ঈদে সেমাই, বাদাম ও কিসমিসের দামে স্বস্তি
২৮ মার্চ ২০২৫ ১২:৩৯
ঢাকা: ঈদের আগে শেষ শুক্রবার (২৮ মার্চ) আজ। যদিও ইতিমধ্যে ঈদের ছুটি শুরু হয়ে গেছে। অনেকেই তাই ঈদের রান্নার সামগ্রী কিনতে বাজারে এসেছেন। বাজার ঘুরে ক্রেতাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, এবার ঈদের রান্নার পণ্য সামগ্রীর মূল্য অনেকটা স্বস্তিমূলক। কেনাকাটা করে খুশি ক্রেতারা।
ঈদের বাজারে প্যাকেটজাত সেমাইয়ের দাম বাড়েনি। গত বছর রোজার ঈদের আগে ২০০ গ্রামের প্রতি প্যাকেট চিকন সেমাই বিক্রি হয়েছে ৪৫-৫০ টাকায়, যা এবার ৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাশাপাশি প্রতিকেজি খোলা চিকন সেমাই বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৪০ টাকায়। যা গত বছর বিক্রি হয়েছে ১৫০-১৮০ টাকায়। ২০০ গ্রামের প্রতি প্যাকেট লাচ্ছা সেমাই বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। যা আগে ৫০-৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
বিক্রেতারা বলছেন, ‘বাজারে দামের তেমন পার্থক্য নেই। লাচ্ছা ও চিকন দুই ধরনের সেমাই এখন বাজারে সরবরাহ করা হচ্ছে। এর মধ্যে খোলা ও মোড়কজাত দুভাবেই বিক্রি হয় সেমাই। আমরা বিক্রি করছি সুলভ মূল্যে। ক্রেতারাও কিনে খুশি আর আমরা বিক্রি করে যতটুকু লাভ পাই তাতেই খুশি।’
ঈদ ঘিরে সেমাইয়ের দাম কমলেও সেমাই তৈরির উপকরণের দাম বেড়েছে বাজারে। কিসমিসের দাম তুলনামূলক কম। কিন্তু বিভিন্ন ধরনের বাদাম যেমন কাজুবাদাম, পেস্তা বাদাম এগুলোর দাম কেজিতে ৫০ থেকে ৬০ টাকা করে বেড়েছে।
সেমাই তৈরির উপকরণ কিনতে বাজারে এসেছেন স্কুল শিক্ষিকা লুৎফুন্নেসা। তিনি সারাবাংলাকে জানান, ‘এবার ঈদে কেনাকাটা করে মজাই পেয়েছি। বেশিরভাগ জিনিসই কম দামে পেয়েছি, যেমন- সেমাই, পোলাও, চাল, চিনি, দুধ, ঘি এগুলো সব তুলনামূলক কম দামে কিনতে পেরেছি। তবে বাদামের দাম বেড়েছে যেহেতু সেমাই টা একটু কম দামে পাচ্ছে বাদামের দাম বাড়লেও একটা সামঞ্জস্য থেকেই যাচ্ছে সুতরাং এটা নিয়ে দুঃখ নেই স্বস্তিতেই ঈদের বাজার করলাম।’
পোলাও চাল কিনেও স্বস্তি পাচ্ছেন ক্রেতারা। গত বছর রোজার ঈদের তুলনায় প্রতিকেজি পোলাও চাল ৪০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে। কেজিপ্রতি চিনির দাম কমেছে ২০ টাকা। পোলাও চাল বিক্রি হচ্ছে ১১০-১২০ টাকা। যা আগে ১৪০-১৬০ টাকা ছিল।
ঈদ বাজার করতে এসেছেন রহিম শেখ। তিনি সারাবাংলাকে বলেন, ‘এবার বাজারে রোজার আগে থেকেই কিছুটা স্বস্তি আছে। পণ্যের দাম গত রোজার তুলনায় কম ছিল। এখন পর্যন্ত ঈদ ঘিরেও পণ্যের দামেও কিছুটা স্বস্তি বিরাজ করছে। পোলাও চাল নরমালি সবসময় যেমন কিনি তেমনই আছে। ঈদ বলে একটু বেশি রাখবে। কিন্তু অন্যান্য বছরের তুলনায় আহামরি বেশি দাম রাখেনি।’
অন্যদিকে, দুধ ও ঘি আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে। পাশাপাশি এলাচ বাদে সব ধরনের মসলার দামও স্থিতিশীল। প্রতিকেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ১১৮-১২০ টাকায়। যা গত বছর ঈদের আগে বিক্রি হয়েছে ১৪০ টাকায়।
সারাবাংলা/এফএন/এনজে