নির্বাচনব্যবস্থা, আইনশৃঙ্খলা ও বিচার বিভাগ সংস্কারের পর নির্বাচন করতে হবে: ফখরুল
২ এপ্রিল ২০২৫ ১৪:৪৬ | আপডেট: ২ এপ্রিল ২০২৫ ১৬:০৯
ঠাকুরগাঁও: বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, একটি সুষ্ঠু, অবাধ নির্বাচনের জন্য যে ন্যূনতম সংস্কারগুলো করা দরকার, সেগুলো করে এরপর নির্বাচন করতে হবে। যেমন নির্বাচনব্যবস্থা কেন্দ্রিক যে সংস্কার, অর্থাৎ নির্বাচন কমিশন, নির্বাচনব্যবস্থা, এটা করতে হবে। দুই নম্বরে আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা, তিন নম্বরে জুডিশিয়াল রিফর্ম (বিচার বিভাগীয় সংস্কার)। এই তিনটি একেবারে মাস্ট করতে হবে। সরকার ছয়টি সংস্কার কমিশন গঠন করেছে। সেই ছয়টি কমিশনের মধ্যে বেসিক ইম্পর্ট্যান্ট এই তিনটি। এই তিনটি তো আমরা করতে বলেছি।
বুধবার (২ এপ্রিল) দুপুরে ঠাকুরগাঁও শহরের তাঁতীপাড়া মহল্লায় তার পৈত্রিক বাড়িতে সাংবাদিকদের সঙ্গে বিনিময়ের সময় তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপিকে টার্গেট করে প্রচার করা হচ্ছে বিএনপি আগে নির্বাচন চায়, তারপর সংস্কার চায় অথবা সংস্কার চায় না, নির্বাচন চায়। এটা একটা ভ্রান্ত ধারণা সৃষ্টি করা হচ্ছে। আমরা বার বার করে একটা কথাই বলছি, আমরাই তো সংস্কারের প্রবক্তা, আমরাই সংস্কার চেয়েছি।
তিনি বলেন, জনগণকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে, আমরা বলছি নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ করার জন্য ননূন্যতম যে সংস্কারগুলো করা দরকার সেটা করতে হবে। সংস্কারের দাবি তো আমাদের। ২০১৬ সালে ভিশন ২০৩০ তে আমরা রাষ্ট্র কাঠামোয় যে পরিবর্তন গুলো করা দরকার সে কথা গুলো আমরা তখনই বলেছি।
তিনি আরও বলেন, ইতোমধ্যে আপনারা জানেন সরকারের প্রত্যেকটা সংস্কারের প্রস্তাবের বিষয়ে আমরা কিন্তু প্রত্যেকটাই ক্লোজবাই ক্লোজ জবাব দিয়েছি এবং উত্তর দিয়েছি। এবং তাদেরকে (সংস্কার কমিশনকে) অনুরোধ করেছি, এ বিষয়ে আমরা কথা বলতে চাই। সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তারা এই বিষয়গুলো নিয়ে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কথা বলবে। আমরা যে বিষয়ে জোর দিচ্ছি, যে জিনিসটা বুঝতে অনেকে অক্ষম হচ্ছে। বিএনপি কখনোই এ কথা বলি নাই যে, আগে নির্বাচন, আর তারপরে সংস্কার। এটা যদি কেউ বলে থাকে, তাহলে ভুল ব্যাখ্যা দেওয়া হচ্ছে, জনগণকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে।
এ সময় জেলা বিএনপি নেতার নেতাসহ তৃণমূল নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সারাবাংলা/ইআ