নিত্যপণ্যের দাম বাড়ার সংস্কৃতি কবে বন্ধ হবে?
১২ মার্চ ২০২৪ ১৪:৫৬
রমজান এলে আমাদের মুসলিমপ্রধান দেশের ধর্মপ্রাণ মানুষরা পণ্যসামগ্রীর দাম হুঁ হুঁ করে বাড়িয়ে দেন। কিন্তু উল্টো চিত্র লক্ষ্য করা যায়, বিশ্বের অন্য প্রান্তে। সেখানকার মানুষরা রমজান মাসে পণ্যসামগ্রীর দাম স্বাভাবিকের চাইতে কমিয়ে দেন। ইউরোপ-আমেরিকার মতো অমুসলিম দেশগুলোও পণ্যসামগ্রীর দাম কমিয়ে দেয় মুসলমানদের প্রতি উদারতা-মানবতা থেকে।
অথচ এদেশের চিত্র উল্টো। এখানে মানুষের মাঝে ধর্মান্ধতা বেড়েছে, বাড়েনি ধর্মের প্রকৃতচর্চা। ফলে নৈতিকতা, উদারতা আর মানবতার দৃষ্টান্ত তৈরি হয়নি। ধর্ম তো মানুষকে নৈতিক, সৎ, উদার ও মানবিক হতে সহায়তা করে। সর্বোপরি, দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করে। তবে কেন চারিদিকে প্রগাঢ় অন্ধকার?
ধর্মকে এখানে ‘ধারণ’ করার পরিবর্তে লাভ আর স্বার্থসিদ্ধির হাতিয়ার বানানো হয়েছে। ফলে ধর্মের নামে অধর্মের কাজ হচ্ছে, ধর্মের অপচর্চা আর অপব্যবহার হচ্ছে। যার প্রভাব পড়ছে সমাজ ও রাষ্ট্রে। এ কারণে কোথাও আর আলোর দেখা মেলে না!
মুসলমান আর বাঙালি-মুসলমানের মধ্যে তফাৎ রয়েছে। বাঙালি-মুসলমান মন সর্বদা নিজের আখের গোছাতে ব্যস্ত থাকে। তার কর্মকাণ্ড দ্বারা অন্য কারও ক্ষতি হচ্ছে কি না, সমাজ-রাষ্ট্র কোন রসাতলে যাচ্ছে, সেদিকে তার কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই। সবকিছুর ঊর্ধ্বে যে ‘মানুষ’ হতে হয়, সেটা এখানে এখনও গড়ে ওঠেনি। মানবতা বা মানবধর্ম কী জিনিস তা এখানে এখনও অলিক কল্পনা!
যে যেভাবে পারছে দেশটাকে লুটেপুটে খাচ্ছে। আর সাধারণ মানুষ প্রতিনিয়ত জিম্মি হয়ে আছে এমন আগ্রাসনে। সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস চরমে—যেন দেখার কেউ নেই! মহান একাত্তরে মু্ক্তির যে প্রত্যাশা নিয়ে এদেশের খেটেখাওয়া সাধারণ জনগণ দেশ স্বাধীন করেছিল—সে প্রত্যাশা কি আজও পূরণ হয়েছে?
লেখক: কলামিস্ট
সারাবাংলা/এসবিডিই
ইমরান ইমন নিত্যপণ্যের দাম বাড়ার সংস্কৃতি কবে বন্ধ হবে? মুক্তমত