গতি পাচ্ছে কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক প্রকল্প, রাস্তা ও সেতু নির্মাণের অনুমোদন
২৭ মার্চ ২০২৫ ১৭:২১
ঢাকা: রাজধানীর অদূরে মুন্সিগঞ্জে বিসিক কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক প্রকল্পের কাজে গতি বেড়েছে। গত ছয় বছরে কচ্ছপ গতিতে কাজ এগোনোর দুই দফা প্রকল্পের মেয়াদবাড়ানো হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে প্রকল্পটি দ্রুত বাস্তবায়নে বর্তমান অন্তবর্তী সরকার তাগিদ দিয়েছে।
কয়েক মাস আগে প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করেছেন শিল্প উপদেষ্টা। এরই ধারাবাহিকতায় ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের ১৩৮ কোটি টাকার রাস্তা, ব্রিজ এবং অন্যান্য নির্মাণ কাজের অনুমোদন দিয়েছে সরকার। বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে শিল্প মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে এ অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, শিল্প মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাব অনুযায়ী বিসিক কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক, মুন্সিগঞ্জ (২য় সংশোধিত) প্রকল্পের আওতায় পূর্ত-৫ প্যাকেজের লট-১ ও লট-৩ এর রাস্তা, ব্রিজ এবং অন্যান্য নির্মাণ শীর্ষক পূর্তকাজের (টেন্ডার আইডি-১০২১৭৮১) ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৩৭ কোটি ৯৬ লাখ ৯৬ হাজার ১৮২ টাকা। সুপারিশকৃত দরদাতা প্রতিষ্ঠান হলো আরএবি-আরসি প্রাইভেট লিমিটেড এবং বিডিই লিমিটেড।
পুরান ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় রাসায়নিক পণ্যের ছোট-বড় অসংখ্য গুদাম রয়েছে। এ সকল গুদামে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। এর মধ্যে ২০১০ সালে পুরান ঢাকার নিমতলীতে একটি গুদামে অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে ১২৪ জন নিহত হন। ২০১৯ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি চকবাজারের চুড়িহাট্টায় রাসায়নিক দ্রব্য থেকে অগ্নিকাণ্ডে নিহত হন ৭১ জন। বিভিন্ন অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় শিল্প-কারখানা ঢাকার বাইরে সরিয়ে নেওয়ার অংশ হিসেবে ২০১৯ সালের ৩০ এপ্রিল মুন্সিগঞ্জ উপজেলার তুলসীখালী ও চিত্রকোট এলাকায় ৩১০ একর জায়গায় বিসিক কেমিক্যাল শিল্প পার্ক তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়। এতে ব্যয় ধরা হয় ১ হাজার ৬১৫ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। কাজ শেষ করার কথা ছিল ২০২২ সালে। কিন্তু জমি অধিগ্রহণে নানা সমস্যায় প্রকল্পের মেয়াদ দুই বছর বাড়িয়ে ২০২৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়। ওই মেয়াদেও কাজ শেষ না হওয়ায় আরও এক দফা মেয়াদ বাড়ানো হয়।
গেল বছরের নভেম্বরে প্রকল্পটি পরিদর্শন করেন অন্তর্বর্তী সরকারের শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান। ওই সময় তিনি প্রকল্পটি দ্রুত শেষ করার তাগিদ দেন।
সারাবাংলা/জেআর/এনজে