বর্ষবরণকে ঘিরে নতুন ফুলের পসরা নিয়ে বসেছেন দোকানিরা
১৪ এপ্রিল ২০২৫ ১৬:১৯ | আপডেট: ১৫ এপ্রিল ২০২৫ ০৩:২৪
ঢাকা: ঋতুরাজ বসন্ত বিদায় নতুনের আবাহন। এসেছে বৈশাখ। লাল হলুদের রঙ বৈচিত্রকে ছাড়িয়ে এবার লাল সাদায় পরিণত সাজসজ্জা। সেই রূপে বাঙালি নারীর ফুল না হলে চলে? আর তাইতো নানা ফুলের পসরা সাজিয়ে বসেছে ফুল দোকানিরা।
প্রকৃতির নিয়মে বসন্ত চলে গেলেও, রেখে গেছে বাসন্তি ফুল। আবার ঋতু পরিক্রমায় এসেছে নতুন ফুল। বৈশাখে তাই রমনীর পছন্দ বেলি, কাঠগোলাপ, গাজরা ও জারবেরা ফুল।
নতুন বছরকে বরণ করে নিতে নানান আয়োজন চলছে রমনার বটমূল, শিল্পকলা একাডেমি, শিশু একাডেমি, সোহরাওয়ার্দী এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটে। এইসবগুলো আয়োজনের মধ্যমনি হচ্ছে শাহবাগ। নতুন বছরের আয়োজন ঘিরে এখানকার ফুল ব্যবসায়ীরাও তাই দারুণ ব্যস্ত।
সোমবার (১৪ এপ্রিল) সকাল থেকেই শাহবাগের ফুলের দোকানে ভিড় বাড়তে দেখা গেছে। বিক্রেতারাও বাড়তি বিক্রির আশা করে দোকানে বেশি পরিমাণে ফুল সাজিয়েছেন।
বিক্রেতারা বলছেন, বৈশাখে আমাদের ফুল বেশি বিক্রিই হয়। সব বয়সী নারীরাই ফুল কিনতে আসেন। শিশুরা ফুলের রিং কিনেন। আর নারীরাতো পোশাকের সঙ্গে মানানসই সব ফুল কিনেন। তাই আমরা বৈশাখের প্রথম দিনে বেশি ফুল রাখি। এবং চেষ্টা করি বিভিন্ন ফুল রাখার।’
শাহবাগের এই ফুলের মার্কেটে প্রতিটি দেশি গোলাপ ২০ থেকে ৩০ টাকা, চায়না গোলাপ ৮০ থেকে ১০০ টাকা, বেলি ফুলের মালা ৩০ থেকে ৫০টাকা, রজনীগন্ধা ১৫ থেকে ২০ টাকা, গাঁদা ফুলের মালা ৬০ থেকে ৮০ টাকা, ফুলের বেড়ি ৩০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
শাহবাগের ফুল বিক্রেতা মোবারক হোসেন বলেন, প্রতি বছর পহেলা বৈশাখের দিনে বাড়তি বিক্রি হয়। এই এলাকায় লোকজন বেশি আসে। তারা ফুল কেনেন। আমরা দোকানে আজ বেশি ফুল তুলেছি। আশা করছি ভালো বিক্রি হবে।
শাহবাগে ফুল কিনতে মুন্নি আক্তার বলেন, বছরে কয়েকটি উপলক্ষ্য আছে, যে সময়টায় আমরা ফুল পড়ে বাঙালি রূপে সাজতে পারি। আর নববর্ষতো শুধু মাত্র বাঙালির জন্যই। সেখানে বাঙালিয়ানা সাজতে ফুল লাগেই। ফুল ছাড়া যেনো সাজ পরিপূর্ণ হয় না। তাই ফুল কিনতে আসা।
ফুল বিক্রেতা জুলহাস মিয়া বলেন, প্রচুর ফুল বিক্রি হচ্ছে, আগামী কাল পর্যন্তও এমনই বেচাকেনা হবে বলে প্রত্যাশা করছি।
শুধু শাহাবাগই নয়, ফার্মগেট, আগারগাঁ, মিরপুর, সবখানেই ফুলের দোকানগুলো বৈশাখ উপলক্ষ্যে বেশ জমজমাট। এ ছাড়াও, অনেকে শুধু মাত্র আজকের দিনের জন্য আলাদা করে ছোট্টো ভ্যানে করে ফুল বিক্রি করছেন। আর বেচাবিক্রিও বেশ হচ্ছে বলে জানালেন বিক্রেতারা।
সারাবাংলf/এফএন/এইচআই