেজাউল করিম ফকির
৪ জুলাই ২০২১ ১৭:৩৯ | আপডেট: ৪ জুলাই ২০২১ ১৯:১২

১. পূর্বকথা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। সদ্যই পূর্ণ করেছে পথচলার শত বছর। এই শতবর্ষ ধরে বিভিন্ন সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাষা ও ভাষা-সংশ্লিষ্ট শিক্ষা কার্যক্রম চালু করা হয়। বিভিন্ন যুগপর্বে চালু করা এসব ভাষা ও ভাষা-সংশ্লিষ্ট শিক্ষা কার্যক্রমকে একসঙ্গে সাজিয়ে দেখলে আমাদের সামনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ভাষা শিক্ষা ব্যবস্থার চিত্র পরিস্ফূট হয়। শুধু তাই নয়, এই ভাষা ও ভাষা-সংশ্লিষ্ট শিক্ষা কার্যক্রমগুলো থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিয়ার ভাষাচিন্তা সম্পর্কেও সম্যক ধারণা পাওয়া যায়।

বিজ্ঞাপন

২. ভাষানীতি

কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে ওঠে রাষ্ট্রের শিক্ষানীতিকে কেন্দ্র করে। সে বিবেচনায় কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা ও ভাষা-সংশ্লিষ্ট শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে ওঠে রাষ্ট্র প্রণীত ভাষানীতিকে কেন্দ্র করে। এখানে জানা প্রয়োজন যে ভাষানীতি বলতে কী বুঝায়। ভাষানীতি হলো— রাষ্ট্রভাষা, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ভাষা, ধ্রুপদী ভাষা ও বিদেশি ভাষা ইত্যাদি বিভিন্ন শ্রেণির ভাষার গুরুত্ব অনুযায়ী গঠন, মর্যাদা ও প্রায়োগিকতা আরোপণ সম্পর্কিত নীতিমালা। কিন্তু বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের কোনো ভাষানীতি নেই। তবে স্বায়ত্তস্বাশিত বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা ও ভাষা-সংশ্লিষ্ট শিক্ষা কার্যক্রম চালুর সুযোগ ছিল। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বিচ্ছিন্নভাবে বিভিন্ন ধাপে ভাষা ও ভাষা-সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও ইনস্টিটিউট গড়ে তোলে। বিভিন্ন সময়ে প্রতিষ্ঠিত ভাষা ও ভাষা-সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও ইনস্টিটিউট এবং বিভিন্ন সময়ে প্রবর্তিত নানা ভাষা ও ভাষা-সংশ্লিষ্ট শিক্ষা কার্যক্রম মিলে শতবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সার্বিকভাবে যে ভাষা ও ভাষা-সংশ্লিষ্ট শিক্ষা কার্যক্রম পরিস্ফূট তা এখানে তুলে ধরা হলো।

বিজ্ঞাপন

৩. ভাষা ও ভাষা সংশ্লিষ্ট বিভাগের শিক্ষাব্যবস্থার চালচিত্র

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা ও ভাষা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে শিক্ষাব্যবস্থার চালচিত্র তিনটি ভাগে উপস্থাপন করা যেতে পারে—

৩.১. কলা অনুষদভুক্ত ভাষা ও ভাষা সংশ্লিষ্ট বিভাগের শিক্ষাব্যবস্থার চালচিত্র

কলা অনুষদে ভাষা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে পঠন-পাঠন হয়ে থাকে। কলা অনুষদের অন্তর্ভুক্ত ভাষা-সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলো হলো— ভাষা বিজ্ঞান বিভাগ, বাংলা বিভাগ, ইংরেজি বিভাগ, আরবি বিভাগ, সংস্কৃত বিভাগ, পালি ও বৌদ্ধ অধ্যয়ন বিভাগ, ফার্সি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগ এবং উর্দু বিভাগ। এই বিভাগগুলোর অধিকাংশই ১৯২১ খ্রিস্টাব্দে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্মলগ্নে প্রতিষ্ঠা করা হয়। শুরুতে বাংলা ও সংস্কৃত বিভাগ একান্নবর্তী বিভাগ ছিল। পরবর্তী সময়ে একান্নবর্তী বিভাগ হিসেবে চালু ছিল সংস্কৃত ও পালি বিভাগ এবং উর্দু ও ফার্সি বিভাগগুলো। এগুলো বিভিন্ন সময়ে আলাদা হয়ে বর্তমান ভাষা সংশ্লিষ্ট বিভাগে রূপ নিয়েছে। সবশেষ যে বিভাগটি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে, তা হলো উর্দু বিভাগ, যা ২০০৭ সালে আলাদা বিভাগ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা হয়।

এই বিভাগগুলোর কতকগুলোর নাম থেকে সহজে অনুমেয়, পালি ও বৌদ্ধ অধ্যয়ন বিভাগ এবং ফার্সি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগে যথাক্রমে পালি ভাষার সঙ্গে বৌদ্ধধর্ম এবং ফার্সি ভাষার সঙ্গে ফার্সি সাহিত্যের পঠন-পাঠন হয়ে থাকে। কিন্তু বাংলা বিভাগ, ইংরেজি বিভাগ, আরবি বিভাগ, সংস্কৃত বিভাগ ও উর্দু বিভাগে কী পঠন-পাঠন হয়ে থাকে, তা বিভাগের নাম থেকে পরিষ্কার নয়। কিন্তু এগুলোর পাঠ্যসূচি পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, বাংলা বিভাগ, ইংরেজি বিভাগ, আরবি বিভাগ, সংস্কৃত বিভাগ ও উর্দু বিভাগে যথাক্রমে বাংলা সাহিত্য, ইংরেজি সাহিত্য, আরবি ভাষা ও ইসলাম ধর্ম, সংস্কৃত ভাষা ও বৈদিক ধর্ম এবং উর্দু ভাষা ও সাহিত্যের পঠন-পাঠন হয়ে থাকে।

৩.২. আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটে ভাষা ও ভাষা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে শিক্ষাব্যবস্থার চালচিত্র

আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট (আভাই) প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৭৪ সালে। তবে এর আগেই ১৯৬৭ সালে বিদেশি ভাষা বিভাগ নামে একটি বিভাগের কার্যক্রম শুরু হয়, যা আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সঙ্গে একান্নবর্তী বিভাগ হিসেবে সামজিক বিজ্ঞান অনুষদের অঙ্গীভূত ছিল। বর্তমান স্থানে নতুন শিক্ষাভবন স্থাপন করা হলে বিদেশি ভাষা বিভাগকে ১৯৭৪ সালে আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট (আভাই) নামে এই ভবনে স্থানান্তর করা হয়। আভাই-এর সংবিধি (5th Statutes of the Dhaka University, www.du.edu.bd/download/statutes/DU-6th-Statutes.pdf) অনুযায়ী এখানে আরবি, বাংলা (বিদেশিদের জন্য), বর্মি, চীনা, ইংরেজি, ফরাসি, জার্মান, হিন্দি, ইন্দোনেশিয়ান, ইতালীয়, জাপানি, মালয়, নেপালি, ফার্সি, রুশ, সিংহলি, স্পেনীয়, সোয়াহিলি, তামিল, থাই, তুর্কি এবং উর্দু ভাষার পঠন-পাঠন ও গবেষণা হওয়ার কথা। কিন্তু বর্তমানে আভাইতে ১৫টি ভাষার পঠন-পাঠন হয়ে থাকে। সাম্প্রতিকালে আভাইতে চীনা, ফরাসি ও জাপানি ভাষা ও সংস্কৃতি বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শিক্ষাক্রম চালুকরণের ফলে বিদেশি ভাষার সঙ্গে ভাষা বিজ্ঞান, সাহিত্য ও সংস্কৃতির পঠন-পাঠন শুরু হয়েছে।

৩.৩. অন্যান্য বিভাগ ও ইনস্টিটিউটে ভাষা শিক্ষার চালচিত্র

আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট (আভাই) ও কলা অনুষদ ভুক্ত বিভিন্ন বিভাগে ভাষা ও ভাষা সংশ্লিষ্ট বিষয় পঠন-পাঠনের বাইরেও বিভিন্ন অনুষদ ও ইনস্টিটিউটে সীমিত পর্যায়ে বাংলা ও ইংরেজি ভাষাসহ কয়েকটি বিদেশি ভাষার পঠন-পাঠন হয়ে থাকে। তাছাড়া ১০০ নম্বরের বাংলা ও ইংরেজি ভাষার কোর্স বিভিন্ন বিভাগের পাঠ্যক্রমের অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এছাড়া আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ, ভাষা বিজ্ঞান বিভাগ, আন্তর্জাতিক ব্যবসা অধ্যয়ন বিভাগ, ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউটে ১০০ নম্বেরর বিভিন্ন বিদেশি ভাষার কোর্স মূল পাঠ্যক্রমের অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

৪. ঢাকা বিশ্ববিদ্যলয়ের ভাষা ও ভাষা-সংশ্লিষ্ট শিক্ষাব্যবস্থা উন্নয়নে করণীয়

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা ও ভাষা-সংশ্লিষ্ট শিক্ষা কার্যক্রম সম্পর্কিত এই পর্যালোচনা থেকে একটি কথা স্পষ্ট হয়েছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা ও ভাষা-সংশ্লিষ্ট শিক্ষাব্যবস্থাটি সুষ্ঠু ও যুগোপযোগী নয়। একটি সুষ্ঠু ভাষা শিক্ষাব্যবস্থায় ভাষাগত দক্ষতা অর্জনে সহায়ক ভাষা শিক্ষা কার্যক্রম সন্নিবেশিত থাকে এবং একইসঙ্গে এই ভাষা শিক্ষা কার্যক্রমগুলো দেশজ, আন্তর্জাতিক ও ধ্রুপদী চর্চার নিয়ামক হিসেবে যুক্ত হয়। সেজন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা ও ভাষা সংশ্লিষ্ট শিক্ষা কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করতে হলে আধুনিক শাস্ত্রীয় কার্যক্রমে সহায়ক একটি কোমল অবকাঠামো নির্মাণ করা প্রয়োজন। এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, ‘ভাষা’ অভিধায় যত শিক্ষা কার্যক্রম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিচালিত হয়, তার মোটামুটি দু’টি দিক রয়েছে― ১) ভাষাগত দক্ষতার দিক এবং ২) জ্ঞানীয়/শাস্ত্রীয় দিক। কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিচালিত ভাষা ও ভাষা-সংশ্লিষ্ট শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনায় এই দু’টি দিককেই উপেক্ষা করা হয়ে থাকে। নিম্নে বিষয়টির পর্যালোচনার মাধ্যমে এ অবস্থা থেকে উত্তরণের উপায় বর্ণনা করা হবে।

৪.১. ভাষাগত দক্ষতার দিক

ভাষাগত দক্ষতা কয়েকটি ক্রমোচ্চ ধাপে বিভক্ত। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রমের অন্তর্ভুক্ত অনেকগুলো ভাষা— ইংরেজি, জার্মান ও জাপানি ইত্যাদি ভাষার দক্ষতার মান নির্ধারণে প্রমিত মানদণ্ড রয়েছে। ইংরেজি ভাষার দক্ষতা নিরূপণে সহায়ক প্রমিত মানদণ্ডের মধ্যে রয়েছে— IELTS ও ToEFL। কিন্তু আমাদের জাতীয় ভাষা বাংলা ভাষার দক্ষতার মান নিরূপক কোনো মানদণ্ড নেই। কিন্তু উচ্চ শিক্ষা কার্যক্রমটি অনুষ্ঠিত হতে শিক্ষক ও শিক্ষার্থী উভয়েরই যথেষ্ট ভাষাগত দক্ষতা প্রয়োজন। কারণ জ্ঞানের আধার হলো ভাষা। ব্যক্তিবিশেষের জ্ঞান ভাষার কাঠামোতে পরিব্যপ্ত থাকে। কাজেই, শিক্ষক নিয়োগে, শিক্ষার্থী ভর্তিতে এবং পরীক্ষা পদ্ধতিতে ভাষাগত দক্ষতার বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়া উচিত।

৪.১.১. শূন্য থেকে ভাষা শিক্ষায় ভাষাগত দক্ষতার উপযোগিতা

এর আগের অনুচ্ছেদেই বর্ণনা করা হয়েছে, বিভিন্ন অনুষদভুক্ত কতকগুলো বিভাগ ও আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটে শূন্য থেকে ভাষাগত দক্ষতা অর্জন উপযোগী শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়ে থাকে। এসব ভাষার মধ্যে রয়েছে— i) প্রতিবেশী দেশগুলোর বিদেশি ভাষা: উর্দু ও হিন্দি; এবং ii) দূর দেশগুলোর বিদেশি ভাষা: জাপানি, চীনা, জার্মান, তুর্কি, রুশ ও ফরাসি ইত্যাদি। এসব ভাষা কর্মক্ষেত্রে ব্যবহারে বা জ্ঞানার্জনের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করতে হলে ভাষাগত দক্ষতার প্রয়োজন হয়। বিদেশের কোনো প্রতিষ্ঠানই লোকবল নিয়োগে বা শিক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে ভাষাগত দক্ষতায় ছাড় দেয় না। সেজন্য তারা বাংলাদেশের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের কোনো সুযোগ দিতে উভয়েরই ভাষাগত দক্ষতাকে বিবেচনায় নিয়ে থাকে। কিন্তু আমাদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এই বিষয়টি আমলে নেওয়া হয় না। ফলে আমাদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাব্যবস্থায় উদ্দীষ্ট ভাষাগত দক্ষতা জন্মায় না।

আবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যেসব বিভাগে বিদেশি ভাষার পাঠ দেওয়া হয়, তার অধিকাংশেরই পাঠ্যক্রমে একটির বেশি-বিদেশি ভাষা কোর্স নেই। কিন্তু ভাষাগত দক্ষতার মানদণ্ডে, যেমন— Common European Framework for Reference (CEFR), যা প্রায় সব শিক্ষাবিদই অনুসরণ করে থাকেন, ভাষাগত দক্ষতার ছয়টি ধাপের কথা বলা হয়েছে। এর প্রথম ধাপটি কৃতকার্যভাবে অতিক্রম করতে ১৫০ ঘণ্টার ক্লাস ও তার দ্বিগুণ সময় স্ব-অধ্যয়নের প্রয়োজন হয়। কিন্তু এই ধাপ অতিক্রমকারীরা কেবলই অভিযোজনমূলক দক্ষতা অর্জন করতে পারে। সে অর্থে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যক্রমে শুধুমাত্র নিম্নতম ভাষাগত দক্ষতা গঠন উপযোগী কোর্স প্রবর্তন করতে হলে, ১০ ক্রেডিটের সমান কোর্স প্রবর্তন করা দরকার। কিন্তু একটি ভাষাকে মোটামুটি রপ্ত করতে হলে, প্রায় ৪০ ক্রেডিটের সমপরিমাণ কোর্স প্রদান করা প্রয়োজন। তবে ভাষা বিজ্ঞান বিভাগ, বাংলা বিভাগ, আরবি বিভাগ, ইংরেজি বিভাগ বা আভাই-এর যেসব বিভাগে ভাষা বিজ্ঞান পাঠ্যক্রমের অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, সেখানে দুয়েকটি বিদেশি ভাষা কোর্স ভাষা বিজ্ঞানে ব্যুৎপত্তি সৃজনে সহায়ক হতে পারে, তবে ভাষাগত দক্ষতা জন্মাবে না। কাজেই ওইসব বিভাগ ছাড়া অন্যান্য বিভাগ বা ইনস্টিটিউট, যেমন— ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউটে একটি কোর্সের মাধ্যমে ভাষা শিক্ষাদানের যে কার্যক্রম চালু রয়েছে, তা অর্থহীন।

এ কারণে শূন্য থেকে ভাষা শিক্ষায় ভাষাগত দক্ষতা বিষয়ক শিক্ষা কার্যক্রম সুচারুরূপে পরিচালনা করতে শিক্ষক নিয়োগে, শিক্ষার্থী ভর্তিতে এবং পরীক্ষা পদ্ধতিতে ভাষাগত দক্ষতার বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়া উচিত।

৪.১.২. দক্ষতাপুষ্ট ভাষায় ভাষাগত দক্ষতার উপযোগিতা

শিক্ষার্থীদের অনেকেই বাংলা, ইংরেজি, আরবি ও উর্দু— এই চারটি ভাষায় ভাষাগত দক্ষতা নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে থাকে। এর মধ্যে বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় দক্ষতাটি শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা লাভ করে থাকে শূন্য থেকে শুরু করে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত জাতীয় শিক্ষাকার্যক্রমে অংশগ্রহণের মাধ্যমে। কিন্তু এই ভাষা দু’টির ১০০ নম্বরের ভাষাগত দক্ষতা বিষয়ক শিক্ষা কার্যক্রম অনেক বিভাগের পাঠ্যসূচির অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। অথচ বিদ্যালয় পর্যায়ে ১২ বছর একটানা বাংলা ও ইংরেজি শেখার পর ১০০ নম্বরের বাংলা ও ইংরেজি কোর্সের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের বাংলা ও ইংরেজি দক্ষতায় কিছুই যোগ হয় না। তা সত্ত্বেও আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটে (আভাই) শূন্য থেকে শুরু হওয়া বিদেশি ভাষা শিক্ষা কার্যক্রমের জন্য পরিচালিত জুনিয়র/সিনিয়র সার্টিফিকেট কোর্সের কাঠামোটিকে ব্যবহার করে ইংরেজি ভাষা কোর্স দেওয়া হচ্ছে। তার অর্থ হলো— একজন শিক্ষার্থী নিজ বিভাগ ও আভাই— এই দুই বিভাগে ইংরেজি পড়ছে। এই ব্যবস্থাটি উচ্চ শিক্ষাব্যবস্থার মূলনীতির পরিপন্থি। এই ধরনের বাংলা ও ইংরেজি মূলত বিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষা কার্যক্রমের অংশ। কাজেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ১০০/২০০ নম্বরের বাংলা/ইংরেজি শিক্ষা কার্যক্রম ব্যয়সাপেক্ষ, একইসঙ্গে অর্থহীন।

৪.১.৩. শিক্ষার মাধ্যম হিসেবে ভাষাগত দক্ষতার উপযোগিতা

যেসব দেশে উন্নত শিক্ষাব্যবস্থা রয়েছে, সেসব দেশে ভর্তি পরীক্ষায় যেসব প্রবণতা পরীক্ষা (Aptitude Test) পরিচালনা করা হয়, তার অর্ধেকের মতো অংশ থাকে ভাষাগত দক্ষতা নিরূপক বিষয়বস্তু। বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তির ক্ষেত্রে বাংলা বা ইংরেজিতে দক্ষতা নিরূপক কোনো প্রবণতা পরীক্ষা গ্রহণ করা হয় না। একইভাবে শিক্ষক নিয়োগে প্রার্থীর ভাষাগত দক্ষতা নিয়োগের শর্ত হিসাবে আমলে নেওয়া হয় না। কিন্তু শিক্ষক নিয়োগে ও শিক্ষার্থী ভর্তিতে ভাষাগত দক্ষতা নিরূপক পরীক্ষা পদ্ধতি চালু করা প্রয়োজন। বিশেষ করে যেসব বিভাগে ইংরেজি মাধ্যমে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়, সেসব বিভাগে শিক্ষক নিয়োগ ও শিক্ষার্থী ভর্তিতে ToEFL-এর মতো কোন পরীক্ষা পদ্ধতির প্রবর্তন করা প্রয়োজন। তা না হলে শিক্ষা কার্যক্রম সুচারুরূপে পরিচালিত হবে না। জ্ঞানচর্চা ব্যহত হবে। বাস্তবে এখন তাই হচ্ছে।

৪.২. জ্ঞানীয়/শাস্ত্রীয় দিক

ভাষা সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও ভাষা বহির্ভূত বিভাগ— এই দুই ধরনের বিভাগেই কোনো একটি ভাষার মাধ্যমে একটি জ্ঞানীয় বা শাস্ত্রীয় বিষয় পড়ানো হয়। কাজেই শিক্ষক ও শিক্ষার্থী— উভয়েরই নিশ্চিত ভাষাগত দক্ষতা থাকলে শিক্ষাব্যবস্থায় জ্ঞানীয়/শাস্ত্রীয় কার্যক্রম সুচারুরূপে পরিচালিত হয়। কিন্তু প্রয়োজনীয় ভাষাগত দক্ষতা না থাকলে জ্ঞানীয়/শাস্ত্রীয় কার্যক্রম ব্যহত হয়। কিন্তু ভাষা সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোতে শিক্ষক ও শিক্ষার্থী— এই উভয়েরই উচ্চ পর্যায়ের ভাষাগত দক্ষতা না থাকায় এসব বিভাগের শিক্ষার মান নিয়ে উদ্বেগের কারণ রয়েছে। কিন্তু বাস্তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ভাষা সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ভাষাগত দক্ষতার মান কেমন, তা স্পষ্ট নয়। এর কারণ শিক্ষক নিয়োগ ও শিক্ষার্থী মূল্যায়নে ভাষাগত দক্ষতা পরিমাপক প্রমিত মানদণ্ড ব্যবহার না করা। এসব বিভাগে জ্ঞানীয়/শাস্ত্রীয় কার্যক্রমের বিষয়টিও অস্পষ্ট। কিন্তু একটি ভাষা সংশ্লিষ্ট বিভাগে জ্ঞানীয়/শাস্ত্রীয় শিক্ষা কার্যক্রমের পরিধি নির্ধারণ করা প্রয়োজন। এ বিষয়টি স্পষ্ট করতে একটি ছক ব্যবহার করা হলো—

ছকটিতে ভাষা-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিভাগে জ্ঞান/শাস্ত্র চর্চার পরিধি সম্পর্কিত একটি অসম্পূর্ণ চিত্র প্রতিভাত হয়েছে। বিভিন্ন বিভাগে কী কী বিষয়ে জ্ঞান/শাস্ত্র চর্চা হয়ে থাকে, তার পূর্ণাঙ্গ চিত্র তৈরি করতে হলে একটি জরিপের প্রয়োজন হবে।

এ ছকটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়স্থ ভাষা ও ভাষা-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিভাগের জ্ঞান/শাস্ত্র চর্চার চালচিত্র সম্পর্কে একটি সম্যক ধারণা নেওয়ার জন্য তৈরি করা হয়েছে। এখানে প্রদর্শিত ভাষা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিভাগের জ্ঞান/শাস্ত্র চর্চার চালচিত্র থেকে প্রতীয়মান হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোতে সামগ্রিকভাবে যুগোপযোগী জ্ঞান/শাস্ত্র চর্চা সহায়ক কোমল অবকাঠামোর অনুপস্থিতি রয়েছে বলে জানান দেয়। কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাষা-সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোতে জ্ঞান/শাস্ত্র চর্চার বিষয়বস্তু হিসাবে নিচের বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত করা প্রয়োজন।

৪.২.১. বাঙালি সভ্যতা ও সংস্কৃতি শাস্ত্র

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাঙালি জাতির সভ্যতা ও সংস্কৃতি সম্পর্কে পঠন-পাঠনের সুযোগ তৈরি করা প্রয়োজন। এ বিষয়ে চারুকলা অনুষদ, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ ও কলা অনুষদের কয়েকটি বিভাগে পঠন-পাঠন হয়ে থাকে। কিন্তু বঙ্গবিদ্যা বিষয়ক জ্ঞান/শাস্ত্র চর্চার বিষয়টি এই বিভাগগুলোতে সার্বিকভাবে পঠন-পাঠন হয় না। তবে, বর্তমান বাংলা বিভাগে এর কিছুটা পঠন-পাঠন হয়ে থাকে। কিন্তু বিভাগের নাম ‘বাংলা’ থাকায় এ বিভাগের জ্ঞান/শাস্ত্র চর্চার বিষয়টি উহ্য থাকে। কিন্তু এই বিভাগে বঙ্গবিদ্যার পঠন-পাঠনের সুযোগ তৈরি করা যেতে পারে এবং সে অনুসারে বিভাগের নামও পরিবর্তন করা যেতে পারে।

৪.২.২. ধ্রুপদী শাস্ত্র

বাঙালি জাতির একটি হিরন্ময় অতীত রয়েছে। এই অতীত হলো বাঙালি জাতির সভ্যতা ও ঐতিহ্য। বাঙালি জাতির বর্তমান ও ভবিষ্যৎ নির্মাণে অতীতকে জানা প্রয়োজন। অতীতকে জানা মানে হলো ধ্রুপদী চর্চা প্রবৃত্ত হওয়া। কিন্তু বাঙালি জাতির সভ্যতা ও ঐতিহ্যের প্রায় সবকিছুই লিখিত হয়েছে সংস্কৃত, পালি, ফার্সি ও তিব্বতি ভাষায়। তাই সংস্কৃত, পালি, ফার্সি ও তিব্বতি ইত্যাদি ধ্রুপদী ভাষা বিভাগকে কেন্দ্র করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ধ্রুপদী শাস্ত্র চর্চার অবকাঠামোকে এমনভাবে গড়ে তোলা প্রয়োজন, যেন দেশে ধ্রুপদী চর্চার একটি আবহ তৈরি হয়। মনে রাখতে হবে, বাঙালি জাতি পালি ভাষার উত্তরাধিকারপ্রাপ্ত জাতি। কাজেই এই ভাষাকে রক্ষা করার দায়িত্ব বাংলাদেশের ওপর বর্তায়।

৪.২.৩. বিদেশবিদ্যা বা আঞ্চলিকবিদ্যা চর্চা

বিশ্বায়নের যুগে বিশ্বায়নের সুবিধা নিতে বাংলাদেশে আঞ্চলিক বিদ্যা/বিদেশ বিদ্যা বিষয়ে জ্ঞানসম্পন্ন চিন্তকবর্গ (Thinktank) গড়ে তোলা প্রয়োজন। সেজন্য বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্তর্ভুক্ত ভাষা সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোতে আঞ্চলিক বিদ্যা/বিদেশ বিদ্যা বিষয় জ্ঞানচর্চা সহায়ক অবকাঠামো গড়ে তোলা প্রয়োজন। সেটি করার জন্য আরবি, উর্দু, ফার্সি বিভাগ এবং আভাই-তে এ বিষয়ে জ্ঞান চর্চার সুযোগ তৈরি করা যেতে পারে। তাছাড়া জাপানের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ইংরেজি বিভাগগুলোতে জ্ঞানচর্চার রেওয়াজকে উদাহরণ হিসেবে নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ইংরেজি বিভাগটির কোমল অবকাঠামো ঢেলে সাজানো যেতে পারে। জাপানের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যেসব দেশের রাষ্ট্রভাষা ও দাফতারিক ভাষা ইংরেজি, সেসব দেশকেন্দ্রিক (যেমন— কেনিয়া ও নিউজিল্যান্ড) আঞ্চলিক বিদ্যা/বিদেশ বিদ্যা সম্পর্কিত বিষয়ের পঠন-পাঠন হয়ে থাকে। জাপানের এই উদাহরণকে সামনে রেখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগকে কেন্দ্র করে এশিয়া ও আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ বিষয়ক জ্ঞানচর্চার কোমল অবকাঠামো গড়ে তোলা যেতে পারে।

৪.২.৪. ভাষা শিক্ষাদান পদ্ধতি বিষয়ক চর্চা

বিদ্যালয় পর্যায়ে যেসব ভাষার পঠন-পাঠন হয়ে থাকে, সেসব ভাষায় শিক্ষাদানে দক্ষ শিক্ষক তৈরির জন্য ভাষা শিক্ষাদান পদ্ধতি সম্পর্কিত ফলিত বিদ্যা চর্চার অবকাঠামো প্রয়োজন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এই ইংরেজি শিক্ষাদান পদ্ধতি বিষয়ক পঠন-পাঠন হয়ে থাকে আভাই-তে ও ইংরেজি বিভাগে। আভাই-তে TESOL (নিয়মিত) ও ELT (অনিয়মিত) নামের দু’টি ভিন্ন প্রোগ্রাম চালু রয়েছে, যেখানে ইংরেজি ভাষা শিক্ষাদান সম্পর্কিত বিষয়ে পঠন-পাঠন হয়ে থাকে। অথচ আমাদের দেশে বিদ্যালয় পর্যায়ের পাঠ্যসূচিতে বাংলা, আরবি, ইংরেজি, সংস্কৃত ও পালি ভাষা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। তাছাড়া কিছু মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে ফরাসি, জাপানি, চীনা ও মালয় ইত্যাদি বিদেশি ভাষার শিক্ষা কার্যক্রম চালু রয়েছে। সেজন্য এসব বিদেশি ভাষার প্রতিটির জন্যই ভাষা শিক্ষাদান বিষয়ক ফলিত জ্ঞানচর্চার প্রয়োজনীতা রয়েছে। কিন্তু বাস্তবে ইংরেজি ছাড়া অন্য কোনো ভাষার শিক্ষাদান পদ্ধতি সম্পর্কিত জ্ঞানচর্চার সুযোগ নেই। কাজেই জাতীয় চাহিদার কথা বিবেচনা করে বাংলা, আরবি, ইংরেজি, সংস্কৃত ও পালি ভাষায় এবং ফরাসি, জাপানি, চীনা ও মালয় ইত্যাদি বিদেশি ভাষায় শিক্ষাদান বিষয়ক জ্ঞানচর্চার কোমল অবকাঠামো গড়ে তোলা প্রয়োজন। এই শিক্ষাদান বিষয়ক শিক্ষা কার্যক্রমের উপযুক্ত স্থান হতে পারে শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট।

৫. উপসংহার

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শতবর্ষে পদার্পণ করেছে। এই শতবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাষা ও ভাষা-সংশ্লিষ্ট শিক্ষা কার্যক্রমের বিস্তৃতি ঘটেছে বটে, কিন্তু এই বিস্তৃতিতে যে ভাষার স্বরূপ সম্পর্কে অজ্ঞতার ছাপ রয়েছে। এই অজ্ঞতাটির সূত্রপাত হয়েছে ‘ভাষা হলো সংজ্ঞাপনের মাধ্যম’ শীর্ষক ধারণাকে পুঁজি করে। কিন্তু আদতে ভাষা কেবলমাত্র সংজ্ঞাপনের মাধ্যম নয়। বরং ভাষা হলো একটি সংযুতিপ্রসূত সংজ্ঞাপনের মাধ্যম, যা প্রেক্ষাপটভেদে নানারকম প্রভাবক হিসেবে অবতীর্ণ হয়। বরং জাতীয়তাবাদী দৃষ্টিকোণ থেকে ভাষা হলো― ক) বৃহত্তর জাতীয় সমাজে আত্তীকরণের মাধ্যম, খ) সামাজিকীকরণের মাধ্যম, গ) জাতীয়তাবাদের প্রতীক, ঘ) সভ্যতার বাহন, ঙ) সামাজিক সম্পদ ও চ) সাংস্কৃতিক সম্পদের নিয়ামক। অন্যদিকে সাম্রাজ্যবাদী দৃষ্টিকোণ থেকে ভাষা হলো― ক) ভাষিক সাম্রাজ্যবাদের হাতিয়ার, খ) অন্যের সংস্কৃতিকে কলুষিত করার হাতিয়ার এবং গ) অন্য দেশের শিক্ষাব্যবস্থা ও অর্থনীতিকে পরাধীন করার হাতিয়ার বিশেষ। ভাষার এই বহুমুখী উপযোগিতাকে বিবেচনায় নিয়ে ভাষা ও ভাষা সংশ্লিষ্ট বিদ্যা সম্পর্কিত জ্ঞানচর্চার অবকাঠামো উন্নয়ন করা প্রয়োজন। সে অনুযায়ী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদ্যমান ভাষা ও ভাষা সংশ্লিষ্ট বিভাগ/ইনস্টিটিউটগুলোর শিক্ষা-প্রশাসনের পুনর্গঠন করা প্রয়োজন।

লেখক: অধ্যাপক, জাপানি ভাষা সংস্কৃতি বিভাগ; পরিচালক, আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়; ভূতপূর্ব গবেষণা ফেলো, জাপান রাষ্ট্রভাষা ইনস্টিটিউট; ভূতপূর্ব অভ্যাগত শিক্ষক, টোকিও বিদেশবিদ্যা বিশ্ববিদ্যালয়

সারাবাংলা/টিআর

টপ নিউজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভাষা চর্চা শতবর্ষ

বিজ্ঞাপন

রিশাদ-জাহানদাদে কুপোকাত সিলেট
৭ জানুয়ারি ২০২৫ ২০:২১

আরো

সম্পর্কিত খবর