উজবেকিস্তানে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন

আলোচনায় মহান মুক্তিযুদ্ধে ও জুলাই-আগস্টে আত্মত্যাগকারী শহিদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করা হয়

ঢাকা: স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালন করেছে উজবেকিস্তানে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস। এদিন প্রবাসী বাংলাদেশি ও দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারিদের উপস্থিতিতে রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম দূতাবাস প্রাঙ্গনে জাতীয় সংগীত ধ্বনিতে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিবসের কার্যক্রম শুরু করেন।

বুধবার (২৬ মার্চ ) দূতাবাস থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দিবসটি উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় রাষ্ট্রপতি, প্রধান উপদেষ্টা ও মাননীয় পররাষ্ট্র উপদেষ্টা কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয়। রাষ্ট্রদূত ড. ইসলাম তার সভাপতির বক্তব্যে দিবসটির ঐতিহাসিক গুরুত্ব ও তাৎপর্যের ওপর আলোকপাত করেন। ৭১’ এর মহান মুক্তিযুদ্ধে ও জুলাই-আগস্টে আত্মত্যাগকারী শহিদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে এবং দেশ ও জনগণের অব্যাহত সুখ, শান্তি ও উন্নতি প্রার্থনা করে এক বিশেষ মোনাজাতের মধ্য দিয়ে প্রথম পর্বের সমাপ্তি ঘটে।

অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে একই দিনে অপরাহ্ণে দূতাবাসে উজবেকিস্তানের ব্যবসায়িক, শিক্ষা, সংস্কৃতি ও মিডিয়া অঙ্গনের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বিশিষ্ট ব্যক্তিদের অংশগ্রহণে একটি আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
আলোচনার শুরুতে রাষ্ট্রদূত ড. ইসলাম তার স্বাগত বক্তব্যে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের যাদের অসীম সাহস ও আত্মত্যাগের বিনিময়ে বিশ্ব মানচিত্রে স্বাধীন সার্বভৌম দেশ হিসেবে বাংলাদেশের অভ্যুদ্বয় ঘটেছিল। তিনি ভ্রাতৃ প্রতিম দেশ ও জনগণ, বিশেষ করে উজবেকিস্তানের জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন যারা ইতিহাসের কঠিন সময় বাংলাদেশের প্রতি তাদের সহযোগিতা ও সমর্থন ব্যক্ত করেছেন।

রাষ্ট্রদূত ড. ইসলাম প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ইউনুস এর নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের প্রেক্ষাপট ও পটভূমি বর্ণনা করে বৈষম্যহীন, শোষণমুক্ত, সুখী, সমৃদ্ধশালী, আধুনিক বাংলাদেশ বিনির্মাণে সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ ও প্রতিশ্রুতির কথা পুনঃব্যক্ত করেন।

বাংলাদেশ ও উজবেকিস্তানের মধ্যকার ঐতিহাসিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় বন্ধন এর ওপর আলোকপাত করে রাষ্ট্রদূত বিভিন্ন ক্ষেত্রে, বিশেষ করে ব্যবসায়িক এবং শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক পরিসরে এ সম্পর্কের ব্যপ্তি ও অগ্রযাত্রা তুলে ধরেন। এ সম্পর্ককে আরও অর্থবহ ও ফলপ্রসু করতে তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।

আলোচনা শেষে বিশ্ব শান্তি, স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা প্রার্থনা করে বিশেষ মোনাজাত ও ইফতার আয়োজনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।

সারাবাংলা/জেআর/এইচআই

উজবেকিস্তান জাতীয় দিবস জাতীয় দিবস উদযাপন দূতাবাস মহান স্বাধীনতা দিবস