চট্টগ্রামের কিছু এলাকায় আগাম ঈদুল ফিতর উদযাপন
৩০ মার্চ ২০২৫ ১০:০২ | আপডেট: ৩০ মার্চ ২০২৫ ১২:২০
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম ও আশপাশের জেলার কয়েকটি গ্রামের বেশকিছু বাসিন্দা আজ (রোববার) পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করছেন।
সৌদিআরবের সঙ্গে মিল রেখে তারা প্রতিবছরের মতো এবারও একদিন আগেই রোজা রাখা শুরু করেছিলেন। এরা চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার মির্জাখীল দরবার শরীফের অনুসারী।
সাতকানিয়ার স্থানীয় সাংবাদিক দিদার চৌধুরী সারাবাংলাকে জানিয়েছেন, রোববার (৩০ মার্চ) সকালে মির্জাখীল দরবার শরীফে ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে দরবারের অনুসারী মুসল্লিরা ঈদের নামাজ আদায় করেন।
মির্জাখীল দরবারের অনুসারীরা বিশ্বের যে কোনো দেশে চাঁদ দেখার সংবাদ জ্ঞাত হয়ে শতবছরেরও বেশিসময় ধরে রমজান মাসের সিয়াম পালনের সূচনা, ঈদুল ফিতর, ঈদুল আযহা এবং চন্দ্র মাসের সাথে সম্পৃক্ত সকল অনুশাসনগুলো পালন করে আসছেন।
চট্টগ্রামের সাতকানিয়া, চন্দনাইশ, লোহাগাড়া, বাঁশখালী, বোয়ালখালী, আনোয়ারা, পটিয়া,কর্ণফুলী উপজেলায় এ দরবার শরীফের বেশকিছু অনুসারী আছেন।
দক্ষিণ চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার সোনাকানিয়া, ছোটহাতিয়া, আছারতলি, সাইরতলি, গারাঙ্গিয়া, এওচিয়া, খাগরিয়া, ছদাহা ও গাটিয়াডাঙ্গা, লোহাগাড়া উপজেলার কলাউজান, বড়হাতিয়া, পুটিবিলা, চরম্বা ও চুনতি, বাঁশখালী উপজেলার জালিয়াপাড়া, ছনুয়া, মক্ষিরচর, চাম্বল, শেখেরখীল, ডোংরা, তৈলারদ্বীপ ও কালিপুর, পটিয়া উপজেলার হাইদগাঁও, বাহুলী, ভেল্লাপাড়াসহ অর্ধশত গ্রামের প্রায় লাখো মানুষ এ নিয়মে রোজা ও ঈদ পালন করেন।
এছাড়া চট্টগ্রামের হাটহাজারী, সন্দ্বীপ, ফটিকছড়ি, বান্দরবানের লামা, আলীকদম, নাইক্ষ্যংছড়ি, কক্সবাজার সদর, টেকনাফ, মহেশখালী, কুতুবদিয়ার কিছু গ্রামে মির্জাখীল দরবার শরিফের অনুসারীরা আছেন, যারা একই নিয়ম অনুসরণ করেন।
মির্জাখীল দরবার শরীফের অন্যতম তত্ত্বাবধায়ক মোহাম্মদ মাছুদুর রহমান সরফরাজ সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রায় আড়াইশ বছর আগে সাতকানিয়া উপজেলার মির্জারখীল গ্রামে হযরত মাওলানা মোখলেছুর রহমান হানাফি মাজহাবের ফতোয়া অনুযায়ী পৃথিবীর যে কোনো দেশে চাঁদ দেখা গেলে রোজা, ঈদুল ফিতর, ঈদুল আজহাসহ সব ধর্মীয় উৎসব পালন করার ফতোয়া দিয়েছেন। তারই ধারাবাহিকতায় অনুসারীরা একই নিয়মে সব ধর্মীয় উৎসব পালন করে আসছেন।’
সারাবাংলা/আরডি/এনজে