সেনা সদস্যকে মারধর: বিএনপি-অঙ্গ সংগঠনের ৮ নেতার পদ স্থগিত
২৭ মার্চ ২০২৫ ১৯:০৬ | আপডেট: ২৭ মার্চ ২০২৫ ১৯:১৩
বরিশাল: বরিশালে বালু মহলের ইজারার দরপত্র জমাদানে বাধা দেয়ায় এক সেনা সদস্যকে অপহরণ ও মারধরের জেরে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের আটজনের সাংগঠনিক পদ স্থগিত করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) দলের সিনিয়র যুগ্ন মহাসচিব রূহুল কবির রিজভীর স্বাক্ষরিত আদেশে বলা হয়েছে, অভিযুক্ত নেতাদের পদ তিন মাস স্থগিত থাকবে। ওই পত্রে বরিশাল মহানগর ও উত্তর জেলা বিএনপিকে অবহিত করা হয়েছে।
পদ স্থগিত থাকা নেতারা হলেন, হিজলা উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট দেওয়ান মো. মনির হোসেন, মহানগর যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাসুদ রাঢ়ী, মহানগর মহিলা দলের সাংগঠনিক সম্পাদক ফরিদা বেগম, জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি নুর হোসেন সুজন, হিজলা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য ইমরান খন্দকার, মহানগর যুবদলের সহ-সম্পাদক বেলায়েত হোসেন, রুবেল ও ফাহিম।
তবে, ওই ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার অপর আসামি জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মাহফুজুল আলম মিঠু ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মশিউল আলম মঞ্জু, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক নিজাম ও কামরুলের বিরুদ্ধে কোনো সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
এদিকে অভিযোগ তদন্তে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট গোলাম মোহাম্মদ চৌধুরী আলালকে একমাত্র সদস্য করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তাকে আগামী পাঁচদিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আকন কুদ্দুসুর রহমান জানিয়েছেন, অঙ্গ সংগঠনের নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নিজ নিজ সংগঠনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, সোমবার (২৪ মার্চ) জেলায় ছয়টি বালুমহাল ইজারা দেওয়া হয়। হিজলা উপজেলা সংলগ্ন মেঘনার বালুমহালের ইজারা বাগাতে বিএনপি নেতারা ‘গুচ্ছ’ মিশনে নেমেছিলেন। তাদের এড়িয়ে দরপত্র জমা দেন কাজী আব্দুল মতিন নামে এক ব্যক্তি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বিএনপি নেতারা মতিনের ভাতিজা সেনা সদস্য জাফরকে জেলা প্রশাসকের দফতরের সামনে মারধর করা হয়।
সেনা সদস্য কাজী জাফরের অভিযোগ, তাকে অপহরণ করে পোর্ট রোডে বিলাসবহুল রেষ্ট হাউজ রিচমার্টের ৩১০ নম্বর কক্ষে আটকে নির্যাতন করা হয়। তাকে উদ্ধারে সেনাবাহিনী সন্ধ্যার পর সেখানে গিয়ে ৩১০ নম্বর কক্ষ থেকে দেওয়ান মনির হোসেন, নুর হোসেন সুজন ও ইমরান খন্দকারকে আটক করে। এ ঘটনায় কাজী মতিন বাদী হয়ে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের ১২ জনের নাম উল্লেখ করে কোতোয়ালী মডেল থানায় মামলা করেন।
এদিকে মতিনের মামলায় গ্রেফতার দেখানো দেওয়ান মনির, সুজন ও ইমরান বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) আদালত থেকে জামিনে মুক্ত হয়েছেন।
সারাবাংলা/এনজে