Monday 06 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

রাষ্ট্রপতির প্রতি খোলা চিঠি: শ্যামপুর মাদরাসা নিজভূমে পরবাসী

রফিকুল ইসলাম
১৫ জুন ২০২২ ১৮:২৫

মহামান্য রাষ্ট্রপতি,

তসলিমবাদ সমাচার এই যে, আপনি আদর্শিক রাজনীতির সারথি ও আলোকিত অন্তরের অধিকারী হয়ে শতাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করে আলোকিত হাওর গড়ে পরিণত হয়েছেন সম্প্রীতির ও আলোর বাতিঘরে।

কিন্তু আপনি ‘হাওরের শিক্ষার হার ও মান নিয়ে সন্তুষ্ট নন’ বলে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন ২০১৯ সালের ১৪ অক্টোবর কিশোরগঞ্জ জেলার অষ্টগ্রামের খেলার মাঠে আয়োজিত এক সুধী সমাবেশে।

এর কারণও জ্বলন্ত। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে আচরণবিধি লঙ্ঘন, বিধিবদ্ধ ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতিসহ শঠতা আর কপটতা, রাজনৈতিক কর্তৃত্ব ও অনৈতিক প্রভাব বিস্তার, স্বজনপ্রীতি, অন্যায়, অনিয়ম ও অনাচারের সাথে যুক্ত করে ফেলার দরুন হাওরের শিক্ষাব্যবস্থায় নেমে এসেছে এ বেহাল দশা। এছাড়া পকেট কমিটি ও প্রতিষ্ঠানপ্রধানসহ কিছুসংখ্যক শিক্ষক কর্তব্যে ফাঁকি দিতে চাটুকারিতা ও তাঁবেদারি কম দায়ী নয়।

দীর্ঘ বারো বছর ধরে সমুদয় দোষে দুষ্ট হওয়ায় লোকমুখ ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ গণমাধ্যমে বহুল আলোচিত মিঠামইনের শ্যামপুর দারুল উলুম দাখিল মাদরাসাটি, যেখানে সুপার মো. আমিনুল হক হীরক রাজা ভগবান। সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় স্বার্থ ভুলে ব্যক্তিস্বার্থ হাসিলের জঘন্য প্রবণতার ফলে সমাজকে আজ ঠেলে দিচ্ছে চরম বিশৃঙ্খলা ও নৈরাজ্যের দিকে।

এ নিয়ে ‘দেশ টিভি’ ২০২০ সালের ২২ নভেম্বর সংবাদ প্রকাশ করে। এতে বলা হয়, “শ্যামপুর গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা মো. জজ মিয়ার দান করা এক একর জমিতে ২০০৫ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয় শ্যামপুর দারুল উলুম দাখিল মাদরাসা। ২০১০ সালে মাদরাসাটি এমপিওভুক্ত করার পর থেকে প্রতিষ্ঠানের আয়-ব্যয় নিয়ে সুপার মো. আমিনুল হকের সঙ্গে সভাপতি মো. জজ মিয়ার বিরোধের সৃষ্টি হয়।

বিজ্ঞাপন

অভিযোগ রয়েছে, বিরোধের সমাধান না করে ২০১১ সালে জানুয়ারি মাসে মাদরাসার সুপার মো. আমিনুল হক মাদরাসার ব্যাঞ্চ, চেয়ার-টেবিল ও টিনের ঘর রাতের আঁধারে পাশের ধলাই-বগাদিয়া বাজারে সরিয়ে নিয়ে যান। সেখানে একটি দোকানে মাদরাসার কাগজপত্র ও চেয়ার-টেবিল রাখা হয়েছে। এরপর থেকে অস্তিত্ব সংকটে ভুগছে এমপিওভুক্ত এই মাদরাসাটি। সেইসঙ্গে পাঠদান কার্যক্রমও বন্ধ রয়েছে মাদরাসাটিতে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রভাবশালী একটি মহলের আশ্রয়ে-প্রশ্রয়ে সুপার আমিনুল হক কাগজে কলমে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। এমন পরিস্থিতিতে শ্যামপুর গ্রামে মাদরাসা স্থানান্তরের দাবি অভিভাবক ও এলাকাবাসীর।”

দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষামন্ত্রীসহ সর্বোচ্চ প্রশাসনের নির্লিপ্ততায় এলাকাবাসীর লেখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে এবং ন্যায্যতার প্রশ্নে মাননীয় এমপি প্রকৌশলী রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক মাদরাসাটি প্রকৃত জায়গা শ্যামপুর গ্রামে ফিরিয়ে আনার নির্দেশ দেন। কিন্তু এক বছর পেরিয়ে গেলেও সুপার মো. আমিনুল হক সেই নির্দেশ উপেক্ষা করে চলেছেন, যা দেখে অভিভাবক ও এলাকাবাসী হতবাক।

এ নিয়ে গতবছর ১৩ জুন দৈনিক জনকণ্ঠ পত্রিকায় ‘হাওড় অঞ্চলের শিক্ষা: আলোর নিচে অন্ধকার’ শীর্ষক একটি উপসম্পাদকীয় লেখি; যা মহামান্যের সদয় বিবেচনায় কিয়দাংশ তুুলে ধরছি –

“আওয়ামী লীগের শাসনামলে সুবিধাবঞ্চিত হাওড় অঞ্চল জাতীয় মহাপরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্তিতে উন্নয়ন-অগ্রগতির পথে হাঁটছে আবার সামগ্রিকভাবে একটি নৈতিক-মানসিক-সামাজিক অধঃপতন ও অবক্ষয়ের মধ্য দিয়েও যাচ্ছে। অবক্ষয়ের এ চিত্র জীবন্ত হয়ে উঠছে জীবনব্যবস্থায়ও, যা প্রভাবিত করছে নতুন প্রজন্মকে এবং দোলা দিচ্ছে তাদের মনোজগতকে। অবাক বিস্ময়ে প্রত্যক্ষ করছে সর্বত্রই অমনুষ্যত্বের বাগাড়ম্বরে উত্তম শিক্ষাব্যবস্থাতে দীনতার চিত্র।

বিজ্ঞাপন

অনুকূল পরিবেশ গড়ে তোলার দায়িত্ব শিক্ষাব্যবস্থার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের হলেও তাতে অনাচার প্রবেশ করায় সবকিছু মিলে হিসাব করতে গেলে খুব সহজেই আমাদের চাওয়া পাওয়ার মধ্যে অসামঞ্জস্যতা প্রকটভাবে চোখে পড়ে।

অসংখ্য দৃষ্টান্তের মধ্যে সম্প্রতি ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্টসহ মূলধারার সংবাদমাধ্যমে রাষ্ট্র হওয়া মিঠামইন উপজেলার গোপদিঘী ইউনিয়নে অবস্থিত শ্যামপুর দারুল উলুম দাখিল মাদ্রাসার প্রসঙ্গে আসা গেলে কী দেখা যায়? যেখান থেকে যাত্রা শুরু করা হয়েছিল সেখান থেকে কতটা এগোল? নাকি আরো এগিয়ে যাবার কথা ছিল?

‘কিশোরগঞ্জ জেলার হাওড় এলাকার নির্বাচিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের উন্নয়ন’ প্রকল্পে স্থান না পাওয়া এবং জেলা পরিষদের বরাদ্দকৃত প্রায় এক কোটি টাকা ফেরত যাওয়ার বিড়ম্বিত ভাগ্যবিপর্যয় এবং হঠকারিতায় এক দশক ধরে মাদরাসাটি নিজভূমিতে স্থানান্তর না হওয়ার ক্ষেত্রে অযাচিত পৃষ্ঠপোষকতা লাভ।

শেষতক ন্যায্যতার প্রশ্নে পিতার কাছ থেকে দীক্ষাপ্রাপ্ত তৃণমূলে ছড়িয়ে দিয়ে সফল নেতৃত্বের প্রতীক হয়ে ওঠা জননন্দিত নেতা কিশোরগঞ্জ-৪ (ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম) আসনের টানা তিনবারের নির্বাচিত এমপি রাষ্ট্রপতিপুত্র প্রকৌশলী রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক ন্যায়পালের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে নিয়ে গত ১১ এপ্রিল ‘২১ সরেজমিন পরিদর্শনে যান এবং মাদ্রাসাটি নিজভূমে ফিরার সিদ্ধান্তে তাৎক্ষণিক সয়েল টেস্ট করে বিল্ডিং বরাদ্দ ও প্রতিরক্ষা দেয়াল করে দেয়াসহ উন্নয়নমূলক কাজও শুরু করে দেয়া হয়।

কিন্তু বিধিবাম! আসুরিক শক্তিটি, যাদের পৃষ্ঠপোষকতায় শিক্ষাবিপর্যয়ের কারণ; তারাই মাদ্রাসাটি কব্জায় রাখতে গণতন্ত্র কিংবা মানবাধিকারের ভিত্তিতে নয়, সংখ্যাগরিষ্ঠতার মিথ তৈরি করে মাননীয় এমপি তৌফিকের সিদ্ধান্তের বিপরীতে বরাবরের মতো আলাদা এক অনৈতিক চেতনা খোঁজা হচ্ছে। যা কি না নেতৃত্বেের ভিতর নেতৃত্ব সক্রিয় হয়ে ওঠার শক্তিমত্তারই প্রতিফলন।

এসব বাজে দৃষ্টান্ত সমাজে খন্ডিত সত্যের সৃষ্ট পরিবেশ থেকে শিক্ষার্থীরাও নিজের স্বার্থপরতা ও সংকীর্ণতা ছাড়া ভালো কিছু শিখছে না, আত্মত্যাগ ও অপরকে সম্মান করতে শিখছে না। হারিয়ে ফেলছে মূল্যবোধ নৈতিকতা আর সুকুমার বৃত্তিগুলো। আগামী কর্ণধাররা ক্ষীণচেতা দৃষ্টিভঙ্গি নিয়েই বেড়ে উঠছে নিপাট অন্যায়ের মধ্যে।

সুশিক্ষিত জাতি ও সুশৃঙ্খল সমাজ গঠনে ক্রিমিনাল কার্যক্রমকে ক্রিমিনাল কার্যক্রম হিসেবেই ট্রিট করা উচিত, রাজনীতি হিসেবে নয়। এপিজমেন্টের রাজনীতি বন্ধ করে আইডিওলজি দিয়ে মোকাবিলা করতে হবে অন্যায়কে। একে অস্বীকার করে এলিয়েনেশনের পথে গিয়ে শিক্ষিত উনিফাইড সমাজ গঠন করা সম্ভব নয়। কেননা, চার্লস ডিকেন্সের ‘গ্রেট এক্সপেকশন্স’ উপন্যাসে পিপ নামের বালকটি বলেছিল– “বাচ্চাদের ছোট দুনিয়াতে যেটা সবচেয়ে ভালোভাবে টের পাওয়া যায় সেটা হলো অন্যায়।”

পিপের সেই কথা ভয়ঙ্করভাবে সত্য বলে প্রমাণিত হয় শ্যামপুর মাদরাসার ক্ষেত্রে। বিশেষ করে সুপার মো. আমিনুল হক এবং সহকারী কৃষিশিক্ষক হাসান মো. ফরহাদের বেলায়। সুপার স্বেচ্ছাচারীতাসহ যথেচ্ছাচার অন্যায় কাজে নিজেকে সম্পৃক্ত রাখলেও এ পর্যন্ত জবাবদিহিতার ঊর্ধ্বে থাকতে সক্ষম হয়েছেন। আর কৃষিশিক্ষক বছরের পর বছর ধরে গরহাজির থেকে অন্যায় ও অবৈধভাবে বেতন-ভাতা ভোগ করে বহাল তবিয়তে রয়েছেন। তা সম্ভব হয়েছে নেতার বড়গিরি বলে এবং সুপার অন্যায়ভাবে সহযোগিতা করার মধ্য দিয়ে।

এতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে এক লেখিত অভিযোগের পটভূমিতে ওই কৃষিশিক্ষককে নিয়ে চলতি বছর গত ৪ এপ্রিল জাতীয় মূলধারায় নিউজ পোর্টাল ‘সারাবাংলা ডটনেট’ সংবাদ পরিবেশন করে ‘বছরের পর বছর অনুপস্থিত থাকলেও নিয়মিত বেতন তোলেন মাদরাসা শিক্ষক’ শিরোনামে। রিপোর্টটি বস্তুনিষ্ঠতায় বিপুল প্রশংসিত হয়।

তৎপ্রেক্ষিতে তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে পাঠকপ্রিয় একই অনলাইন পত্রিকায় গত ২১ এপ্রিল বিশদ বিবরণ সম্বলিত ‘কাজীর গরু কেতাবে আছে, গোয়ালে নেই!’ শীর্ষক একটি আর্টিকেল লেখি, যা গ্রহণযোগ্যতায় সর্বমহলে তুমুল সাড়া জাগায়।

তাছাড়া সুশীল সমাজের পক্ষেও ‘কিশোরগঞ্জ জেলার মিঠামইনের শ্যামপুর দারুল উলুম দাখিল মাদরাসার সহকারী কৃষিশিক্ষক হাসান মো. ফরহাদের কর্মস্থলে বছরের পর বছর অনুপস্থিত থেকে পাঠদান না করে নিয়মিত বেতন-ভাতাদি ভোগ করা এবং সুপারিন্টেন্ডেন্ট মো. আমিনুল হকের ক্ষমতায় অপব্যবহার ও দুর্নীতি প্রসঙ্গে’ শীর্ষক বিষয়ে জেলা শ্রশাসক এবং ময়মনসিংহ সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের উপপরিচালকের বরাবরে লেখিত অভিযোগ করে এর প্রতিকার চাওয়া হয়। কিন্তু যেখানে রাষ্ট্রপতিপুত্র মাননীয় এমপি তৌফিকের নির্দেশই উপেক্ষিত, সেখানে এ অভিযোগ নাকি সুপারের কাছে নস্যি।

সুপার দিনদিন ফ্রাঙ্কেনস্টাইন রূপ পরিগ্রহ করে চলেছেন।

মাদরাসাটি নিজভূমে ফিরিয়ে আনার নির্দেশের প্রেক্ষিতে গতবছর ২৫ এপ্রিল সহ-সুপার ও নারী শিক্ষকসহ সাতজন শিক্ষক মাননীয় এমপি তৌফিককে অভিনন্দনপত্র দেওয়ায় সুপার তাদের টাইমস্কেল আটকে দেওয়া শুধু নয়, চাকরি খেয়ে ফেলার হুমকির মুখে দিশেহারা হয়ে পরেছেন কেতাদুরস্ত শিক্ষকরা। এছাড়া অশ্লীল গালিগালাজ ও অসদাচরণসহ শিক্ষকদের রেখেছেন গোমস্তা বানিয়ে।

বর্তমানে সুপারের অন্যতম সহযোগী সহকারী মৌলভী নতুন বগাদিয়া গ্রামের মো. মুজিবুর রহমানের বসতভিটায় পাঠদান কার্যক্রম অচলাবস্থা ও অবকাঠামোগত অভাবে গরু-ভেড়ার সাথে শিক্ষার প্রতিকূল পরিবেশে অস্তিত্ব সংকটে ভুগছে মাদরাসাটি।

মহামান্য রাষ্ট্রপতি,

উদ্ভূত এ পরিস্থিতিতে শ্যামপুর গ্রামবাসী যে আবেদনটি মাননীয় এমপি প্রকৌশলী রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিকের কাছে দিয়েছিলেন সঙ্গত কারণে এর চুম্বকাংশ তুলে ধরছি:

“মাদরাসাটির আজ করুণ দশা। আমরা দলবেঁধে নৌকা বোঝাই করে বহুবার মিঠামইন উপজেলার শীর্ষ নেতৃবৃন্দের কাছে গিয়েছি আমাদের মাদরাসা যথাস্থানে ফিরিয়ে আনার জন্য। গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে তারা ওয়াদা করেছিলেন যে, শ্যামপুরের মাদরাসা শ্যামপুর ফিরিয়ে দিবেন। কিন্তু আজ পর্যন্ত তারা তাদের ওয়াদা বাস্তবায়ন করেননি।”

এলাকায় দলের রাজনৈতিক জনপ্রিয়তা ধরে রাখা ও দলীয় অনুগামী তৈরির দায়িত্ব যাদের হাতে ন্যস্ত, তন্মধ্যে যে নামটি সবার মুখে মুখে ফিরে, বিশেষ করে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হক সরকারি কলেজের সহকারী লাইব্রেরিয়ান মো. নূরুল হক ভূঞা; তিনি দলীয় অনুগামী তৈরির বদলে বেস্ট ওয়ান বনতে মরিয়া হয়ে লেগেছেন ব্যক্তি অনুগামী তৈরিতে। সেই ফন্দি ঢাকতেই উপজেলার শীর্ষ রাজনৈতিক নেতৃত্বকে মোহগ্রস্ত করে রেখেছেন ‘শ্যামপুরবাসী আওয়ামী লীগে ভোট দেয় না’- মিথ ও মিথ্যার ধূম্রজাল তৈরি করে। এক্ষেত্রে গোমর ভাঙতে বর্ধিষ্ণু শ্যামপুর গ্রামবাসীর দাবি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিজস্ব ভোটকেন্দ্র স্থাপনের।

একটি কল্যাণমুখী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় সরকারের যতসব প্রচেষ্টা, তা চলমান থাকা সত্ত্বেও জনবল সুশিক্ষিত হওয়ার সর্বজনীন সেই ক্ষেত্রটিকে দুর্ভাগ্যজনকভাবে ব্যক্তি সম্পত্তি রূপায়নে ভাগ্য বদলানোর টাঁকশালে পরিণত করা হয়েছে। ফলে রাষ্ট্রপতির স্বপ্নের হাওরে নেমে এসেছে অদ্ভুত আঁধার এক, যে হাওরকে আজ বিশ্বও চিনে নিয়েছে রাষ্ট্রপতি আপনারই ত্যাগের মহিমায়।

‘অধিকার নিরাপত্তার অবলম্বন’ – শ্যামপুর গ্রামবাসীও ওই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। বিপিনচন্দ্রের ভাষায়- ‘এ জগতে সকল ক্ষেত্রেই অধিকার ভেদ আছে। মানুষের গুণাগুণের খাঁটি বিচার করতে গেলেও অধিকার অনধিকারের কথা ভাবতে হয়। নির্মল চিত্ত ব্যতিত কোন বিষয়ই সত্য দেখিবার অধিকার জন্মে না।’

এতদপ্রেক্ষিতে আপনার বদান্যতায় শ্যামপুরবাসীর প্রাণের দাবি মাননীয় এমপি রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিকের ন্যায্য ও সত্যসন্ধিৎসু সিদ্ধান্ত বহাল রেখে মাদরাসাটি নিজভূমিতে ফিরিয়ে এনে উন্নয়নে অংশীদার করুন।

একইভাবে সক্রিয় ও গতিশীলতায় মাদরাসার পকেট কমিটি ভেঙে প্রতিনিধিত্বশীল নতুন কমিটি গঠন করে মাদরাসার দীর্ঘ বারো বছরের আয়-ব্যয়ের হিসেব-নিকেশ তলবসহ সুপারকে আইন ও জবাবদিহির আওতায় আনা। পাশাপাশি সহকারী কৃষিশিক্ষক হাসান মো. ফরহাদকেও। তিনি বিশেষ করে মিঠামইন বাজারে কফি হাউজ, স্টেশনারি ও নাইনটি নাইন দোকান পরিচালনায় নিয়োজিত থেকে বিগত বছরগুলোতে মাদরাসা কামাই করে অবৈধভাবে ভোগকৃত বেতন-ভাতাদি সরকারের কোষাগারে ফেরত দেওয়ার সংস্থানে শিক্ষাব্যবস্থায় নৈতিকতা ধরে রাখাও অতীব জরুরি।

লেখক: জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও কলামিস্ট; সহযোগী সম্পাদক, আজকের সূর্যোদয়

সারাবাংলা/এজেডএস

রফিকুল ইসলাম রাষ্ট্রপতির প্রতি খোলা চিঠি শ্যামপুর মাদরাসা নিজভূমে পরবাসী

বিজ্ঞাপন

চলে গেলেন প্রবীর মিত্র
৫ জানুয়ারি ২০২৫ ২৩:৪২

আরো

সম্পর্কিত খবর