নামাজ শেষে ঈদ র্যালি: ফিরে এলো সুলতানি আমলের ঐতিহ্য
৩১ মার্চ ২০২৫ ১৩:১২ | আপডেট: ৩১ মার্চ ২০২৫ ২০:৪৫
ঢাকা: রাজধানীর পুরাতন বাণিজ্যমেলা মাঠে প্রথমবারের মতো আয়োজন করা হয়েছিল ঈদুল ফিতরের নামাজ। ঈদের জামাত শেষে উৎফুল্ল জনতা র্যারির জন্য প্রস্তুত হয় এবং সড়কে সারিবদ্ধ হয়ে দাঁড়ায়। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম রচিত ঈদুল ফিতরের কালজয়ী ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ’ গানে মাতোয়ারা হয়েছেন মুসল্লিরা। নামাজ শেষে তারা আনন্দে নেচে গেয়ে র্যালির মাধ্যমে ঈদ উদযাপন করেছেন।
সোমবার (৩১ মার্চ) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের পুরাতন বাণিজ্য মেলার মাঠে ঈদের জামাত শেষে র্যালিটি শুরু হয়। সুলতানি মোঘল আমলের কায়দায় ঈদ আনন্দ মিছিলটি মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে গিয়ে শেষ হয়। ঈদ উৎসবের সার্বিক আয়োজন করেছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন। সহযোগিতায় ছিল যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়।
অনুষ্ঠানের শুরুতে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বলেন, বাংলার মানুষ দীর্ঘদিন ঈদের জামাত শেষে আনন্দ করতে পারেনি। নামাজ শেষে মানুষকে ঘরে ফিরে যেতে হয়েছে। এটি আর হবে না। এখন থেকে মানুষ উৎসব পালন করবে।

নামাজ শেষে তারা আনন্দে নেচে গেয়ে র্যালির মাধ্যমে ঈদ উদযাপন করেছেন।
অনুষ্ঠানস্থল ঘুরে দেখা গেছে, সার্বিক নিরাপত্তা দিতে ডিএমপি, সিটিটিসি, সোয়াতসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা রয়েছেন। অনুষ্ঠানস্থলে হাজার হাজার মুসল্লি রয়েছেন। তারা গানে গানে আনন্দ উল্লাস করেছেন।
নানান রঙ্গে খচিত পতাকা নিয়ে সাড়িবদ্ধ ঘোড়ার পীঠে সওয়ার হওয়া র্যালিকে আরও বেশি মনোমুগ্ধকর করে তোলে। বাদক দলের সুরেলা বাজনায় পুরো এলাকা যেন আনন্দে মাতোয়ারা হয়ে ওঠে। মানুষজন যেন প্রাণ ফিরে পেয়েছিল কিছুক্ষণ।
র্যালিতে অংশ নেওয়া আমিনুল ইসলাম অপুর্ব নামে একজন মুসল্লি বলেন, এটাকেই বলে ঈদ। এতদিন ঈদ করেছি আর ঘরে গিয়ে যেন সময় পার হচ্ছিল না। তবে এবারের ঈদ ইতিহাস হয়ে থাকবে জীবনে। ঈদ শেষে র্যালি ভাবাই বাহুল্য ছিল।
এতে কি যে আনন্দ তা বলে প্রকাশ করতে পারছি না। আগামীতে ঢাকাবাসী সকলকে র্যালিতে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
সারাবাংলা/ইউজে/ইআ