বিমসটেকের জন্য প্রধান উপদেষ্টার ৪টি এজেন্ডা
৪ এপ্রিল ২০২৫ ১৪:৪৫ | আপডেট: ৪ এপ্রিল ২০২৫ ১৭:২৬
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ষষ্ঠ বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনে বে অফ বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টি-সেক্টরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কোঅপারেশন (বিমসটেক)-এর জন্য চারটি এজেন্ডা প্রস্তাব করেছেন।
মুহাম্মদ ইউনূস যুবসমাজের শক্তিকে কাজে লাগানোর পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশি তরুণরা সামনে থেকে এতটা ইচ্ছা এবং কর্মপ্রচেষ্টা দেখাচ্ছে এমনকি শাসনব্যবস্থায় দীর্ঘস্থায়ী কিছু ধারণা সংস্কার করার জন্যও প্রস্তাব করেছে।
অধ্যাপক ইউনূস কৃষিকাজ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বিশেষ করে এই অঞ্চলের বিশাল ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠীর সঙ্গে সংযোগ স্থাপনকারী কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং সম্পর্কিত ‘৪ আইআর’ সরঞ্জাম এবং অ্যাপ্লিকেশনগুলোকে আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক পদক্ষেপ গ্রহণের প্রস্তাব করেছেন।
সরকার প্রধান বিমসটেক দেশ এবং সম্প্রদায়ের জন্য জ্ঞানের ক্ষেত্রে জোরালোভাবে জড়িত হওয়ার জন্য তাদের সম্পদ তৈরি, উদ্ভাবন এবং ভাগ করে নেওয়ার জন্য সমস্ত উপায় উন্মুক্ত করার সুপারিশ করেছেন।
তিনি এমন একটি ইকো-সিস্টেম প্রতিষ্ঠারও প্রস্তাব করেছেন যেখানে সরকার ছাড়াও অন্যান্য সংস্থাগুলো জনস্বাস্থ্য বা প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা জলবায়ু অভিযোজন- জরুরি অবস্থা এবং চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বিমসটেকের সাথে হাত মিলিয়ে কাজ করতে পারে।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘সময় আমাদের পক্ষে নেই। আমাদের কেবল পরিবর্তন আনতে হবে না, রূপান্তর করতে হবে। এজন্যই বাংলাদেশ তিনটি শূন্যের বিশ্বকে এগিয়ে নিতে চায়: শূন্য দারিদ্র্য, শূন্য বেকারত্ব এবং শূন্য কার্বন।’
শীর্ষ সম্মেলনের শেষে বাংলাদেশ আগামী দুই বছরের জন্য বিমসটেকের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহণ করবে, তাই ঢাকায় বিমসটেকের সকল নেতাদের দেখার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে।
সারাবাংলা/এমপি