খাদ্য নিরাপত্তায় সংকটের কারণ সাম্প্রতিক বন্যা
২৫ নভেম্বর ২০২৪ ১৩:০২ | আপডেট: ২৭ নভেম্বর ২০২৪ ১৩:০৫
সাম্প্রতিক বন্যায় দেশের ১০ জেলার কৃষি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমাদের কৃষিটা এখন এক সিজনের পর আরেক সিজনে চলছে। ফলে এখানকার মাটি উর্বরতা হারাচ্ছে। মাটির স্বাস্থ্য খারাপ হলে যত জীব আছে সবার স্বাস্থ্য খারাপ হবে। বিদ্যমান প্রযুক্তিগুলোও ভালোভাবে কাজ করছে না। ভূমি যে হারে কমছে তারও সঠিক কোনও পরিসংখ্যান নেই। জোর করে পরিসংখ্যানকে কমিয়ে রাখা হয়েছে। এসব করে আমাদের ক্ষতি করা হয়েছে। বাজারে যখন ঘাটতি পড়ে যাবে, তখন আর কিছু করার থাকবে না।
বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) থেকে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, দেশে চাল উদ্বৃত্ত থাকা জেলাগুলোর শীর্ষে রয়েছে দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, লালমনিরহাট, ঝিনাইদহ, জয়পুরহাট, শেরপুর, নওগাঁ, বগুঁড়া, নেত্রকোনা, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ ও ভোলা। এসব জেলায় ৮০ থেকে ১৮৩ শতাংশ পর্যন্ত চাল উদ্বৃত্ত থাকে। কুড়িগ্রাম, জামালপুর, নীলফামারী, রংপুর, মাগুরা, যশোর, নড়াইল, গোপালগঞ্জ ও পটুয়াখালী জেলায় ৫১ থেকে ৭৭ শতাংশ চাল উদ্বৃত্ত থাকে। গাইবান্ধা, নাটোর, টাঙ্গাইল, মৌলভীবাজার, ময়মনসিংহ, মেহেরপুর, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট ও চুয়াডাঙ্গা জেলায় ২২ থেকে ৪৮ শতাংশ চাল উদ্বৃত্ত থাকে। রাজশাহী, সিরাজগঞ্জ, কুষ্টিয়া, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, নোয়াখালী ও বান্দরবান জেলায় ১ থেকে ১৮ শতাংশ পর্যন্ত চাল উদ্বৃত্ত থাকে। অর্থাৎ এ জেলাগুলোয় খাদ্যশস্যের ঘাটতি নেই। চালের ঘাটতিতে থাকা জেলাগুলোর শীর্ষে রয়েছে ঢাকা, চট্টগ্রাম, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ ও রাঙ্গামাটি। এ জেলাগুলোয় ৪৬ থেকে ৯১ শতাংশ পর্যন্ত চালের ঘাটতি রয়েছে। আর মানিকগঞ্জ, নরসিংদী, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, শরীয়তপুর, চাঁদপুর ও মাদারীপুরে রয়েছে ১৯-৪০ শতাংশ চালের ঘাটতি। দেশের খাদ্য উদ্বৃত্ত অঞ্চলগুলোর একটি ময়মনসিংহ। বাংলাদেশের মোট খাদ্য চাহিদার অন্তত ১০ শতাংশ এখান থেকেই পূরণ করা হয়। ময়মনসিংহের পাশাপাশি জামালপুর, শেরপুর ও নেত্রকোনা—এ চার জেলায় ২০২৩-২৪ অর্থবছরে খাদ্য উৎপাদন হয়েছিল ৪৪ লাখ ৮৮ হাজার ৯৫০ টন। বিপরীতে এ অঞ্চলে চাহিদা ছিল মাত্র ১৮ লাখ ৭ হাজার ২৩৩ টন। বাকি প্রায় ২৬ লাখ ৮১ হাজার ৭১৭ টন উদ্বৃত্ত খাদ্যে পূরণ করা হয় রাজধানীসহ আশপাশের জেলাগুলোর চাহিদা।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) বোরো উৎপাদনের তথ্যে দেখা গেছে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে বোরো মৌসুমে দুই কোটি সাত লাখ টন ধান উৎপাদিত হয়েছে। এটি এর আগের অর্থবছরের তুলনায় তিন শতাংশ বেশি। ২০২২-২৩ অর্থবছরে দেশে মোট চাল উৎপাদন দুই দশমিক পাঁচ শতাংশ বেড়ে তিন কোটি ৯১ লাখ টনে দাঁড়িয়েছে। এটি সর্বোচ্চ রেকর্ড। ২০১৭-১৮ অর্থবছর থেকে ফসল উৎপাদন সামগ্রিকভাবে বেড়েছে। ধানি জমির পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি আধুনিক জাতের ফসল ফলানোয় চাল আমদানি কমেছে। বিবিএসের তথ্যে দেখা গেছে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে দেশের মোট ধানি জমির ৮১ শতাংশে উচ্চ ফলনশীল ধান চাষ হচ্ছে। ২০০৯-১০ অর্থবছরে তা ছিল ৭৩ শতাংশ। অন্যদিকে, উচ্চ ফলনশীল ও স্থানীয় জাতের তুলনায় বেশি ফলন দেওয়া হাইব্রিড ধানের চাষ ২০০৯-১০ অর্থবছরের ছয় শতাংশ থেকে বেড়ে ২০২২-২৩ অর্থবছরে ১০ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে, স্থানীয় জাতের ধান চাষ অর্ধেক কমেছে। তবে সাম্প্রতিক বন্যায় এ অঞ্চলের লক্ষাধিক হেক্টর জমির আমন ধান নষ্ট হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে অন্যান্য ফসলেরও। দেশের পূর্বাঞ্চলে তিন দশকের সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যায়ও আমনসহ ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। খাদ্য উদ্বৃত্ত জেলায় সাম্প্রতিক এ বন্যার কারণে ফসল উৎপাদনে ঘাটতি দেখা দিলে তা সার্বিক খাদ্যনিরাপত্তায় প্রভাব ফেলবে বলে আশঙ্কা কৃষি বিশেষজ্ঞদের।
দেশে উৎপাদিত মোট চালের কম-বেশি ৪০ শতাংশ চালই আসে আমন থেকে। বোরো মৌসুম থেকে সবচেয়ে বেশি, ৫৫ শতাংশ চাল উৎপন্ন হয়। বাকিটুকু আসে আউশ থেকে। এবার বন্যার কারণে আমনের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। অনেক জমিতে পানি উঠে যাওয়ায় ধানের শীষ বের হচ্ছে দেরি করে। এতে ধান উৎপাদনে সময় লাগছে বেশি। এর প্রভাবে বোরো ধান রোপণের সময়ও পিছিয়ে যেতে পারে। বন্যায় নষ্ট হয়েছে কৃষকের ঘরে থাকা বোরো ধানের বীজও। উদ্বৃত্ত এসব অঞ্চলের এমন পরিস্থিতিতে সরকারের পক্ষ থেকে সঠিক সময়ে উদ্যোগ না নিলে দেশে খাদ্য সংকট দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। ময়মনসিংহ অঞ্চলের এবারের বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে শেরপুর জেলা। এ বছর সীমান্ত জেলাটির ৯৫ হাজার ৭৯০ হেক্টর জমিতে রোপা আমনের আবাদ হয়েছিল। তার মধ্যে ৩৭ হাজার ১৫৫ হেক্টরই উজানের ঢল ও বৃষ্টিপাতের কারণে সৃষ্ট বন্যায় আক্রান্ত হয়েছে। নেত্রকোনা জেলার ১০টি উপজেলায় এ বছর ১ লাখ ৩৫ হাজার ৯০০ হেক্টর জমিতে আমন ধানের আবাদ করা হয়। এর মধ্যে বন্যার পানিতে তলিয়ে যায় ২৪ হাজার ৬৬৭ হেক্টর আমন খেত ও ১৭৭ হেক্টর জমির শাকসবজি। বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জেলার সীমান্ত ও নিম্নাঞ্চল কলমাকান্দা, দুর্গাপুর, বারহাট্টা, পূর্বধলা, মোহনগঞ্জ, আটপাড়া ও মদন। অথচ এ অঞ্চল পুরোপুরিভাবেই কৃষিনির্ভর। এছাড়া ময়মনসিংহের বন্যায় সবচেয়ে বেশি ১০ হাজার ৫৬০ হেক্টর রোপা আমনের জমি নষ্ট হয়েছে ধোবাউড়া উপজেলায়। ১০ হাজার ৩১০ হেক্টর আমনের জমি নষ্ট হয়েছে হালুয়াঘাটে। ফুলপুর উপজেলায় নষ্ট হয়েছে ৩ হাজার ৪০৫ হেক্টর জমির আমন ধান।
দক্ষিণের জেলা নোয়াখালীতে একই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর জেলাটিতে লক্ষ্যমাত্রার ৩৫ শতাংশ আমন ধানের উৎপাদন কমবে। ফলে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে চালের বাজারে। দুর্যোগ-পূর্ববর্তী সময়ে কৃষি বিভাগ নোয়াখালীতে রোপা আমনের আবাদ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল ১ লাখ ৭৪ হাজার ১৪৫ হেক্টর জমির। ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ৭ লাখ ১৩ হাজার ৯৯৩ টন। আর এখান থেকে চাল উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ৪ লাখ ৭৫ হাজার ৯৯৫ টন। দুর্যোগ-পরবর্তী কৃষি বিভাগের হিসাব অনুযায়ী, মাঠে রোপা আমন আবাদ হয়েছে ১ লাখ ২৩ হাজার ৭২৭ হেক্টর। দুর্যোগ-পরবর্তী আবাদ অনুযায়ী ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ৫ লাখ ৭ হাজার ২৮০ টন। ওই হিসাবে নোয়াখালীতে এ বছর চাল উৎপাদন হতে পারে ৩ লাখ ৩৮ হাজার ১৮৬ টন। তবে যেসব এলাকায় দেরিতে আবাদ হয়েছে এবং যেখানে ধানের চারার অবস্থা তুলনামূলক খারাপ সেসব এলাকায় আবাদ আরও কম হতে পারে।
দেশের বর্তমান বন্যাপরবর্তী খাদ্য পরিস্থিতি সম্পর্কে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার পর্যবেক্ষণেও উঠে এসেছে, উদ্বৃত্ত জেলাগুলোর ফসল উৎপাদনে ঘাটতি মোকাবেলায় কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া এখন জরুরি হয়ে পড়েছে। জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) সম্প্রতি প্রকাশিত এক নিয়মিত প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, দেশের সাম্প্রতিক বন্যায় কৃষি ও সামগ্রিক অর্থনীতির ওপর চাপ তৈরি হয়েছে। এর প্রভাবে প্রয়োজনীয় খাদ্য সংস্থান করতে পারছে না প্রতি ১০ জনের মধ্যে তিনজন বা ৩০ শতাংশ। নিম্ন আয়ের মানুষের ক্ষেত্রে এ হার প্রায় ৩৬ শতাংশ। খাদ্য ব্যয় সংকোচনমূলক ব্যবস্থার মাধ্যমে বর্তমান পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেয়ার চেষ্টা করছে ২৯ শতাংশ মানুষ। আর সার্বিক জীবন-জীবিকায় ব্যয় সমন্বয়ের মাধ্যমে পরিস্থিতি মোকাবেলা করছে ৭১ শতাংশ।
ভারত সম্প্রতি সেদ্ধ চালের রফতানি শুল্ক প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছে। এর পরদিন বাসমতি ছাড়া অন্যান্য সাদা চালের ন্যূনতম রফতানি মূল্য (এমইপি) তুলে দিয়েছে দেশটি। শীর্ষ রফতানিকারক দেশের এমন সিদ্ধান্তের পর বাজারে চালের সরবরাহ বাড়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এ কারণে ভারতসহ এশিয়ার অন্য দেশগুলোয় চলতি সপ্তাহে চালের রফতানি মূল্য কমেছে। গত এক বছরের সর্বনিম্নে নেমেছে ভারত ও ভিয়েতনামের চালের দাম। ভারতে ৫ শতাংশ খুদযুক্ত সেদ্ধ চালের দাম চলতি সপ্তাহে ছিল টনপ্রতি ৪৫০-৪৮৪ ডলার, যা গত বছরের আগস্টের পর সর্বনিম্ন। ভারতের ৫ শতাংশ খুদযুক্ত সাদা চালের দাম চলতি সপ্তাহে ছিল টনপ্রতি ৪৬০-৪৯০ ডলার। ভিয়েতনাম ফুড অ্যাসোসিয়েশনের দেওয়া তথ্যানুযায়ী, চলতি সপ্তাহে দেশটিতে চালের দাম গত বছরের জুলাইয়ের পর সর্বনিম্নে নেমেছে। ভিয়েতনামে বৃহস্পতিবার ৫ শতাংশ খুদযুক্ত চাল টনপ্রতি ৫৩২ ডলারে বেচাকেনা হয়েছে, গত সপ্তাহে যা ছিল ৫৩৭ ডলার। হো চি মিন সিটির এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘অন্যান্য রফতানিকারক দেশের প্রতিযোগিতামূলক দামের কারণে ভিয়েতনামে চালের দাম কমেছে। এছাড়া বুধবার ইন্দোনেশিয়ার বুলোগ চাল ক্রয়ের টেন্ডার বাতিল করেছে। এটিও পণ্যটির দামে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।’ এদিকে থাইল্যান্ডে চলতি সপ্তাহে ৫ শতাংশ খুদযুক্ত চালের দাম ছিল টনপ্রতি ৫১০ ডলার, যা গত সপ্তাহে ছিল ৫২৫ ডলার। এ বিষয়ে ব্যাংককভিত্তিক এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘থাইল্যান্ডের চালের চাহিদা স্থিতিশীল রয়েছে। সরবরাহের জন্য চাল এরই মধ্যে জমি থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে।’
বাংলাদেশে আকস্মিক বন্যায় প্রায় ১১ লাখ টন ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এরপর চালের আমদানি শুল্ক ৩৭ শতাংশ কমিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। পাশাপাশি বর্তমানে চাল আমদানিতে শুল্ক প্রত্যাহার করা ফলে স্থানীয় উৎপাদক চাষীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন না উল্লেখ করে ট্যারিফ কমিশনের চিঠিতে বলা হয়, দেশে চালের চাহিদা প্রায় ৩ দশমিক ৭ থেকে ৩ দশমিক ৯ কোটি টন, যার সিংহভাগ দেশেই উৎপাদন হয়ে থাকে। তবে দেশে বর্তমানে গত এক মাসে সরু, মাঝারি ও মোটা চালের দাম যথাক্রমে শূন্য শতাংশ, ১ দশমিক ৭৪ শতাংশ ও ১ দশমিক ৯০ শতাংশ বেড়েছে। এক বছরের ব্যবধানে তিন ধরনের চালের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে যথাক্রমে ৯ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ, ৯ দশমিক ৩৫ শতাংশ ও ৭ শতাংশ।
বাংলাদেশে চালের উৎপাদন বেড়েছে। কিন্তু দাম না কমায় মানুষের মাঝে শান্তি ফিরছে না। উৎপাদন বাড়ানোর সুফল যদি প্রান্তিক মানুষ ভোগ না করতে পারে তাহলে কাজের কাজ কিছুই হবে না। সম্প্রতি ধানের দাম বাড়ানোর অজুহাতে ৫০ কেজির বস্তায় চালের দাম দেড়শ টাকা পর্যন্ত বেড়ে গেছে। এর আগের দুই মাসে বন্যা ও যানজটের কারণ দেখিয়ে দাম ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা বাড়ানো হয়েছিল। সাম্প্রতিক বন্যা দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলকে তছনছ করে দিয়েছে। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর রাষ্ট্র সংস্কার নিয়ে তুমুল আলোচনা-সমালোচনা চলছে। নতুন করে দেশ পুনর্গঠনের বিভিন্ন দাবি উঠলেও, দুঃখজনকভাবে কৃষকদের অধিকারের প্রশ্ন অনেকাংশেই অবহেলিত থেকে যাচ্ছে। বিশেষ করে সাম্প্রতিক বন্যায় কৃষকদের যে ক্ষতি হয়েছে, তা জাতির সামনে জ্বলন্ত বাস্তবতা। কৃষি মন্ত্রণালয়ের মতে, বন্যায় সরাসরি আক্রান্ত জমির পরিমাণ ৩৭ লাখ ২ হাজার ৭৩৩ হেক্টর, যার কারণে কৃষিতে ৩ হাজার ৩৪৬ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। এই বিপুল ক্ষতি কৃষকের জীবনের ওপর যে আঘাত হেনেছে, তা পুষিয়ে নেওয়া সহজ হবে না।
লেখক: গবেষক ও শিক্ষাবিদ
সারাবাংলা/এসবিডিই