Sunday 29 Dec 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

`জনগণের সমর্থন পেয়েই যুদ্ধ চালাতে পেরেছি’


৭ ডিসেম্বর ২০১৭ ২১:০৯ | আপডেট: ১৭ মার্চ ২০১৮ ১৫:৩০

জাকিয়া আহমেদ, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

‘স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রতিটি মুহূর্তে প্রতিটি স্থানে সাধারণ মানুষের অকুণ্ঠ সমর্থন পেয়েছি। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে এসব অতিসাধারণ মানুষের অসাধারণ সহযোগিতা না পেলে আমাদের পক্ষে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া কঠিন হতো। আর তাই তো এখনো সেসব মানুষের কথা মনে হয়। চোখ বুজলে মনে পড়ে, কত মানুষ তখন কতভাবে সাহায্য করেছেন। সেসব মানুষের সাহায্যের কোনো অর্থনৈতিক মাপ নেই, নেই কোনো বৈষয়িক মানদণ্ড।’

বিজ্ঞাপন

বিজয়ের ৪৬তম বর্ষে গুলশান নিজ বাসায় বসে যুদ্ধদিনের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে সারাবাংলা-কে এসব কথা বলছিলেন মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম

‘১৯৭১ সালের মার্চের ৩-৪ তারিখ থেকেই মানসিকভাবে তৈরি হতে থাকি। মন বলছিল কিছু একটা করতে হবে। তাই যারা বাঙালি ছিলেন তাদেরকে গোপনে উদ্বুদ্ধ করতে লাগলাম। সেদিন ছিল ২৫ মার্চ-বৃহস্পতিবার। খুব ভোরে অফিসে গেলাম, সেখানে পৌঁছে দেখি পাকিস্তানি একজন অফিসার বসে আছে। বুঝতে পারছিলাম, তিনি আমাকে অনুসরণ করছেন। কিন্ত ইতোমধ্যেই কিছু গুজব ছড়িয়ে পড়ে। সেদিন সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম ইপিআর থেকে ওয়্যারলেসে পিলখানায় যোগাযোগ করতে পারলাম না। আমার সন্দেহ আরও দানা বাঁধে। বাসায় চলে এলেও অফিসে ফোন করে সবাইক প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিই, আর বাসায় অস্থিরভাবে পায়চারী করি। রাতে শুনলাম, প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া গোপনে ঢাকা ছেড়েছেন। ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট থেকে পাকিস্তানি সেনারা ট্যাংক নিয়ে বেরিয়েছে।’

একাত্তরের অকুতভয় বীর রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘প্রতিজ্ঞা ছিল, স্বাধীনতা অর্জন করতেই হবে। এ জন্য যেকোনো ঝুঁকি নেওয়ার প্রয়োজন হলেও আমি সেটা নেব। এতে যদি মৃত্যু হয়, তা-ও ভালো— কিন্ত আমাকে চেষ্টা চালাতে হবে। ঝুঁকি না নিলে আমাদের বাঁচার সম্ভাবনা কম। সিদ্ধান্ত নিলাম আমার বাহিনী নিয়ে যুদ্ধ করব এবং করলাম।’

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘যারা স্বাধীন বাংলাদেশের বিরোধিতা করেছে, তাদেরকে কখনোই মুক্তিযোদ্ধা বা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের মানুষ গ্রহণ করতে পারবেন না।’

 

মেজর রফিকুল ইসলাম যুদ্ধ করেছেন এক নম্বর সেক্টরের কমান্ডার হিসেবে। তখন তার পদমর্যাদা ছিল ক্যাপ্টেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তিনি মেজর পদে উন্নীত হন। ১৯৭১ সালের ১৭ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন। স্বাধীনতা যুদ্ধে তাঁর সাহসিকতার জন্য বাংলাদেশ সরকার তাঁকে ‘বীর উত্তম’ খেতাব প্রদান করে।

রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা স্বাধীন বাংলাদেশ চেয়েছিলাম, স্বাধীন বাংলাদেশ পেয়েছি। এই স্বাধীনতাকে দাঁড়িপাল্লা দিয়ে মাপা যাবে না। এই স্বাধীনতার কোনো অর্থনৈতিক মাপ নেই, কোনো বৈষয়িক মানদণ্ড দিয়ে একে মাপা যাবে না। স্বাধীনতা অমূল্য— এর একটি মাত্র মাপ, সেটি হলো আমার দেশ স্বাধীন, আমি এই স্বাধীন দেশের একজন স্বাধীন নাগরিক।’

যুদ্ধের সময়ে যারা সশস্ত্র যুদ্ধ করেছেন তারা তো ছিলেন সম্মুখভাগে। কিন্ত দেশের আপামর সাধারণ মানুষের ভুমিকাও সেখানে কোনো অংশে কম অবদান রাখেনি। তাই তো প্রতিটি পদে স্মৃতির জানালায় এসে ভর করে সেসব ‘গোল্ডেন মেমোরিজ’।

সারাবাংলাকে তিনি বলেন, ‘যুদ্ধের পুরোটা সময় অসংখ্য টুকরো টুকরো ঘটনা জড়িয়ে রয়েছে। কোনটা ছেড়ে কোনটা বলব’- বলে কিছুটা নীরর হয়ে যান মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম। যেন ফিরে গেলেন সেই যুদ্ধের সময়ে। চোখ বুজে কিছুটা দেখে নিতে চাইলেন হয়তো! তারপর বলেন, যুদ্ধের শুরুর দিকে করের হাটে যুদ্ধ চলছে। সেটা এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে, মাগরিবের নামাজের একটু আগে। পাকিস্তানিরা আমাদের ওপর প্রচ- আক্রমণ চালিয়েছে। আমরাও আমাদের সামর্থ্য নিয়ে সে আক্রমণ প্রতিহত করাছি। আমাদের লক্ষ্য ছিল, নিজেদের অবস্থান ধরে রাখা এবং আমাদের হতাহত যেন কম হয় কিংবা না হয়।’

যুদ্ধের সময় সাধারণ মানুষের অকুণ্ঠ সহযোগিতার কথা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করে মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম জানালেন কীভাবে গ্রামের সাধারণ নারীরা তাদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। তাঁর ভাষায়, “এলাকাটা ছিল কিছুটা পাহাড়ি। চার দিকে উঁচু নিচু। মাঝে শুকনো খাল। এ রকম কয়েকটা খালের পর টিলা এলাকায় ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় মানুষের বসতি, রয়েছে ফসলী ক্ষেত। পাকিস্তানিরা কামান দিয়ে শেলিং করছে। এরইমাঝে পাকিস্তানের ছোড়া শেল গিয়ে পড়ল একটি বাড়িতে। দূর থেকেই দেখা যাচ্ছে, একটা শেলের আঘাতে একটি ঘর পুড়ে গেল, ধোঁয়া উড়ছে, কয়েকজন নারীকে দেখা গেল ছোটাছুটি করছে। শেল ছোড়া অবস্থাতে যাতায়াত করা বিপদজনক জেনেও আমিসহ আরও কয়েকজন যোদ্ধা একটি খালের ভেতর দিয়ে কোনো মতে ওদের কাছে পর্যন্ত গেলাম। দু-তিনজন নারী বুঝতে পারছে না কী করবে, তারা বিধ্বস্ত। আর বাড়ির উঠোনে ১২ থেকে ১৩ বছরের এক কিশোরীর দেহ। শেলের আঘাতে ছিন্নভিন্ন দেহ-রক্তে ভেসে যাচ্ছে সে জায়গাটা। নারীদের একজনকে বললাম, ‘মা তোমরা দৌড়াচ্ছ কেন? পাশের খালে গিয়ে শুয়ে পড়ো, নয়তো এখানে শেল পড়লে বাঁচতে পারবা না।’”

“আমাকে তারা জিজ্ঞেস করল তোমরা কারা? আমি তাদের বলি, ‘আমরা মুক্তিযোদ্ধা, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের জন্য আমরা যুদ্ধ করছি।’ তখন তিনি আকাশের দিকে তাকিয়ে প্রাথনা করলেন, ‘হে আল্লাহ, আমার মেয়েটাকে নিয়ে গেছ। এখন আর আমার দুঃখ নাই। কিছু করারও নাই। কিন্তু এই যে আমার দেশের ছেলেরা, মুুক্তিযোদ্ধারা— এ দেশকে স্বাধীন করার জন্য যুদ্ধ করছে- এরা যেন বিজয়ী হয়।”

মেজর রফিকুল ইসলাম বলেন, “এই যে অতি সাধারণ, গ্রামের নারীরা যারা পৃথিবীর কিছুই জানে না তারও মনের একটা আকুতি, মন থেকে বেরিয়ে আসা প্রার্থনা— ‘আমার সন্তান চলে গেছে তাকে আর পাব না। কিন্তু এই যে মুক্তিযোদ্ধারা যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করছে তারা যেন বিজয়ী হয়।’ আমি মনে করি, তখন বাংলাদেশের সাড়ে সাত কোটি মানুষের প্রায় সবাই সর্বক্ষণ একই প্রার্থনা করেছে সৃষ্টিকর্তার কাছে— যেন মুক্তিযোদ্ধারা বিজয়ী হয়। এই জনগণের সমর্থন পেয়েই আমরা মুক্তিযুদ্ধ চালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছি। কারণ, মুক্তিযুদ্ধ হলো জনগণের যুদ্ধ। জনগণকে বাদ দিয়ে পৃথিবীর অতীত ইতিহাসে কোনো মুক্তিযুদ্ধ হয়নি। এখনো কোথাও জনগণকে বাদ দিয়ে মুক্তিযুদ্ধ হচ্ছে না এবং ভবিষ্যতেও হবে না।”

যুদ্ধের পরতে পরতে এমন অসংখ্য ঘটনা রয়েছে জানিয়ে আবার চুপ হয়ে যান এই বীর উত্তম। চোখ থেকে চশমা খুলে কিছুটা সময় নেন। যেন তিনি ফিরে গেছেন সেই শেলের আঘাতে বিধ্বস্ত হওয়া বাড়িতে। যেন চোখের সামনে রয়েছে সেই ক্ষতবিক্ষত কিশোরীর দেহ! জমে থাকা রক্তের ছাপ!

তাকে সময় দিয়ে আমরাও চুপ থাকি। এক সময় নীরবতা ভেঙ্গে তিনি যেন অতল গহ্বর থেকে বেরিয়ে এলেন। হাতে থাকা চশমা আবার তুলে নেন চোখে। তিনি বলেন, ‘অনেক সাহসীকতার সঙ্গে যোদ্ধারা করেছে। কিন্তু অতি সাধারণ মানুষের যে আকুতি দেশকে স্বাধীন করার জন্য, মুক্ত করার জন্য— সেগুলো তাদের কর্মকাণ্ডেই প্রমাণিত।’

কিছুটা সময় চুপ থেকে তিনি বলেন, ‘৩ ডিসেম্বর পশ্চিমাঞ্চলে ভারত পাকিস্তান যুদ্ধ শুরু হয়েছে। এদিকে, বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধা ও সৈন্য এবং ভারতের সৈন্যদের সম্মিলিত যৌথ বাহিনী বাংলাদেশ মুক্ত করছে। আমি চট্টগ্রাম সেক্টর কমান্ডার হিসেবে চট্টগ্রামের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। মাঝে কিছু যুদ্ধ হয়েছে কুমিল্লায়। সেখান থেকে চট্টগ্রাম ১২ মাইলের মতো দূরে, যেখানে পাহাড়ি এলাকার সুবিধা নিয়ে পাকিস্তানিরা একটা শক্ত অবস্থান নিয়েছিল। কিন্ত সেখানেও আমরা খুব শক্ত আক্রমণ চালাই। সেখানে ভারতীয় সেনাবাহিনীর বেশকিছু সৈন্য হতাহত হয়। আমাদেরও কয়েকজন শহীদ হন।’

‘১৩ ডিসেম্বর মধ্যরাতের পর অর্থাৎ ১৪ ডিসেম্বর প্রত্যুষে আমরা কুমিল্লা মুক্ত করি। এরপর এগোতে থাকি চট্টগ্রামের দিকে। কারণ যত দ্রুত সম্ভব চট্টগ্রাম মুক্ত করতে হবে। এদিকে, ভারতীয় বাহিনীর মূল লক্ষ্যই হচ্ছে ঢাকা মুক্ত করা এবং একইসঙ্গে চট্টগ্রাম মুক্ত করা। কারণ, আমেরিকান সপ্তম নৌবহর তখন বঙ্গোপসাগরের কাছাকাছি চলে এসেছে। তারা যদি চট্টগ্রামের কোথাও অবস্থান নিতে পারে, তাহলে আমাদের জন্য যুদ্ধ আরও কঠিন হবে, খুবই দীর্ঘস্থায়ী হবে। তাই যত দ্রুত সম্ভব এগিয়ে যেতে হবে ভাটিয়ারির দিকে, তারপর চট্টগ্রাম শহরে।’

‘আমাদের যাতায়াতে পথে একটি ব্রিজ ছিল— যেটা পাকিস্তানিরা ধ্বংস করে অপর প্রান্তে অর্থাৎ চট্টগ্রাম প্রান্তে অবস্থান নেয়। আমরা এগিয়ে চললাম, খালটা হেটেই পার হলাম। কিন্তু সঙ্গে থাকা যানবাহন যদি পার করতে না পারি কিংবা ইন্ডিয়াান ট্যাংক যদি ক্রস করতে না পারি তাহলে সামনে যুদ্ধে আমার অসুবিধা হবে। তখন খালে পাথর ফেলে ফেলে যানবাহনগুলো পারাপারের ব্যবস্থা করতে লাগলাম। কিন্তু তাতে সময় যাচ্ছে অনেক।’

“এরমধ্যেই আশ-পাশের গ্রাম থেকে প্রায় এক থেকে দেড় হাজার নারী ছুটে এল। তারা আমাদের বললেন, ‘বাবারা, এই কাজটা আমাদের ওপর ছেড়ে দাও, আর তোমরা দ্রুত শহরে চলে যাও। আমরা এই খালটা পাশের পাহাড় থেকে পাথর এনে ভর্তি করে দিচ্ছি। তাতেও যদি বিলম্ব হয় তাহলে আমরা সবাই এখানে শুয়ে পড়ব, আমাদের ওপর দিয়ে তোমাদের গাড়ি চালিয়ে নাও। কিন্ত তোমরা থেমে থাকতে পারবা না। তোমরা যতই বিলম্ব করবা, ততই চট্টগ্রাম শহরে আমাদের অসংখ্য মা-বোন-শিশুদের হত্যা করবে।’ এই যে মানুষের ভেতরে আবেগ— দেশটাকে শত্রুমুক্ত করার জন্য, স্বাধীন করার জন্য। এটা না হলে মুক্তিযুদ্ধে আমাদের বিজয় সম্ভব হতো না। জনগণ আমাদের সঙ্গে ছিল বলেই, জনগণ এবং আমাদের সম্মিলিত শক্তির সামনে পাকিস্তানিরা পরাজিত হয়েছে। অর্থাৎ, আমরা জনগণের সমর্থন পেয়েই যুদ্ধ চালাতে পেরেছি। জনগণকে বাদ দিলে বিজয় অর্জন করা সম্ভব হতো না। এমন আর অসংখ্য ঘটনা রয়েছে। অতি সাধারণ মানুষের অসাধারণ সমর্থন— মুক্তিযুদ্ধকে গতিশীল করেছে। মুক্তিযোদ্ধারকে প্রেরণা যুগিয়েছে। উজ্জীবিত করেছে। সাহস দিয়েছে। উদ্যম দিয়েছে।”

মুক্তিযুদ্ধের গল্পের পাশাপাশি উঠে এল স্বাধীনতাবিরোধীদের কথাও। তিনি বলেন, “মুক্তিযুদ্ধের সময়ে মুষ্টিমেয় কিছু মানুষ বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল। পরবর্তী সময়ে স্বাধীন বাংলাদেশে তাদের গাড়িতে বাংলাদেশের পতাকা উড়েছে- এটা খুবই দুঃখজনক।’

রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘যারা এই দেশের স্বাধীনতাবিরোধিতা করেছিল, যুদ্ধাপরাধ করেছিল তাদের কিছু নেতার শাস্তি হয়েছে, তাদের দলের নিবন্ধন বাতিল হয়েছে। কিন্ত যারা এই দেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে নাই, তাদেরকে স্বাধীনতায় বিশ্বাস করাতে পারব না। কারণ, ‘আইডিয়া হ্যাজ টুবি কাউন্টার্ড বাই অ্যান আইডিয়া’ ।”

‘যারা স্বাধীনতার বিরুদ্ধে রাজনীতি করে, আমাদের যে রাজনীতির চেতনা এটা যখন আমরা জনগণের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে পারব, তখন এই স্বাধীনতাবিরোধী দলগুলোর আর কোথাও স্থান হবে না। ধীরে ধীরে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে, বিলীন হয়ে যাবে। তারা যে আইডিয়া নিয়ে কাজ করে, সেটার যেন আর প্রসার না হয়ে- সেদিকে আমাদের নজর রাখত হবে। এটা অস্ত্র দিয়ে নয়, কারণ ‘আইডিয়া হ্যাজ টুবি মেট বাই অ্যান আইডিয়া’। আর তাদের দর্শনটাই তো বাংলাদেশের বিরুদ্ধে, যেহেতু তারা মুক্ত স্বাধীন বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কাজেই তাদেরকে আমরা কখনোই গ্রহণ করতে পারব না।

মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘যুদ্ধাপরাধী মানে শুধু এই নয় যে, তারা স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না; তারা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কাজ করেছে- এটাই মূল কথা।’

একটু থেমে মেজর রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের সময়ে চেয়েছি, যেকোনো মূল্যে পাকিস্তানি সেনাদের পরাজিত করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা— এটাই ছিল একমাত্র লক্ষ্য। কোনো মায়ের সামনে সন্তানকে হত্যা যেন করতে না পারে, নারী নির্যাতন না করতে পারে, বাড়িঘর জ্বালিয়ে দিতে না পারে। সেই কাঙ্ক্ষিত ও রক্তস্নাত প্রিয় বাংলাদেশ বাংলাদেশকে এগিয়ে নেওয়ায় আমাদের বাকি জীবনের কাজ।’

সারাবাংলা/জেএ/আইজেকে

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর